১০:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

মূলধন ঘাটতিতে ডুবছে ১০ ব্যাংক

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:৫৯:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ মার্চ ২০২২
  • / ১০৩১৭ বার দেখা হয়েছে

শফীউল আলম সুমন: ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতির পরিমাণ ৩৪ হাজার ৬৩৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা। যা ২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে ছিলো ২৮ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা। সেই হিসেবে ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতির পরিমাণ বেড়েছে ৫ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা।  বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে,  দেশের সরকারি ব্যাংকগুলোর বেশির ভাগই ন্যূনতম মূলধন সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়েছে। তবে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মূলধন সংরক্ষণে ইতিবাচক ধারা লক্ষ্য করা গেছে। বিদায়ী বছরে মূলধন সংরক্ষণে ব্যর্থ ব্যাংকগুলোর মধ্যে ৭টি সরকারি, ৩টি বেসরকারি ব্যাংক রয়েছে। তাদের মোট মূলধন ঘাটতির পরিমাণ ৩৪ হাজার ৬৩৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এই তালিকায় কোনো বিদেশি ব্যাংক নেই।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনিয়ম, দুর্নীতি আর নানা অব্যবস্থাপনার কারকে দেশের ব্যাংকিংখাতে চলছে একধরনের স্বেচ্ছাচারিতা। যাচাই-বাছাই না করে ভুয়া প্রতিষ্ঠানে ঋণ দেওয়া হচ্ছে, যা পরবর্তী সময়ে খেলাপি হয়ে পড়ছে। এসব ঋণের বিপরীতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হচ্ছে ব্যাংকগুলোকে। বাড়তি অর্থ জোগাতে হাত দিতে হচ্ছে মূলধনে। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে সঙ্কট।

জানা গেছে, আন্তর্জাতিক নীতিমালার আলোকে ব্যাংকগুলোকে মূলধন সংরক্ষণ করতে হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে ব্যাসেল-৩ নীতিমালার আলোকে ব্যাংকের ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ১০ শতাংশ অথবা ৪০০ কোটি টাকার মধ্যে যেটি বেশি, সে পরিমাণ মূলধন রাখতে হচ্ছে। কোনো ব্যাংক এ পরিমাণ অর্থ সংরক্ষণে ব্যর্থ হলে মূলধন ঘাটতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। 

মূলধন ঘাটতিতে থাকা সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনতা ব্যাংকের। বিদায়ী বছরে ব্যাংকটির মোট মূলধন ঘাটতির পরিমাণ ৪ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। অগ্রণী ব্যাংকের ঘাটতির পরিমাণ ৩ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা, সোনালী ব্যাংক ৩ হাজার ৬৩৯ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংকের ৩ হজার ৩৭ কোটি এবং বেসিক ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ২ হাজার ৫২৯ কোটি টাকা। 

বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ১ হাজার ৮৮ কোটি টাকা, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক ১ হাজার ৬৬১ কোটি টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংকের  ঘাটতি ৪৫৬ কোটি টাকা। 

এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ১২ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ১ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকার মূলধন ঘাটতিতে পড়েছে।ৎ

বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংকগুলোকে অনেক ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন ঋণ আদায়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কতিপয় ব্যাংক কর্মকর্তা ও উদ্যোক্তা প্রভাব খাটিয়ে নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিয়ে তা তুলতে পারছে না ব্যাংক, ম্যানেজম্যান্ট ও ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটির কারণেও ব্যাংকের মূলধনের ঘাটতি হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসব ব্যাপারে আরো দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। অনেকের জবাবদিহিতাও নেই, নিজেদের ইচ্ছে মত চলছে। আদায় না হওয়ায় খেলাপি ঋণ বাড়ছে। নিয়ম অনুযায়ী খেলাপির বিপরীতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি রাখতে গিয়ে মূলধন ঘাটতি‌তে প‌ড়ে‌ছে ব্যাংকগুলো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ থেকে অবলোপনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৭ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকা। এর পাশাপাশি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। এ দুটি সংখ্যা যোগ করলে ব্যাংকগুলোর অনাদায়ী ঋণ রয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ১২৫ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অপর আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের (২০২১-২০২২) ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকখাতের মোট ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ১ হাজার ৭৯৭ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে এক লাখ ৩ হাজার ২৭৩ কোটি টাকা খেলাপিতে পরিণত হয়েছে, যা মোট ঋণের ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। করোনা শুরু হওয়া দেশের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ে। ব্যবসায়ীরাও ঋণ নিতে আগ্রহী ছিলেন না। সেকারণে ২০২০-এর ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ ছিলো ৮৮ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ। সেই হিসাবে ২০২১ সালে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৪ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা।

তথ্য বলছে, মোট খেলাপির মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত দুই লাখ ৩৩ হাজার ২৯৭ কোটি টাকার মধ্যে খেলাপি ৪৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ৯ লাখ ৭০ হাজার ৪০৫ কোটি টাকার বিতরণ করেছে। যার মধ্যে খেলাপি ৫১ হাজার ৫২১ কোটি টাকা। বিদেশি ব্যাংকগুলো ৬৪ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে। এর মধ্যে দুই হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার খেলাপি হয়ে পড়েছে। এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ব বিশেষায়িত তিন ব্যাংকের বিতরণ করা ৩৩ হাজার ১৯৬ কোটি টাকার মধ্যে তিন হাজার ৯৯১ কোটি টাকা খেলাপি রয়েছে।

