০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

মিয়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধ ছাড়া সব প্রচেষ্টা করেছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:১৪:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০২৩
  • / ৪১৬৪ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করতে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধ ছাড়া সব ধরনের প্রচেষ্টা করেছেন জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বিভিন্ন শক্তি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন যেন না হয়, সেজন্য পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেন মন্ত্রী।

আজ শনিবার (৮ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৭০’র দশকে এবং ৮০’র দশকে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। তখন আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়েছে। কিন্তু সবশেষ অনেক বেশি রোহিঙ্গা পাঠিয়েছে। তারা (মিয়ানমার) আমাদের বলেছে, রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাবে। কিন্তু মিয়ানমার তার কথা রাখেনি। কিন্তু তারা কখনো বলে নাই যে নেবে না। আমি এজন্য আশাবাদী, তারা (মিয়ানমার) নেবে।

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে সরকারের, বিশেষ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবস্থান তুলে ধরেন মোমেন। তিনি বলেন, আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করে যাচ্ছি। কিন্তু আমরা এখনো খুব সাফল্য পাইনি। দ্বিপাক্ষিক প্রচেষ্টা চলছে। আমরা বহুপাক্ষিক ফোরামে বিষয়টা নিয়ে গেছি, সেখানেও অনেক কথাবার্তা হচ্ছে। আস্তে আস্তে উন্নতি হচ্ছে। কিন্তু এখনো একজন রোহিঙ্গাও যায়নি।

‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুদ্ধ ছাড়া সব কিছু করেছে। আমরা সব অপশন খোলা রেখেছি। আমাদের বিশ্বাস, আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করব। আমরা আশাবাদী,’ যোগ করেন মোমেন।

আরও পড়ুন: বছরের সর্বোচ্চ ৮২০ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাধা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কারও নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, বিভিন্ন শক্তি এবং অন্যান্য গোষ্ঠী রোহিঙ্গারা যেন না যায়, তার জন্য পাঁয়তারা করছে। ওদের (রোহিঙ্গাদের) বোঝাচ্ছেন যে, যেয়ো না। এটা খুব দুঃখজনক। কিন্তু ওদের (রোহিঙ্গাদের) ভবিষ্যৎ সুন্দর হবে নিজের দেশে গেলে। অধিকাংশ রোহিঙ্গা তার নিজের দেশে যেতে চায়।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে নিয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে পাইলট প্রকল্প নিয়ে চীনের ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগেও বিভিন্ন বাধা রয়েছে জানিয়ে মোমেন বলেন, পাইলট প্রকল্প করার চেষ্টা করেছি। এখন অনেক লোক ওটাতে বাধা দিচ্ছে। অনেকে বাধা দিচ্ছে। এটা দুঃখজনক।

অতীতের মতো এবারও প্রত্যাবাসন নিয়ে আশার কথা শোনান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি সব সময় আশাবাদী। আমি আশা করি, এ সমস্যার সমাধান করতে পারব।

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিক্যাব) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে সংগঠনের সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েস বক্তব্য দেন।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

মিয়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধ ছাড়া সব প্রচেষ্টা করেছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট: ০৬:১৪:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০২৩

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করতে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধ ছাড়া সব ধরনের প্রচেষ্টা করেছেন জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বিভিন্ন শক্তি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন যেন না হয়, সেজন্য পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেন মন্ত্রী।

আজ শনিবার (৮ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৭০’র দশকে এবং ৮০’র দশকে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। তখন আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়েছে। কিন্তু সবশেষ অনেক বেশি রোহিঙ্গা পাঠিয়েছে। তারা (মিয়ানমার) আমাদের বলেছে, রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাবে। কিন্তু মিয়ানমার তার কথা রাখেনি। কিন্তু তারা কখনো বলে নাই যে নেবে না। আমি এজন্য আশাবাদী, তারা (মিয়ানমার) নেবে।

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে সরকারের, বিশেষ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবস্থান তুলে ধরেন মোমেন। তিনি বলেন, আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করে যাচ্ছি। কিন্তু আমরা এখনো খুব সাফল্য পাইনি। দ্বিপাক্ষিক প্রচেষ্টা চলছে। আমরা বহুপাক্ষিক ফোরামে বিষয়টা নিয়ে গেছি, সেখানেও অনেক কথাবার্তা হচ্ছে। আস্তে আস্তে উন্নতি হচ্ছে। কিন্তু এখনো একজন রোহিঙ্গাও যায়নি।

‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুদ্ধ ছাড়া সব কিছু করেছে। আমরা সব অপশন খোলা রেখেছি। আমাদের বিশ্বাস, আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করব। আমরা আশাবাদী,’ যোগ করেন মোমেন।

আরও পড়ুন: বছরের সর্বোচ্চ ৮২০ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাধা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কারও নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, বিভিন্ন শক্তি এবং অন্যান্য গোষ্ঠী রোহিঙ্গারা যেন না যায়, তার জন্য পাঁয়তারা করছে। ওদের (রোহিঙ্গাদের) বোঝাচ্ছেন যে, যেয়ো না। এটা খুব দুঃখজনক। কিন্তু ওদের (রোহিঙ্গাদের) ভবিষ্যৎ সুন্দর হবে নিজের দেশে গেলে। অধিকাংশ রোহিঙ্গা তার নিজের দেশে যেতে চায়।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে নিয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে পাইলট প্রকল্প নিয়ে চীনের ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগেও বিভিন্ন বাধা রয়েছে জানিয়ে মোমেন বলেন, পাইলট প্রকল্প করার চেষ্টা করেছি। এখন অনেক লোক ওটাতে বাধা দিচ্ছে। অনেকে বাধা দিচ্ছে। এটা দুঃখজনক।

অতীতের মতো এবারও প্রত্যাবাসন নিয়ে আশার কথা শোনান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি সব সময় আশাবাদী। আমি আশা করি, এ সমস্যার সমাধান করতে পারব।

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিক্যাব) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে সংগঠনের সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েস বক্তব্য দেন।

ঢাকা/টিএ