০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাড়ল নীতি সুদের হার

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ মে ২০২২
  • / ১০২৫৯ বার দেখা হয়েছে
বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নীতি সুদ হার বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার নেয়ার জন্য নির্ধারিত ‘রেপো’র সুদ হার শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ পয়েন্ট বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়, ‘সার্বিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের মূল্যস্ফীতি সীমিত রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের রেপো সুদ হার ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে দশমিক ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৫ শতাংশে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্দেশনাটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।’
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিশ্বব্যাপী করোনার প্রভাব শুরুর পর বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ২০২০ সালের মার্চে ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ করা হয়। পরের মাস এপ্রিলে আরও ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে নামানো হয় ৫ দশমিক ২৫ শতাংশে। এরপর বৈশ্বিক পরিস্থিতি খারাপ হলে তখন সুদ হার আরও ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। সবশেষ এখন সেখান থেকে বেসিস পয়েন্ট দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হলো।

রেপো বা পুনঃক্রয় চুক্তির মাধ্যমে ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার নিয়ে থাকে। ব্যাংকের কেনা ট্রেজারি বিল ও বন্ড জমা রেখে স্বল্প সময়ের জন্য এই ধার দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একইভাবে বাজার থেকে টাকা তোলার প্রয়োজন হলে রিভার্স রেপো বা বিপরীত পুনঃক্রয় চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা তুলে নেয়।

রিভার্স রেপোতে বর্তমানে সুদ হার নির্ধারিত আছে ৪ শতাংশ। রেপোর পাশাপাশি স্পেশাল রেপোর মাধ্যমেও ব্যাংকগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে টাকা ধার দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এখানে সুদ হার নির্ধারিত আছে ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে রোববার এ-সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে তা সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়।

রেপো সুদ হার পুনর্নির্ধারণ-সংক্রান্ত সার্কুলারে বলা হয়, ‘সার্বিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের মূল্যস্ফীতি সীমিত রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের রেপো সুদ হার ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে দশমিক ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৫ শতাংশে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্দেশনাটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।’

সার্কুলারে আরও বলা হয়, ‘করোনা ভাইরাসের টিকা প্রদান কার্যকর হওয়ার পর সংক্রমণের তীব্রতা কমে গেছে। অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন দেশের সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রসারণমূলক রাজস্ব ও মুদ্রানীতি গ্রহণ করায় বিশ্ব অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

‘একই সঙ্গে বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দীর্ঘসূত্রতার কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে নতুন অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলসহ সব ধরনের পণ্যমূল্যে (খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত) ঊর্ধ্বগতির পরিস্থিতি এবং অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক অর্থনীতির মুখ্য সূচকগুলো পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

দেশের মুদ্রানীতি সুষ্ঠুভাবে প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গঠিত মনিটারি পলিসি কমিটির (এমপিসি) ৫৪তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাড়ল নীতি সুদের হার

আপডেট: ১১:০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ মে ২০২২
বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নীতি সুদ হার বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার নেয়ার জন্য নির্ধারিত ‘রেপো’র সুদ হার শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ পয়েন্ট বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়, ‘সার্বিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের মূল্যস্ফীতি সীমিত রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের রেপো সুদ হার ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে দশমিক ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৫ শতাংশে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্দেশনাটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।’
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিশ্বব্যাপী করোনার প্রভাব শুরুর পর বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ২০২০ সালের মার্চে ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ করা হয়। পরের মাস এপ্রিলে আরও ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে নামানো হয় ৫ দশমিক ২৫ শতাংশে। এরপর বৈশ্বিক পরিস্থিতি খারাপ হলে তখন সুদ হার আরও ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। সবশেষ এখন সেখান থেকে বেসিস পয়েন্ট দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হলো।

রেপো বা পুনঃক্রয় চুক্তির মাধ্যমে ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার নিয়ে থাকে। ব্যাংকের কেনা ট্রেজারি বিল ও বন্ড জমা রেখে স্বল্প সময়ের জন্য এই ধার দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একইভাবে বাজার থেকে টাকা তোলার প্রয়োজন হলে রিভার্স রেপো বা বিপরীত পুনঃক্রয় চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা তুলে নেয়।

রিভার্স রেপোতে বর্তমানে সুদ হার নির্ধারিত আছে ৪ শতাংশ। রেপোর পাশাপাশি স্পেশাল রেপোর মাধ্যমেও ব্যাংকগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে টাকা ধার দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এখানে সুদ হার নির্ধারিত আছে ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে রোববার এ-সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে তা সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়।

রেপো সুদ হার পুনর্নির্ধারণ-সংক্রান্ত সার্কুলারে বলা হয়, ‘সার্বিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের মূল্যস্ফীতি সীমিত রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের রেপো সুদ হার ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে দশমিক ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৫ শতাংশে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্দেশনাটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।’

সার্কুলারে আরও বলা হয়, ‘করোনা ভাইরাসের টিকা প্রদান কার্যকর হওয়ার পর সংক্রমণের তীব্রতা কমে গেছে। অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন দেশের সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রসারণমূলক রাজস্ব ও মুদ্রানীতি গ্রহণ করায় বিশ্ব অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

‘একই সঙ্গে বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দীর্ঘসূত্রতার কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে নতুন অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলসহ সব ধরনের পণ্যমূল্যে (খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত) ঊর্ধ্বগতির পরিস্থিতি এবং অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক অর্থনীতির মুখ্য সূচকগুলো পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

দেশের মুদ্রানীতি সুষ্ঠুভাবে প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গঠিত মনিটারি পলিসি কমিটির (এমপিসি) ৫৪তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ঢাকা/টিএ