০২:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মেঘনায় পর্যটকবাহী ট্রলারডুবে ৮ জন নিখোঁজ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:০৬:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪
  • / ১০৩৬০ বার দেখা হয়েছে

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় পর্যটকবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পুলিশ কনস্টেবল, তার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েসহ এখনও আটজন নিখোঁজ রয়েছেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ শনিবার (২৩ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের চার জন ডুবুরি উদ্ধার অভিযান শুরু করলেও সকাল ১০টা পর্যন্ত নিখোঁজ আট জনের সন্ধান মেলেনি।

এর আগে শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টায় দিকে ভৈরবে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পরপর ১২ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। এদের মধ্যে সুবর্ণা বেগম নামে ভৈরব কমলপুরের এক নারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

গতকাল ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল ছয়জন নিখোঁজ রয়েছে। তবে শনিবার  স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানানো হয়, আরও দুই জনসহ মোট আটজন এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন।

নিখোঁজ যাত্রীরা হলেন- ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশের কন্সটেবল সোহেল রানা (৩৫), তার স্ত্রী মৌসুমি (২৫), মেয়ে মাহমুদা (৭) ও ছেলে রায়সুল (৫), ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়া এলাকার ঝন্টু দে’র স্ত্রী রুপা দে (৩০), তার ভাইয়ের মেয়ে আরাধ্য (১২) ও ভগ্নিপতি বেলন দে (৩৮) এছাড়াও ও নরসিংদীর রায়পুরা এলাকার আনিকা আক্তার (১৮)।

নিখোঁজদের উদ্ধারে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস, ভৈরব ফায়ার সার্ভিস, ভৈরব থানা এবং ভৈরব, নৌ-থানা পুলিশ কাজ করছে।

নিখোঁজ পুলিশ সদস্যের পিতা আব্দুল আলিম জানান, ভৈরব হাইওয়ে থানায় আমার ছেলে কর্মরত ছিল। সে পরিবারসহ বিকেলে ঘুরতে বেরিয়েছিল। নৌকা ডুবতে আমার সব শেষ হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানি কায়দায় ভারতের বিরোধিতা করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

নিখোঁজ বেলন দে এর দুলাভাই পবির দে জানান, আমাদের সাতজন আত্মীয় ডুবে যাওয়া ওই নৌকাতে ছিলেন। তাদের মধ্যে চারজনকে উদ্ধার করা হয়েছে গতকাল। এখন পর্যন্ত আমার শালক বেলন দে, আরাধ্যা দে ও রূপা দে নামে নারীকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ট্রলারে থাকা ২০ জন ডুবে যান। এদের মধ্যে ১২ জনকে উদ্ধার করা হলেও আটজন এখনও নিখোঁজ। এছাড়া এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকাল ফায়ার সার্ভিসের চার সদস্যের একটি ডুবরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

মেঘনায় পর্যটকবাহী ট্রলারডুবে ৮ জন নিখোঁজ

আপডেট: ০১:০৬:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় পর্যটকবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পুলিশ কনস্টেবল, তার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েসহ এখনও আটজন নিখোঁজ রয়েছেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ শনিবার (২৩ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের চার জন ডুবুরি উদ্ধার অভিযান শুরু করলেও সকাল ১০টা পর্যন্ত নিখোঁজ আট জনের সন্ধান মেলেনি।

এর আগে শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টায় দিকে ভৈরবে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পরপর ১২ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। এদের মধ্যে সুবর্ণা বেগম নামে ভৈরব কমলপুরের এক নারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

গতকাল ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল ছয়জন নিখোঁজ রয়েছে। তবে শনিবার  স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানানো হয়, আরও দুই জনসহ মোট আটজন এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন।

নিখোঁজ যাত্রীরা হলেন- ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশের কন্সটেবল সোহেল রানা (৩৫), তার স্ত্রী মৌসুমি (২৫), মেয়ে মাহমুদা (৭) ও ছেলে রায়সুল (৫), ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়া এলাকার ঝন্টু দে’র স্ত্রী রুপা দে (৩০), তার ভাইয়ের মেয়ে আরাধ্য (১২) ও ভগ্নিপতি বেলন দে (৩৮) এছাড়াও ও নরসিংদীর রায়পুরা এলাকার আনিকা আক্তার (১৮)।

নিখোঁজদের উদ্ধারে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস, ভৈরব ফায়ার সার্ভিস, ভৈরব থানা এবং ভৈরব, নৌ-থানা পুলিশ কাজ করছে।

নিখোঁজ পুলিশ সদস্যের পিতা আব্দুল আলিম জানান, ভৈরব হাইওয়ে থানায় আমার ছেলে কর্মরত ছিল। সে পরিবারসহ বিকেলে ঘুরতে বেরিয়েছিল। নৌকা ডুবতে আমার সব শেষ হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানি কায়দায় ভারতের বিরোধিতা করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

নিখোঁজ বেলন দে এর দুলাভাই পবির দে জানান, আমাদের সাতজন আত্মীয় ডুবে যাওয়া ওই নৌকাতে ছিলেন। তাদের মধ্যে চারজনকে উদ্ধার করা হয়েছে গতকাল। এখন পর্যন্ত আমার শালক বেলন দে, আরাধ্যা দে ও রূপা দে নামে নারীকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ট্রলারে থাকা ২০ জন ডুবে যান। এদের মধ্যে ১২ জনকে উদ্ধার করা হলেও আটজন এখনও নিখোঁজ। এছাড়া এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকাল ফায়ার সার্ভিসের চার সদস্যের একটি ডুবরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে।

ঢাকা/এসএইচ