০১:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
হাউজ পরিদর্শন ও তদন্তে অসহযোগিতা

মাল্টি সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে বিএসইসি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৫৭:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১০৪৭৫ বার দেখা হয়েছে

তদন্তে সহযোগিতা না করায় দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্রোকারহাউজ মাল্টি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এসব ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে-আইপিও/আরপিও/কিউআইও’র কোটা স্থগিত রাখা, প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স নবায়ন স্থগিত রাখা, স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ার কেনাবেচায় মার্জিন লিমিটেডের ফ্রি লিমিট স্থগিত রাখা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রতিষ্ঠানটির নানা অনিয়ম তদন্তে বিএসইসি গঠিত তদন্ত কমিটির কাজে বাধা দেওয়া ও অসহযোগিতার অভিযোগে এই ব্যবস্থা নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিএসইসি এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে। বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

তথ্যানুযায়ী, মাল্টি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডে সম্মিলিত গ্রাহক হিসাবে বড় আকারের ঘাটতিসহ নানা অনিয়মের আভিযোগ রয়েছে। এসব আভিযোগ তদন্তে গত ৪ জুলাই বিএসইসি একটি কমিটি গঠন করে। কমিটির সদস্যরা গতকাল বুধবার মাল্টি সিকিউরিটিজের অফিস পরিদর্শনে যায়। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা তদন্ত কমিটিকে কোনো সহযোগিতা করেনি। এমনকি কমিটি কর্মকর্তাদেরকে কিছু নথিপত্র সরবরাহ করার জন্য অনুরোধ জানালে তারা তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। কমিটি ব্রোকারহাউজটির ব্যাক-অফিস সফটওয়্যার দেখতে চাইলে তা-ও দেখতে দেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন: ন্যাশনাল টি’র পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের দাবিতে বিক্ষোভ

কমিটি ওই ব্রোকারহাউজের গ্রাহকদের অর্থ ও শেয়ারের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। এছাড়া ব্রোকারহাউজটির দুই কর্ণধার চৌধুরী নাফিজ সরাফাত ও হাসান তাহের ইমামের কোনো সন্দেহজনক লেনদেন আছে কিনা, সে ব্যাপারেও অন্ধকারে আছে কমিটি। এ বাস্তবতায় বিনিয়োগকারী ও বাজারের স্বার্থে নিচের ব্যবস্থাগুলো নিয়েছে বিএসইসি-

০১. পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত ব্রোকারহাউজটির ফ্রি লিমিট সুবিধা স্থগিত থাকবে।

০২. শেয়ারহোল্ডার হিসেবে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে প্রতিষ্ঠানটির যে লভ্যাংশ পাওয়ার কথা, সেটি স্থগিত থাকবে।

০৩. ব্রোকারহাউজটি পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত আইপিও/আরপিও/কিউআইও এর কোনো কোটা সুবিধা পাবে না বা এলিজিবল ইনভেস্টর/কোয়ালিফাইয়েড ইনভেস্টর হিসেবে কোনো নিলামে অংশ নিতে পারবে না।

০৪. স্টক ব্রোকার ও ডিপোজিটরি পার্টিসিপেন্ট (ডিপি) এর লাইসেন্স নবায়নের সুযোগ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে।

০৫. ব্রোকারহাউজটি পরবর্তী নির্দেশ না দেওযা পর্যন্ত নতুন কোনো শাখা বা ডিজিটাল বুথ খুলতে পারবে না।

০৬. ব্রোকারহাউজটির দুই কর্ণধার চৌধুরী নাফিজ সরাফাত ও হাসান তাহের ইমাম এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও পরিচালক জালাল একরামুল কবীরের সব বিও হিসাবও স্থগিত থাকবে।

০৭. সম্মিলিত গ্রাহক হিসাবের ঘাটতি সমন্বয় করার পর স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ কমপক্ষে এক বছর প্রতিষ্ঠানটিকে নিবিড় মনিটরিংয়ে রাখবে।

