০২:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মহার্ঘ ভাতার সঙ্গে ভ্যাট বাড়ানোর সম্পর্ক নেই: অর্থ উপদেষ্টা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৩২:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১০৩৭৮ বার দেখা হয়েছে

মহার্ঘ ভাতার সঙ্গে ভ্যাট বাড়ানোর কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বুধবার (২২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, মহার্ঘ ভাতা যদি দেই, সেটা আলাদা হিসাব করব। বাংলাদেশ হচ্ছে সবচেয়ে লোয়েস্ট ট্যাক্স পেয়িং কান্ট্রি। এলডিসির চেয়েও আমাদের ট্যাক্স কম। ভুটান, নেপাল, আইভোরি কোস্ট, বুরকিনা ফাসোর চেয়েও কম। এতো কম ট্যাক্স দিয়ে কীভাবে চান যে, আপনাকে সবকিছু দেব? এটা এক্সপেক্ট করা ঠিক হয় না। আমরা চশমার ভ্যাট বাড়িয়েছি। ১২৫ টাকায় পৃথিবীর কোন দেশে চশমা পাওয়া যায়? ওখানে ১৫ টাকা বাড়বে। খাবেন ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, ২০ টাকা ভ্যাট দেবেন না? ভাতের হোটেলে তো ভ্যাট জিরো করে দিয়েছি। গ্লোরিয়া জিন্স থেকে এক কাপ কফি খাবেন, ওখানে ১৫ টাকা দিতে আপনার বাঁধে? এই রকম অ্যাটিচিউড থাকলে তো জটিল। দরকার হলে ২০ টাকা বেশি দিয়ে মিষ্টি খাব। আমাদের রেভিনিউ এত কম যে, পুরো পিকচারটা আপনাদের কাছে এখনও আসে নাই, আসার কথাও না।

আরও পড়ুন: ওষুধ, রেস্তোরাঁসহ কিছু পণ্য-সেবায় ভ্যাট কমালো এনবিআর

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমি কিছুদিন আগে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে গেলাম। আমরা যখন আসি ১৩৫ মিলিয়ন ডলার এলএনজি আমদানির বিল পাওনা ছিল। আমরা সেটা পেমেন্ট করেছি। এখন আবার এক মিলিয়ন ডলার পাওনা হয়েছে। রাশিয়ান অ্যাম্বাসাডার বলছে যে, তোমরা টাকা দিচ্ছ না, গম আমদানির বিল। ওই সময় এমন ছিল, এখন খারাপ হচ্ছে বলে আপানারা বলছেন। ওই সময় যে খুব ভালো ছিল তা কিন্তু না। আমার যারা সমালোচনা করে বেশিরভাগই আমার ছাত্র। ওরা বলে রাজস্ব জাল বাড়াতে, কোন জায়গায় আমরা বাড়াব? খালি বলে দিলেই তো হবে না। আমরা ক্ষেত্রগুলো খুঁজছি। যেই জায়গায় র‌্যাশনাল হয়, আমরা চেষ্টা করব।

সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ব্যয়ের দিকটায় আমরা সাশ্রয়ী হব। অনেক অপ্রয়োজনীয় সরকারি ব্যয় আছে। পাঁচ বছরের প্রকল্প ১০ বছর নিয়ে যাচ্ছে। বড় বড় প্রকল্প আছে যেখানে খরচ হওয়ার কথা ছিল ২৫ হাজার কোটি টাকা, খরচ হয়েছে ৫২ হাজার কোটি টাকা। টাকা কোত্থেকে আসবে, এগুলো তো আমাদের শোধ দিতে হবে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

মহার্ঘ ভাতার সঙ্গে ভ্যাট বাড়ানোর সম্পর্ক নেই: অর্থ উপদেষ্টা

আপডেট: ০৬:৩২:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

মহার্ঘ ভাতার সঙ্গে ভ্যাট বাড়ানোর কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বুধবার (২২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, মহার্ঘ ভাতা যদি দেই, সেটা আলাদা হিসাব করব। বাংলাদেশ হচ্ছে সবচেয়ে লোয়েস্ট ট্যাক্স পেয়িং কান্ট্রি। এলডিসির চেয়েও আমাদের ট্যাক্স কম। ভুটান, নেপাল, আইভোরি কোস্ট, বুরকিনা ফাসোর চেয়েও কম। এতো কম ট্যাক্স দিয়ে কীভাবে চান যে, আপনাকে সবকিছু দেব? এটা এক্সপেক্ট করা ঠিক হয় না। আমরা চশমার ভ্যাট বাড়িয়েছি। ১২৫ টাকায় পৃথিবীর কোন দেশে চশমা পাওয়া যায়? ওখানে ১৫ টাকা বাড়বে। খাবেন ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, ২০ টাকা ভ্যাট দেবেন না? ভাতের হোটেলে তো ভ্যাট জিরো করে দিয়েছি। গ্লোরিয়া জিন্স থেকে এক কাপ কফি খাবেন, ওখানে ১৫ টাকা দিতে আপনার বাঁধে? এই রকম অ্যাটিচিউড থাকলে তো জটিল। দরকার হলে ২০ টাকা বেশি দিয়ে মিষ্টি খাব। আমাদের রেভিনিউ এত কম যে, পুরো পিকচারটা আপনাদের কাছে এখনও আসে নাই, আসার কথাও না।

আরও পড়ুন: ওষুধ, রেস্তোরাঁসহ কিছু পণ্য-সেবায় ভ্যাট কমালো এনবিআর

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমি কিছুদিন আগে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে গেলাম। আমরা যখন আসি ১৩৫ মিলিয়ন ডলার এলএনজি আমদানির বিল পাওনা ছিল। আমরা সেটা পেমেন্ট করেছি। এখন আবার এক মিলিয়ন ডলার পাওনা হয়েছে। রাশিয়ান অ্যাম্বাসাডার বলছে যে, তোমরা টাকা দিচ্ছ না, গম আমদানির বিল। ওই সময় এমন ছিল, এখন খারাপ হচ্ছে বলে আপানারা বলছেন। ওই সময় যে খুব ভালো ছিল তা কিন্তু না। আমার যারা সমালোচনা করে বেশিরভাগই আমার ছাত্র। ওরা বলে রাজস্ব জাল বাড়াতে, কোন জায়গায় আমরা বাড়াব? খালি বলে দিলেই তো হবে না। আমরা ক্ষেত্রগুলো খুঁজছি। যেই জায়গায় র‌্যাশনাল হয়, আমরা চেষ্টা করব।

সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ব্যয়ের দিকটায় আমরা সাশ্রয়ী হব। অনেক অপ্রয়োজনীয় সরকারি ব্যয় আছে। পাঁচ বছরের প্রকল্প ১০ বছর নিয়ে যাচ্ছে। বড় বড় প্রকল্প আছে যেখানে খরচ হওয়ার কথা ছিল ২৫ হাজার কোটি টাকা, খরচ হয়েছে ৫২ হাজার কোটি টাকা। টাকা কোত্থেকে আসবে, এগুলো তো আমাদের শোধ দিতে হবে।

ঢাকা/এসএইচ