১০:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মানবসভ্যতার বিলুপ্তি ঘটাতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা!

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:২৩:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩
  • / ১০৩৯৭ বার দেখা হয়েছে

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মানবসভ্যতাকে বিলুপ্তির দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ওপেনএআই ও গুগল ডিপমাইন্ডের প্রধানসহ অন্তত এক ডজন এআই বিশেষজ্ঞ এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুনফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউভ

মঙ্গলবার (৩০ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এআই সেফটি সেন্টারের ওয়েবপেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ওই ঝুঁকির বিষয়ে সমর্থন প্রকাশ করেছেন তারা।বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মহামারি ও পারমাণবিক যুদ্ধের মতো অন্যান্য সামাজিক ঝুঁকির মতো এআই থেকে বিলুপ্তির ঝুঁকি হ্রাসের বিষয়টিকে বিশ্বজুড়ে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত।

তবে অন্য বিশেষজ্ঞরা এআই নিয়ে এ ধরনের সতর্কবার্তাকে অতিরঞ্জন বলেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চ্যাটজিপিটির নির্মাতা ও ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান, গুগল ডিপমাইন্ডের প্রধান নির্বাহী ডেমিস হাসাবিস ও অ্যানথ্রোপিকের ডারিও অ্যামোডাইও এই বিবৃতির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।সেন্টার ফর এআই সেফটির ওয়েবসাইটে এআইয়ের বেপরোয়া বিকাশে কয়েকটি দুর্যোগের সম্ভাব্য দৃশ্যের কথাও তুলে ধরা হয়েছে।

প্রথমত, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে অস্ত্র বানানো যেতে পারে। উদাহরণ হিসেবে এআইয়ের ওষুধ-আবিষ্কার টুলসকে রাসায়নিক অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহারের ঝুঁকির কথা বলা হয়েছে।দ্বিতীয়ত, এআইয়ের মাধ্যমে তৈরি করা ভুল তথ্য সমাজকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে, যা সম্মিলিত সিদ্ধান্ত গ্রহণকে দুর্বল করে ফেলে।

আরও পড়ুন: বাজেট পেশ করতে সংসদে অর্থমন্ত্রী

তৃতীয়ত, এআইয়ের শক্তি ক্রমবর্ধমানভাবে অল্প লোকের হাতে কেন্দ্রীভূত হতে পারে, যা ‘সর্বাধিক নজরদারি এবং নিপীড়নমূলক সেন্সরশিপের মাধ্যমে সংকীর্ণ মূল্যবোধ প্রয়োগ করতে’ সক্ষম করবে। এছাড়া মানুষের দুর্বলতা, যেখানে মানুষ এআইয়ের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে ‘ওয়াল-ই চলচ্চিত্রে চিত্রিত দৃশ্যের অনুরূপ’।

অতি-বুদ্ধিমান এআই থেকে ঝুঁকি সম্পর্কে পূর্বে সতর্কতা জারি করা ড. জিওফ্রে হিন্টন সেন্টার ফর এআই সেফটিকে সমর্থন করেছেন। মন্ট্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানের অধ্যাপক ইয়োশুয়া বেঙ্গিও-ওই বিবৃতিতে সই করেছেন।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

মানবসভ্যতার বিলুপ্তি ঘটাতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা!

আপডেট: ০১:২৩:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মানবসভ্যতাকে বিলুপ্তির দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ওপেনএআই ও গুগল ডিপমাইন্ডের প্রধানসহ অন্তত এক ডজন এআই বিশেষজ্ঞ এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুনফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউভ

মঙ্গলবার (৩০ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এআই সেফটি সেন্টারের ওয়েবপেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ওই ঝুঁকির বিষয়ে সমর্থন প্রকাশ করেছেন তারা।বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মহামারি ও পারমাণবিক যুদ্ধের মতো অন্যান্য সামাজিক ঝুঁকির মতো এআই থেকে বিলুপ্তির ঝুঁকি হ্রাসের বিষয়টিকে বিশ্বজুড়ে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত।

তবে অন্য বিশেষজ্ঞরা এআই নিয়ে এ ধরনের সতর্কবার্তাকে অতিরঞ্জন বলেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চ্যাটজিপিটির নির্মাতা ও ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান, গুগল ডিপমাইন্ডের প্রধান নির্বাহী ডেমিস হাসাবিস ও অ্যানথ্রোপিকের ডারিও অ্যামোডাইও এই বিবৃতির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।সেন্টার ফর এআই সেফটির ওয়েবসাইটে এআইয়ের বেপরোয়া বিকাশে কয়েকটি দুর্যোগের সম্ভাব্য দৃশ্যের কথাও তুলে ধরা হয়েছে।

প্রথমত, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে অস্ত্র বানানো যেতে পারে। উদাহরণ হিসেবে এআইয়ের ওষুধ-আবিষ্কার টুলসকে রাসায়নিক অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহারের ঝুঁকির কথা বলা হয়েছে।দ্বিতীয়ত, এআইয়ের মাধ্যমে তৈরি করা ভুল তথ্য সমাজকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে, যা সম্মিলিত সিদ্ধান্ত গ্রহণকে দুর্বল করে ফেলে।

আরও পড়ুন: বাজেট পেশ করতে সংসদে অর্থমন্ত্রী

তৃতীয়ত, এআইয়ের শক্তি ক্রমবর্ধমানভাবে অল্প লোকের হাতে কেন্দ্রীভূত হতে পারে, যা ‘সর্বাধিক নজরদারি এবং নিপীড়নমূলক সেন্সরশিপের মাধ্যমে সংকীর্ণ মূল্যবোধ প্রয়োগ করতে’ সক্ষম করবে। এছাড়া মানুষের দুর্বলতা, যেখানে মানুষ এআইয়ের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে ‘ওয়াল-ই চলচ্চিত্রে চিত্রিত দৃশ্যের অনুরূপ’।

অতি-বুদ্ধিমান এআই থেকে ঝুঁকি সম্পর্কে পূর্বে সতর্কতা জারি করা ড. জিওফ্রে হিন্টন সেন্টার ফর এআই সেফটিকে সমর্থন করেছেন। মন্ট্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানের অধ্যাপক ইয়োশুয়া বেঙ্গিও-ওই বিবৃতিতে সই করেছেন।

ঢাকা/এসএম