মিউচুয়াল ফান্ডের ৪৫ কোটি টাকা লোপাট: দুদককে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ

- আপডেট: ০২:৩৯:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১০১৭৬ বার দেখা হয়েছে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুটি মিউচুয়াল ফান্ড থেকে ইউনিটহোল্ডারদের ৪৫ কোটি ৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে অ্যালায়েন্স ক্যাপিটাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বিনিয়োগকারীদের বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) একটি কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
সম্প্রতি বিএসইসি প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খন্দকার আসাদুল ইসলামসহ সব পরিচালকের ব্যাংক হিসাব এবং এনবিএফআই হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলন বন্ধের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর সচিব বরাবর একটি চিঠি পাঠিয়েছে।
বিএসইসি-র তদন্তে দেখা গেছে, অ্যালায়েন্স ক্যাপিটালের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত এমটিবি ইউনিট ফান্ড এবং অ্যালায়েন্স সন্ধানী লাইফ ইউনিট ফান্ড থেকে ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
তদন্তে কেবল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিই নয়, ফান্ড দুটির ট্রাস্টি, নিরীক্ষক ও কাস্টডিয়ানেরও দায়িত্বহীনতা খুঁজে পাওয়া গেছে। প্রতিষ্ঠানটি বিনিয়োগকারীদের অর্থ সঠিকভাবে পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং নিয়ম ভেঙে ব্যক্তিস্বার্থে এই অর্থ পাচার করেছে।
আরও পড়ুন: দেশি-বিদেশি কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে টানতে আইনী উদ্যোগ
বিএসইসি তাদের চিঠিতে বলেছে, ফান্ড দুটির ট্রাস্টি বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি পিএলসি (বিজিআইসি) আগামী দুই মাসের মধ্যে কমিশনের প্যানেলভুক্ত নিরীক্ষকের মাধ্যমে ফান্ডের পুনর্মূল্যায়ন সম্পন্ন করবে। এরপর এক মাসের মধ্যে ইউনিটহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে ফান্ডের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিয়ে কমিশনকে জানাতে হবে। এর আগ পর্যন্ত সব ধরনের ব্যাংক ও এনবিএফআই হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলন বন্ধ থাকবে।
বিএসইসি-র তদন্ত কমিটি আরও জানিয়েছে, অর্থ পাচারের বিষয়ে ব্যাখ্যা চাইলে খন্দকার আসাদুল ইসলাম কোনো সহযোগিতা করেননি। তার দেশত্যাগের আশঙ্কা থাকায় ২০২৩ সালের ২৮ মার্চ বিএসইসি বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখা এবং ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে পৃথক চিঠি দিয়ে তার দেশত্যাগ ঠেকানোর অনুরোধ জানায়।
ঢাকা/এসএইচ