বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে গত ৪ কার্যদিবস টানা পতন হয়েছে। একইসময় টানা উর্ধ্বমূখী হয়েছে ভারতের পুঁজিবাজার। এরমধ্যে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ফের ভারতের বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের (বিএসই) সেনসেক্স সূচক বেড়েছে ১ হাজার ৫০০ পয়েন্টের বেশি। ঊর্ধ্বমুখী ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (এনএসই) নিফটি সূচকও। ভারতের পুঁজিবাজারের এই উত্থানের নেপথ্যে একাধিক কারণ উল্লেখ করেছেন বিশ্লেষকরা। এছাড়া বাজারে বিদ্যমান পরিস্থিতি বজায় থাকবে বলে আশাবাদী তাঁরা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব

বৃহস্পতিবার বিএসই’র সেনসেক্স খোলার সময়ে ৭৬ হাজার ৯৬৮তে দাঁড়িয়ে ছিল সূচক। দিন শেষে সেনসেক্স পৌঁছায় ৭৮,৫৫৩.২০ পয়েন্টে। অর্থাৎ মোট ১,৫০৮.৯১ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে এই বাজার। শতাংশের হিসাবে যেটা ১.৯৬। একই ছবি দেখা গিয়েছে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জেও (এনএসই)।

এ দিন বাজার বন্ধ হলে দেখা যায় ৪১৪.৪৫ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে নিফটি ৫০। অর্থাৎ ১.৭৭ শতাংশ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে এই সূচক। দিনের শেষে ২৩,৮৫১.৬৫ পয়েন্টে পৌঁছেছে নিফটি। বাজার চাঙ্গা থাকায় এ দিন ২,৩৪০টি শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দর পড়েছে ১,৪৬৮টি স্টকের। অন্য দিকে ১৪৯টি শেয়ারের দামের কোনও পরিবর্তন হয়নি।

ব্রোকারেজ হাউজগুলো জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দিনভর সবুজ জ়োনে থেকেছে সব খাতের শেয়ার। রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংক, তেল ও গ্যাস, ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম নির্মাণকারী সংস্থা, গাড়ি ও যন্ত্রাংশ নির্মাণকারী সংস্থা এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর শেয়ার মূল্য এক থেকে দু’শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ ছাড়া বিএসইতে এসএমই কোম্পানিগুলোর সূচক বেড়েছে ০.৫ শতাংশ। নিফটিতে সর্বাধিক লাভবান হয়েছে ভারতী এয়ারটেল, আইসিআইসিআই ব্যাংক, বাজাজ ফিন্যান্স, সান ফার্মা এবং ইটারনালের বিনিয়োগকারীরা।

আরও পড়ুন: আইপিডিসি ফাইন্যান্সের ৩৫.৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন

বিশ্লেষকদের দাবি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির প্রভাবে বাজারের শুরু হয়েছিল রক্তক্ষরণ। কিন্তু ৯০ দিনের জন্য তিনি সেটি স্থগিত করতেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে শেয়ার সূচক। তাছাড়া দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা ভারতীয় বাজারের উপর আস্থা দেখাতে শুরু করেছেন।

ঢাকা/টিএ