মডেলকে খুনের পর টেনে-হিঁচড়ে বের করা হলো দেহ

- আপডেট: ১২:৩৭:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৪
- / ১০৬১৬ বার দেখা হয়েছে
হোটেল মালিক অভিজিৎ সিং দিব্যা পাহুজা নামের ভারতীয় এক তরুণ মডেলকে খুন করেছেন। খুনের পর দিব্যার মরদেহ পাচারের জন্য এক সহযোগীকে ১০ লাখ টাকা দেন ওই হোটেল মালিক। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে হোটেল মালিকসহ তিনজনকে আটক করেছে স্থানীয় পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের নয়া দিল্লির গুরুগ্রামের সিটি পয়েন্ট হোটেলে। ২৭ বছর বয়সী ওই তরুণী একজন পাঞ্জাবি মডেল। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) হোটেলের ১১ নম্বর রুমের দিকে যাচ্ছেন মালিক অভিজিৎ। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন একজন পুরুষ ও মহিলা। সেই রুমেই খুন করা হয় দিব্যাকে। পরে তার মরদেহ টেনে-হিঁচড়ে বের করা হয় হোটেল থেকে। তোলা হয় একটি নীল রঙের বিএমডব্লিউ গাড়িতে।
সিসিটিভি ফুটেজে পুরো ঘটনাই ধরা পড়ে। অভিযোগ ওঠে, দিব্যাকে খুন করে তার দেহ সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল। এরপর ঘটনার তদন্তে নামে স্থানীয় পুলিশ। পাঞ্জাবের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে তারা।
হিন্দুস্তান টাইমস তাদের প্রতিবেদনে জানায়, দিব্যাকে খুন করে তার দেহ পাচার করার জন্য সহযোগীকে প্রায় ১০ লাখ টাকা দেন অভিজিৎ। এরপর ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। পাঞ্জাবের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্ত অভিজিৎ ও দুই সন্দেহভাজন প্রকাশ এবং ইন্দ্ররাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: শীতের আমেজে উষ্ণতা ছড়ালেন ভাবনা
কুখ্যাত গ্যাংস্টার সন্দীপ গাডোলির সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন দিব্যা। ২০১৬ সালে মুম্বইয়ে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় সন্দীপের। তারপরই দিব্যার মা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান সন্দীপের ভাই-বোন ও অভিজিৎ সিংয়ের নামে। তার মেয়েকে নাকি খুন করার চেষ্টা করছেন তারা।
সেসময় থেকে নাকি দিব্যার ওপর রাগ অভিজিতের। ঘটনার পর বেশ কয়েক বছর কেটে গেছে। সন্দীপের মৃত্যুর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিলেন এই মডেল। গত বছরই মুম্বাই আদালত থেকে জামিন পান দিব্যা। একবছর পরেই অভিজিতের হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন তিনি।
ঢাকা/কেএ