ঢাকা/এসআর

শেয়ার করুন

হাউজ পরিদর্শন ও তদন্তে অসহযোগিতা

মাল্টি সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে বিএসইসি

আপডেট: ১১:৫৭:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪

তদন্তে সহযোগিতা না করায় দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্রোকারহাউজ মাল্টি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এসব ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে-আইপিও/আরপিও/কিউআইও’র কোটা স্থগিত রাখা, প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স নবায়ন স্থগিত রাখা, স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ার কেনাবেচায় মার্জিন লিমিটেডের ফ্রি লিমিট স্থগিত রাখা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রতিষ্ঠানটির নানা অনিয়ম তদন্তে বিএসইসি গঠিত তদন্ত কমিটির কাজে বাধা দেওয়া ও অসহযোগিতার অভিযোগে এই ব্যবস্থা নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিএসইসি এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে। বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

তথ্যানুযায়ী, মাল্টি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডে সম্মিলিত গ্রাহক হিসাবে বড় আকারের ঘাটতিসহ নানা অনিয়মের আভিযোগ রয়েছে। এসব আভিযোগ তদন্তে গত ৪ জুলাই বিএসইসি একটি কমিটি গঠন করে। কমিটির সদস্যরা গতকাল বুধবার মাল্টি সিকিউরিটিজের অফিস পরিদর্শনে যায়। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা তদন্ত কমিটিকে কোনো সহযোগিতা করেনি। এমনকি কমিটি কর্মকর্তাদেরকে কিছু নথিপত্র সরবরাহ করার জন্য অনুরোধ জানালে তারা তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। কমিটি ব্রোকারহাউজটির ব্যাক-অফিস সফটওয়্যার দেখতে চাইলে তা-ও দেখতে দেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন: ন্যাশনাল টি’র পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের দাবিতে বিক্ষোভ

কমিটি ওই ব্রোকারহাউজের গ্রাহকদের অর্থ ও শেয়ারের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। এছাড়া ব্রোকারহাউজটির দুই কর্ণধার চৌধুরী নাফিজ সরাফাত ও হাসান তাহের ইমামের কোনো সন্দেহজনক লেনদেন আছে কিনা, সে ব্যাপারেও অন্ধকারে আছে কমিটি। এ বাস্তবতায় বিনিয়োগকারী ও বাজারের স্বার্থে নিচের ব্যবস্থাগুলো নিয়েছে বিএসইসি-

০১. পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত ব্রোকারহাউজটির ফ্রি লিমিট সুবিধা স্থগিত থাকবে।

০২. শেয়ারহোল্ডার হিসেবে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে প্রতিষ্ঠানটির যে লভ্যাংশ পাওয়ার কথা, সেটি স্থগিত থাকবে।

০৩. ব্রোকারহাউজটি পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত আইপিও/আরপিও/কিউআইও এর কোনো কোটা সুবিধা পাবে না বা এলিজিবল ইনভেস্টর/কোয়ালিফাইয়েড ইনভেস্টর হিসেবে কোনো নিলামে অংশ নিতে পারবে না।

০৪. স্টক ব্রোকার ও ডিপোজিটরি পার্টিসিপেন্ট (ডিপি) এর লাইসেন্স নবায়নের সুযোগ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে।

০৫. ব্রোকারহাউজটি পরবর্তী নির্দেশ না দেওযা পর্যন্ত নতুন কোনো শাখা বা ডিজিটাল বুথ খুলতে পারবে না।

০৬. ব্রোকারহাউজটির দুই কর্ণধার চৌধুরী নাফিজ সরাফাত ও হাসান তাহের ইমাম এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও পরিচালক জালাল একরামুল কবীরের সব বিও হিসাবও স্থগিত থাকবে।

০৭. সম্মিলিত গ্রাহক হিসাবের ঘাটতি সমন্বয় করার পর স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ কমপক্ষে এক বছর প্রতিষ্ঠানটিকে নিবিড় মনিটরিংয়ে রাখবে।

ঢাকা/এসআর