ভারতে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ, ১২ বগি লাইনচ্যুত

- আপডেট: ১২:২৫:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
- / ১০৩৬০ বার দেখা হয়েছে
ভারতের দক্ষিণী রাজ্য তামিলনাড়ুতে দুই ট্রেনের ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষের সময় ট্রেন দুটিতে আগুন ধরে যায় এবং ১২টি বগি লাইনচ্যুত এদিক-ওদিক ছিটকে পড়েছে। এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি, তবে ১০ জন আহতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খবর এনডিটিভির
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
আহতের সংখ্যা ১৯ জন জানিয়ে সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (১১ অক্টোবার) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাগমতী এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেন তামিলনাড়ুর থিরুভাল্লুর জেলার কাভারাইপেত্তাই স্টেশনের কাছে একটি মালবাহী ট্রেনকে ধাক্কা মারলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে বাগমতী এক্সপ্রেসের ৬টি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে ও দুটি এসি কোচে আগুন ধরে গেছে ৷
কর্নাটকের মাইসুর থেকে বিহারের দ্বারভাঙার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল বাগমতী এক্সপ্রেস। কাভারাইপেত্তাই স্টেশনের কাছে দাঁড়িয়েছিল মালবাহী ট্রেনটি। পেছন থেকে ৭৫ কিলোমিটার বেগে এসে এটিকে ধাক্কা দেয় বাগমতী এক্সপ্রেস। তারপরই ঘটে বিপত্তি ৷
এ রিপোর্ট লেখার সময় ভারতের রেল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি আসেনি। তবে স্থানীয় রেলওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় প্রথমে একটি কোচে আগুন লাগে। পরে সেই আগুন সেখান থেকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ৷ অন্তত দুটি কোচ লাইনচ্যুত হয়েছে। উদ্ধারকারী দল ও অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। আহত যাত্রীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ৷ এই ট্রেনের বেশিরভাগ যাত্রীই উত্তর ভারতের। দুর্ঘটনার কারণে চেন্নাই থেকে দিল্লি এবং চেন্নাই থেকে কোয়েম্বাটুরের পরিষেবাগুলি আপাতত বন্ধ হয়েছে ৷ হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে এখনও তেমন তথ্য মেলেনি।
আরও পড়ুন: ইরানে হামলার বিষয়ে নেতানিয়াহু-বাইডেন ফোনালাপ
তবে সবমিলিয়ে অনেক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছে প্রশাসন ৷
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, থিরুভাল্লুর জেলা কালেক্টর, বিধানসভার সদস্য এবং এক মন্ত্রীকে দুর্ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ৷ ইতোমধ্যেই তারা রওনা দিয়েছেন ৷
ভারতীয় রেলওয়ের নির্বাহী পরিচালক (তথ্য ও প্রচার) দিলীপ কুমার বলেছেন, আমরা বাগমতি এক্সপ্রেসের একটি দুর্ঘটনার তথ্য পেয়েছি। ক্ষতিগ্রস্ত কোচ থেকে ৯৫ শতাংশ যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত কোনো মৃত্যু বা গুরুতর আহত হয়নি।
ঢাকা/এসএইচ