০৮:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ব্রোকারদের অবণ্টিত মুনাফার তথ্য জমার সময় বেড়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:৩১:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩
  • / ১০৪২৮ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

পুঁজিবাজারের ব্রোকারেজ হাউজ বা ট্রেকহোল্ডারদের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের (সিসিএ) অবণ্টিত মুনাফার তথ্য জমা দেয়ার সময় বাড়িয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। তথ্য চেয়ে আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় সম্প্রতি এ বিষয়ে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরাবর চিঠি পাঠিয়েছে ডিএসই।

এর আগে গত ১১ মে’র মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছিল। সেই সঙ্গে সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিনিয়োগকারী সুরক্ষা তহবিলে যথাযথভাবে অর্থ জমা হয়েছে কি না এবং এর বর্তমান স্থিতির ব্যাপারেও জানতে চাওয়া হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ট্রেকহোল্ডারদের দেওয়া ডিএসই’র চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এর আগে এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) একটি সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ডিএসইর কাছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ইনভেস্টর প্রোটেকশন ফান্ড) আইন, ২০১৪ অনুযায়ী যেসব উৎস থেকে তহবিলে অর্থ জমা হওয়ার বিধান রয়েছে, সেসব উৎস থেকে তহবিলে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত যথাযথভাবে অর্থ জমা হয়েছে কি না এবং এর বর্তমান পরিস্থিতির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়ার জন্য গত ১৮ এপ্রিল নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ব্রোকারেজ হাউজগুলো তথ্য না দেওয়ায় এবং আশানুরূপ ফল না পাওয়ায় ডিএসইর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ আগামী ২১ মে পর্যন্ত এ সময় বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তাই, এ বিষয়ে চিঠিতে দেওয়া ছক অনুসারে নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়ার আগে তথ্য দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, ২০২১ সালের জুনে বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী ট্রেকহোল্ডার কোম্পানির সিসিএ হিসাবের অবণ্টনকৃত মুনাফা থেকে অর্থ সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে জমা করার বিধান করা হয়েছে। সে অনুযায়ী ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত জমাকৃত অর্থের ব্যবহার সংক্রান্ত তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে। এজন্য চিঠিতে উল্লেখিত ছক অনুযায়ী গত ১১ মের মধ্যে সে তথ্য দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল ডিএসই।

আরও পড়ুন: পিপলস লিজিংয়ের সচিব নিয়োগ

এর আগে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই-সিএসই) বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা তহবিলের (ইনভেস্টর প্রোটেকশন ফান্ড) ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়। প্রতি বছর এ বোর্ডর পুনর্গঠন করা হয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ডিএসই ও সিএসইর বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা তহবিলের ট্রাস্টি বোর্ডে নতুন দুই চেয়ারম্যান নিয়োগের অনুমতি দেয় বিএসইসি। স্টক এক্সচেঞ্জ বিনিয়োগকারী সুরক্ষা তহবিল প্রবিধান, ২০১৪ এর প্রবিধান ৫ অনুযায়ী ডিএসইর বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা তহবিলের চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশ হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারক মো. আবদুস সামাদকে মনোনয়নের অনুমোদন দিয়েছে। একইভাবে কমিশন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এবিএম আবু নোমানকে সিএসইর বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা তহবিল ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছে।

মার্চেন্ট ব্যাংক, ব্রোকার এবং ডিলারদের কাছ থেকে পাওয়া বার্ষিক তালিকাভুক্ত ফি’র একটি অংশ এই তহবিলে জমা রাখা হয়। এছাড়া, পুঁজিবাজারের লেনদেন, বিভিন্ন মাধ্যম থেকে পাওয়া ফি’র একটি অংশও এই তহবিলে জমা করা হয়ে থাকে। কোনো ব্রোকারেজ হাউজ দেউলিয়া হয়ে গেলে বা বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কিংবা তাদের জমা রাখা অর্থ ফেরত দিতে ব্যর্থ হলে এ তহবিল থেকে বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়ে থাকে। এর আগে বন্ধ বা দেউলিয়া হয়ে যাওয়া ডিএসইর সদস্যভুক্ত বেশ কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউজের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদেরকে এ তহবিল থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে কিছু টাকা দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

