০২:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় ইলিশ বিক্রির ধুম!

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:২১:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১
  • / ১০৪৩৯ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ মুন্সীগঞ্জের মাওয়া মৎস্য আড়তে বেড়েছে ইলিশের সরবরাহ। লকডাউনের ছুটির দিনে পদ্মার তাজা রুপালী ইলিশের পসরা ঘিরে ছিল উপচে পড়া ভিড়। করোনা সংক্রমণ ঝুঁকিতেই প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যেই চলছে বেচাকেনা। কিন্তু চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেড়েছে বলছেন ক্রেতারা। দাম বেশি হলেও গাদাগাদি ভিড়েই ধুম বিক্রি চলছে ইলিশের। অর্ধ শতাব্দী প্রচীন দেশসেরা এই ভেরের ইলিশের হাটে দুই ঘণ্টায় বিক্রি হয় প্রায় কোটি টাকার মাছ।

দু’মাসের নিষেধাজ্ঞার পর মুন্সীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী মাওয়া মৎস্য আড়তে বাড়ছে ইলিশের সরবরাহ। ছুটির দিনে অনেকেই ছুটে আসা তাজা ইলিশের সন্ধানে।
শুক্রবার (৭ মে) দুপুরে মাওয়া মৎস্য আড়তের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের এই মৎস্য আড়ত রুপালী ইলিশের জন্য দেশসেরা। কারণ এখানকার ইলিশ তাজা। নদী থেকে ধরে সঙ্গে সঙ্গে আড়তে এনে বিক্রি করা হয়। আজ বড় মাছের কেজি এখানে ১৫শ থেকে ১৬শ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আর যে মাছের ওজন ৭শ’ গ্রাম থেকে ৯শ’ গ্রাম সেই ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৮শ’ থেকে হাজার টাকায়।

তিনি বলেন, আমাদের এই হাটটি খুবই ছোট। সরকার যদি এখানে আরও দুই বিঘা জায়গা দিত তাহলে আমরা স্বাচ্ছন্দে বেচাকেনা করতে পারতাম। এমন গাদাগাদি, ভিড় এখানে হতো না। মানুষের তুলনায় এখানে জায়গা একেবারেই কম।
স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি বলেন, এই আড়তে ইলিশসহ দেশীয় প্রজাতির নানা ধরনের তাজা মাছ ওঠে। ফরমালিনমুক্ত তাজা মাছের কারণে এই আড়তের মাছের চাহিদা বেশি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই এই আড়তে ক্রেতা বিক্রেতারা আসেন।

তিনি বলেন, ৫০ বছরের পুরনো আড়তটি সংস্কার করা প্রয়োজন। তাই দেশসেরা ভোরের ইলিশের হাটের আধুনিকায়নের জন্য প্রস্তুত সরকার। কিন্তু এখান দিয়ে এখন পদ্মা সেতু হচ্ছে। কোন সময় কোন জায়গাটা পদ্মা সেতুর কাজে লাগবে, এখনও যারা সেতু কর্তৃপক্ষ আছে তার পুরো ডিজাইনটা বাস্তাবায়ন করে নাই। পুরোটা বাস্তবায়ন হওয়ার আগেই যদি কোন জায়গা নিয়ে ধরেন ভবন করলাম, তারপর ঐ জায়গাটা সেতুর কোন কাজে লাগলো, এজন্য আমরা একটু সময় নিচ্ছি। সেতুর কাজ শেষ হয়ে গেলে আমরা জায়গা বের করে স্থায়ীভাবে আড়তটি করে দিব।
এদিকে, বড় ইলিশ ধরা গেলেও ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা শিকার নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

ঢাকা/এমআর

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় ইলিশ বিক্রির ধুম!

আপডেট: ০৫:২১:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ মুন্সীগঞ্জের মাওয়া মৎস্য আড়তে বেড়েছে ইলিশের সরবরাহ। লকডাউনের ছুটির দিনে পদ্মার তাজা রুপালী ইলিশের পসরা ঘিরে ছিল উপচে পড়া ভিড়। করোনা সংক্রমণ ঝুঁকিতেই প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যেই চলছে বেচাকেনা। কিন্তু চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেড়েছে বলছেন ক্রেতারা। দাম বেশি হলেও গাদাগাদি ভিড়েই ধুম বিক্রি চলছে ইলিশের। অর্ধ শতাব্দী প্রচীন দেশসেরা এই ভেরের ইলিশের হাটে দুই ঘণ্টায় বিক্রি হয় প্রায় কোটি টাকার মাছ।

দু’মাসের নিষেধাজ্ঞার পর মুন্সীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী মাওয়া মৎস্য আড়তে বাড়ছে ইলিশের সরবরাহ। ছুটির দিনে অনেকেই ছুটে আসা তাজা ইলিশের সন্ধানে।
শুক্রবার (৭ মে) দুপুরে মাওয়া মৎস্য আড়তের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের এই মৎস্য আড়ত রুপালী ইলিশের জন্য দেশসেরা। কারণ এখানকার ইলিশ তাজা। নদী থেকে ধরে সঙ্গে সঙ্গে আড়তে এনে বিক্রি করা হয়। আজ বড় মাছের কেজি এখানে ১৫শ থেকে ১৬শ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আর যে মাছের ওজন ৭শ’ গ্রাম থেকে ৯শ’ গ্রাম সেই ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৮শ’ থেকে হাজার টাকায়।

তিনি বলেন, আমাদের এই হাটটি খুবই ছোট। সরকার যদি এখানে আরও দুই বিঘা জায়গা দিত তাহলে আমরা স্বাচ্ছন্দে বেচাকেনা করতে পারতাম। এমন গাদাগাদি, ভিড় এখানে হতো না। মানুষের তুলনায় এখানে জায়গা একেবারেই কম।
স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি বলেন, এই আড়তে ইলিশসহ দেশীয় প্রজাতির নানা ধরনের তাজা মাছ ওঠে। ফরমালিনমুক্ত তাজা মাছের কারণে এই আড়তের মাছের চাহিদা বেশি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই এই আড়তে ক্রেতা বিক্রেতারা আসেন।

তিনি বলেন, ৫০ বছরের পুরনো আড়তটি সংস্কার করা প্রয়োজন। তাই দেশসেরা ভোরের ইলিশের হাটের আধুনিকায়নের জন্য প্রস্তুত সরকার। কিন্তু এখান দিয়ে এখন পদ্মা সেতু হচ্ছে। কোন সময় কোন জায়গাটা পদ্মা সেতুর কাজে লাগবে, এখনও যারা সেতু কর্তৃপক্ষ আছে তার পুরো ডিজাইনটা বাস্তাবায়ন করে নাই। পুরোটা বাস্তবায়ন হওয়ার আগেই যদি কোন জায়গা নিয়ে ধরেন ভবন করলাম, তারপর ঐ জায়গাটা সেতুর কোন কাজে লাগলো, এজন্য আমরা একটু সময় নিচ্ছি। সেতুর কাজ শেষ হয়ে গেলে আমরা জায়গা বের করে স্থায়ীভাবে আড়তটি করে দিব।
এদিকে, বড় ইলিশ ধরা গেলেও ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা শিকার নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

ঢাকা/এমআর