বিজনেস জার্নাল/ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

মূলধন ঘাটতিতে ডুবছে ১০ ব্যাংক

আপডেট: ০৭:৫৯:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ মার্চ ২০২২

শফীউল আলম সুমন: ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতির পরিমাণ ৩৪ হাজার ৬৩৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা। যা ২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে ছিলো ২৮ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা। সেই হিসেবে ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতির পরিমাণ বেড়েছে ৫ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা।  বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে,  দেশের সরকারি ব্যাংকগুলোর বেশির ভাগই ন্যূনতম মূলধন সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়েছে। তবে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মূলধন সংরক্ষণে ইতিবাচক ধারা লক্ষ্য করা গেছে। বিদায়ী বছরে মূলধন সংরক্ষণে ব্যর্থ ব্যাংকগুলোর মধ্যে ৭টি সরকারি, ৩টি বেসরকারি ব্যাংক রয়েছে। তাদের মোট মূলধন ঘাটতির পরিমাণ ৩৪ হাজার ৬৩৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এই তালিকায় কোনো বিদেশি ব্যাংক নেই।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনিয়ম, দুর্নীতি আর নানা অব্যবস্থাপনার কারকে দেশের ব্যাংকিংখাতে চলছে একধরনের স্বেচ্ছাচারিতা। যাচাই-বাছাই না করে ভুয়া প্রতিষ্ঠানে ঋণ দেওয়া হচ্ছে, যা পরবর্তী সময়ে খেলাপি হয়ে পড়ছে। এসব ঋণের বিপরীতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হচ্ছে ব্যাংকগুলোকে। বাড়তি অর্থ জোগাতে হাত দিতে হচ্ছে মূলধনে। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে সঙ্কট।

জানা গেছে, আন্তর্জাতিক নীতিমালার আলোকে ব্যাংকগুলোকে মূলধন সংরক্ষণ করতে হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে ব্যাসেল-৩ নীতিমালার আলোকে ব্যাংকের ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ১০ শতাংশ অথবা ৪০০ কোটি টাকার মধ্যে যেটি বেশি, সে পরিমাণ মূলধন রাখতে হচ্ছে। কোনো ব্যাংক এ পরিমাণ অর্থ সংরক্ষণে ব্যর্থ হলে মূলধন ঘাটতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। 

মূলধন ঘাটতিতে থাকা সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনতা ব্যাংকের। বিদায়ী বছরে ব্যাংকটির মোট মূলধন ঘাটতির পরিমাণ ৪ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। অগ্রণী ব্যাংকের ঘাটতির পরিমাণ ৩ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা, সোনালী ব্যাংক ৩ হাজার ৬৩৯ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংকের ৩ হজার ৩৭ কোটি এবং বেসিক ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ২ হাজার ৫২৯ কোটি টাকা। 

বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ১ হাজার ৮৮ কোটি টাকা, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক ১ হাজার ৬৬১ কোটি টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংকের  ঘাটতি ৪৫৬ কোটি টাকা। 

এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ১২ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ১ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকার মূলধন ঘাটতিতে পড়েছে।ৎ

বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংকগুলোকে অনেক ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন ঋণ আদায়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কতিপয় ব্যাংক কর্মকর্তা ও উদ্যোক্তা প্রভাব খাটিয়ে নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিয়ে তা তুলতে পারছে না ব্যাংক, ম্যানেজম্যান্ট ও ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটির কারণেও ব্যাংকের মূলধনের ঘাটতি হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসব ব্যাপারে আরো দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। অনেকের জবাবদিহিতাও নেই, নিজেদের ইচ্ছে মত চলছে। আদায় না হওয়ায় খেলাপি ঋণ বাড়ছে। নিয়ম অনুযায়ী খেলাপির বিপরীতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি রাখতে গিয়ে মূলধন ঘাটতি‌তে প‌ড়ে‌ছে ব্যাংকগুলো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ থেকে অবলোপনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৭ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকা। এর পাশাপাশি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। এ দুটি সংখ্যা যোগ করলে ব্যাংকগুলোর অনাদায়ী ঋণ রয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ১২৫ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অপর আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের (২০২১-২০২২) ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকখাতের মোট ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ১ হাজার ৭৯৭ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে এক লাখ ৩ হাজার ২৭৩ কোটি টাকা খেলাপিতে পরিণত হয়েছে, যা মোট ঋণের ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। করোনা শুরু হওয়া দেশের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ে। ব্যবসায়ীরাও ঋণ নিতে আগ্রহী ছিলেন না। সেকারণে ২০২০-এর ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ ছিলো ৮৮ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ। সেই হিসাবে ২০২১ সালে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৪ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা।

তথ্য বলছে, মোট খেলাপির মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত দুই লাখ ৩৩ হাজার ২৯৭ কোটি টাকার মধ্যে খেলাপি ৪৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ৯ লাখ ৭০ হাজার ৪০৫ কোটি টাকার বিতরণ করেছে। যার মধ্যে খেলাপি ৫১ হাজার ৫২১ কোটি টাকা। বিদেশি ব্যাংকগুলো ৬৪ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে। এর মধ্যে দুই হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার খেলাপি হয়ে পড়েছে। এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ব বিশেষায়িত তিন ব্যাংকের বিতরণ করা ৩৩ হাজার ১৯৬ কোটি টাকার মধ্যে তিন হাজার ৯৯১ কোটি টাকা খেলাপি রয়েছে।

বিজনেস জার্নাল/ঢাকা/এসএ