ব্রোকারদের অবণ্টিত মুনাফার তথ্য জমার সময় বেড়েছে

আপডেট: ০১:৩১:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩

পুঁজিবাজারের ব্রোকারেজ হাউজ বা ট্রেকহোল্ডারদের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের (সিসিএ) অবণ্টিত মুনাফার তথ্য জমা দেয়ার সময় বাড়িয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। তথ্য চেয়ে আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় সম্প্রতি এ বিষয়ে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরাবর চিঠি পাঠিয়েছে ডিএসই।

এর আগে গত ১১ মে’র মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছিল। সেই সঙ্গে সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিনিয়োগকারী সুরক্ষা তহবিলে যথাযথভাবে অর্থ জমা হয়েছে কি না এবং এর বর্তমান স্থিতির ব্যাপারেও জানতে চাওয়া হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ট্রেকহোল্ডারদের দেওয়া ডিএসই’র চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এর আগে এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) একটি সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ডিএসইর কাছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ইনভেস্টর প্রোটেকশন ফান্ড) আইন, ২০১৪ অনুযায়ী যেসব উৎস থেকে তহবিলে অর্থ জমা হওয়ার বিধান রয়েছে, সেসব উৎস থেকে তহবিলে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত যথাযথভাবে অর্থ জমা হয়েছে কি না এবং এর বর্তমান পরিস্থিতির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়ার জন্য গত ১৮ এপ্রিল নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ব্রোকারেজ হাউজগুলো তথ্য না দেওয়ায় এবং আশানুরূপ ফল না পাওয়ায় ডিএসইর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ আগামী ২১ মে পর্যন্ত এ সময় বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তাই, এ বিষয়ে চিঠিতে দেওয়া ছক অনুসারে নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়ার আগে তথ্য দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, ২০২১ সালের জুনে বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী ট্রেকহোল্ডার কোম্পানির সিসিএ হিসাবের অবণ্টনকৃত মুনাফা থেকে অর্থ সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে জমা করার বিধান করা হয়েছে। সে অনুযায়ী ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত জমাকৃত অর্থের ব্যবহার সংক্রান্ত তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে। এজন্য চিঠিতে উল্লেখিত ছক অনুযায়ী গত ১১ মের মধ্যে সে তথ্য দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল ডিএসই।

আরও পড়ুন: পিপলস লিজিংয়ের সচিব নিয়োগ

এর আগে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই-সিএসই) বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা তহবিলের (ইনভেস্টর প্রোটেকশন ফান্ড) ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়। প্রতি বছর এ বোর্ডর পুনর্গঠন করা হয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ডিএসই ও সিএসইর বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা তহবিলের ট্রাস্টি বোর্ডে নতুন দুই চেয়ারম্যান নিয়োগের অনুমতি দেয় বিএসইসি। স্টক এক্সচেঞ্জ বিনিয়োগকারী সুরক্ষা তহবিল প্রবিধান, ২০১৪ এর প্রবিধান ৫ অনুযায়ী ডিএসইর বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা তহবিলের চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশ হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারক মো. আবদুস সামাদকে মনোনয়নের অনুমোদন দিয়েছে। একইভাবে কমিশন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এবিএম আবু নোমানকে সিএসইর বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা তহবিল ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছে।

মার্চেন্ট ব্যাংক, ব্রোকার এবং ডিলারদের কাছ থেকে পাওয়া বার্ষিক তালিকাভুক্ত ফি’র একটি অংশ এই তহবিলে জমা রাখা হয়। এছাড়া, পুঁজিবাজারের লেনদেন, বিভিন্ন মাধ্যম থেকে পাওয়া ফি’র একটি অংশও এই তহবিলে জমা করা হয়ে থাকে। কোনো ব্রোকারেজ হাউজ দেউলিয়া হয়ে গেলে বা বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কিংবা তাদের জমা রাখা অর্থ ফেরত দিতে ব্যর্থ হলে এ তহবিল থেকে বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়ে থাকে। এর আগে বন্ধ বা দেউলিয়া হয়ে যাওয়া ডিএসইর সদস্যভুক্ত বেশ কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউজের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদেরকে এ তহবিল থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে কিছু টাকা দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/এসএ