০৯:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

মন্ত্রী-এমপিদের প্লট দিতে বন কেটেছে রাজউক: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:৫০:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১০২৮১ বার দেখা হয়েছে

মন্ত্রী-এমপি ও তথাকথিত ক্ষমতাবানদের প্লট দিতে গিয়ে রাজউক বন কেটে পূর্বাচল করেছে। যা অপূরণীয় ক্ষতি। গাছ কেটে করা এসব প্লটের বেশিরভাগ এখনো অব্যবহৃত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বিশ্বব্যাংকের ‘একটি টেকসই জীবন: বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির ওপর তাপের প্রভাব’ শীর্ষক প্রতিবেদনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

উপদেষ্টা বলেন, মন্ত্রী-এমপিদের তথাকথিত ক্ষমতাবানদের প্লট দিতে গিয়ে রাজউক ক্ষতি করে ফেলেছে। বন কেটে ফেলে প্লট করা হয়েছে। যখন রাজউক ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান করে, তখন ব্যবসায়ীরা তাদের স্বার্থে সেটির বিরোধিতা করেছে।

তিনি আরও বলেন, রাজউককে দায়িত্ব নিতে হবে ভবন তৈরির পরিকল্পনা করা ও বাস্তবায়নে। ভালো পরিকল্পনা করা হলেই ব্যবসায়ীরা তাদের স্বার্থ নিয়ে হাজির হয়।

এদিকে, তাপমাত্রার কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। প্রতিবেদনে উঠে আসে, গত ৪৩ বছরে বাংলাদেশে গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১.১ ডিগ্রি। সবচেয়ে নাজুক অবস্থা রাজধানী ঢাকার। যেখানে তাপসূচক গড় তাপমাত্রার চেয়ে ৬৫% বেশি। নগরীতে সবুজের মাত্রা কমে যাওয়া ও জীবনযাত্রা অন্যতম কারণ।

তাপমাত্রার প্রভাবে শারীরিক ও মানসিক কারণে ২০২৪ সালে ২৫ মিলিয়ন কর্মদিবস নষ্ট হয়েছে বাংলাদেশে। আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ১.৩৩ বিলিয়ন ডলার বলে উল্লেখ করেছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের মতে, ২০৫০ সালে দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও বাধা সৃষ্টি করবে অতি তাপমাত্রা।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

মন্ত্রী-এমপিদের প্লট দিতে বন কেটেছে রাজউক: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

আপডেট: ০১:৫০:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মন্ত্রী-এমপি ও তথাকথিত ক্ষমতাবানদের প্লট দিতে গিয়ে রাজউক বন কেটে পূর্বাচল করেছে। যা অপূরণীয় ক্ষতি। গাছ কেটে করা এসব প্লটের বেশিরভাগ এখনো অব্যবহৃত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বিশ্বব্যাংকের ‘একটি টেকসই জীবন: বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির ওপর তাপের প্রভাব’ শীর্ষক প্রতিবেদনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

উপদেষ্টা বলেন, মন্ত্রী-এমপিদের তথাকথিত ক্ষমতাবানদের প্লট দিতে গিয়ে রাজউক ক্ষতি করে ফেলেছে। বন কেটে ফেলে প্লট করা হয়েছে। যখন রাজউক ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান করে, তখন ব্যবসায়ীরা তাদের স্বার্থে সেটির বিরোধিতা করেছে।

তিনি আরও বলেন, রাজউককে দায়িত্ব নিতে হবে ভবন তৈরির পরিকল্পনা করা ও বাস্তবায়নে। ভালো পরিকল্পনা করা হলেই ব্যবসায়ীরা তাদের স্বার্থ নিয়ে হাজির হয়।

এদিকে, তাপমাত্রার কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। প্রতিবেদনে উঠে আসে, গত ৪৩ বছরে বাংলাদেশে গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১.১ ডিগ্রি। সবচেয়ে নাজুক অবস্থা রাজধানী ঢাকার। যেখানে তাপসূচক গড় তাপমাত্রার চেয়ে ৬৫% বেশি। নগরীতে সবুজের মাত্রা কমে যাওয়া ও জীবনযাত্রা অন্যতম কারণ।

তাপমাত্রার প্রভাবে শারীরিক ও মানসিক কারণে ২০২৪ সালে ২৫ মিলিয়ন কর্মদিবস নষ্ট হয়েছে বাংলাদেশে। আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ১.৩৩ বিলিয়ন ডলার বলে উল্লেখ করেছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের মতে, ২০৫০ সালে দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও বাধা সৃষ্টি করবে অতি তাপমাত্রা।

ঢাকা/এসএইচ