মনের আশা পূরণে যে আমল করবেন

- আপডেট: ১২:০৭:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫
- / ১০৪১১ বার দেখা হয়েছে
মানুষ সবচেয়ে বেশি হতাশ হয় যখন মনের আশা পূরণ হয় না। অন্য সবার হয় কিন্তু নিজের হয় না। এই যে হতাশা বা উৎকণ্ঠা কাজ করে এটা খুবই স্বাভাবিক। সেই সাথে মনে মনে কিছু চাইলে সেটার জন্য আল্লাহ তাআলার কাছেই চাইতে হবে। কেননা তার ইচ্ছা ছাড়া আসমান ও জমিনে কিছুই ঘটে না।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
আল্লাহ তাআলা বলেন, নিশ্চয়ই মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে অস্থির করে। যখন তাকে বিপদ স্পর্শ করে, তখন সে হয়ে পড়ে অতিমাত্রায় উৎকণ্ঠিত। (সুরা মাআরিজ ১৯-২০)। তাই আল্লাহ রহমত থেকে নিরাশ হওয়া যাবে না। সর্বাবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করতে হবে।
আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহের চাদর সব সময় আমাদের আবৃত করে রাখেন। বান্দার যে সময় যেটা প্রয়োজন ও কল্যাণকর তখনই আল্লাহ সেটা দান করেন। তবে সেজন্য তার কাছে অবশ্যই চাইতে হবে বেশি বেশি।
আল্লাহ তাআলা বলেন, যদি তোমাদের ওপর আল্লাহর অনুগ্রহ ও তার দয়া না থাকত, (তা হলে তোমরা ধ্বংস হয়ে যেতে) আর নিশ্চয়ই আল্লাহ অধিক তওবা গ্রহণকারী, প্রজ্ঞাময়। (সুরা নুর ১০)
অভাব থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে চাইতে হবে। আর আল্লাহ তাআলা বান্দার প্রার্থনা ফিরিয়ে দেন না। আল্লাহ বলেন, আর তোমাদের রব বলেছেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের জন্য সাড়া দেব। নিশ্চয়ই যারা অহংকার বশত আমার ইবাদত থেকে বিমুখ থাকে, তারা অচিরেই লাঞ্ছিত অবস্থায় জাহান্নামে প্রবেশ করবে। (সুরা গাফির ৬০)।
একবার হযরত আনাস রা. রসুল সা.-এর সঙ্গে বসা ছিলেন। এমন সময় এক ব্যক্তি এসে নামাজ আদায় করল। নিচের এ দোয়াটি পাঠ করল, اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنَّ لَكَ الْحَمْدَ لَا إِلَهَ إِلَا أَنْتَ الْمَنَّانُ بَدِيعُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالإِكْرَامِ يَا حَىُّ يَا قَيُّومُ উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিআন্না লাকাল হামদু, লা-ইলাহা ইল্লা আংতাল মান্নান, বাদিউস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্, ইয়া জালজালালি ওয়াল ইকরাম, ইয়া হাইয়ু ইয়া ক্বাইয়্যুম।
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করি। তুমিই তো সব প্রশংসার মালিক, তুমি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তুমি দয়াশীল। তুমিই আকাশসমূহ ও পৃথিবীর একমাত্র সৃষ্টিকর্তা! হে মহান সম্রাট ও সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী, হে চিরঞ্জীব, হে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী।’
তখন নবীজি সা. বললেন, এ ব্যক্তি ‘ইসমে আজম’ পড়ে দোয়া করেছে, (‘ইসমে আজম’ মহান আল্লাহর এমন নাম) যে নামে ডাকলে মহান আল্লাহ সাড়া দেন। যে নামে তার কাছে চাওয়া হলে তিনি সব চাওয়া পূরণ করেন। (আবু দাউদ) এই দোয়াটি হল ‘ইসমে আজম’। এটি পড়ে দোয়া করলে মনের কল্যাণকর দোয়া আল্লাহ কবুল করবেন।
আরও পড়ুন: ঈদ উৎসবে সুস্থ থাকবেন কীভাবে
বান্দাদের দোয়া আল্লাহ কখনই ফিরিয়ে দেন না। দোয়া কবুলের অবস্থা তিনটি। দোয়া কখনও বৃথা যায় না। তিন পদ্ধতিতে আল্লাহ তাআলা দোয়া কবুল করেন। যখন কোনো মুমিন ব্যক্তির দোয়ায় কোনো পাপ থাকে না, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয় থাকে না, তাহলে আল্লাহ তিন পদ্ধতির কোনো এক পদ্ধতিতে দোয়া কবুল করেন।
পদ্ধতি তিনটি হলো ১. সে যে দোয়া করেছে, হুবহু তা কবুল করে দুনিয়াতে দেওয়া হয়। ২. তার দোয়ার প্রতিদান পরকালের জন্য সংরক্ষণ করা হয়। ৩. দোয়ার মাধ্যমে তার অনুরূপ কোনো অমঙ্গলকে তার থেকে দূরে রাখা হয়। (মুসনাদে আহমদ: ১১১৩৩)
ঢাকা/এসএইচ