০৯:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মোট রফতানির ৫০ শতাংশই ক্রাউন সিমেন্টের দখলে: মাসুদ খান

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১০৭৬০ বার দেখা হয়েছে

মাসুদ খান, যিনি বর্তমানে ক্রাউন সিমেন্ট পিএলসির উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এর আগে তিনি লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) হিসেবে ১৮ বছর কর্মরত ছিলেন। এছাড়াও ব্যবসা ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মাসুদ খান বর্তমানে একটি ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা বোর্ডে রয়েছেন। সম্প্রতি সিমেন্ট খাত নিয়ে তিনি বিজনেস জার্নালকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন স্টাফ রিপোর্টার মোহাম্মদ তারেকুজ্জামান। পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

বিজনেস জার্নাল: বাংলাদেশের সিমেন্ট শিল্পের যাত্রা কেমন ছিল?

মাসুদ খান:  সিমেন্ট শিল্পের শুরুতে আমরা আমদানি নির্ভর ছিলাম। এরপর ধীরে ধীরে অনেক লোকাল কোম্পানির আবির্ভাব হয়েছে। শাহ্, ক্রাউন ও প্রিমিয়ার সিমেন্টসহ অনেক কোম্পানি লোকাল মার্কেটে এসেছে। তবে দীর্ঘ পথ চলায় এই খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেলেও সে তুলনায় চাহিদা বাড়েনি। তবে একটা সময় চাহিদা ভালোই ছিল। ১০ শতাংশের কাছাকাছি এই খাতের বাৎসরিক গ্রোথ ছিল। এটা ছিল ২০১৯ সাল পর্যন্ত। অর্থাৎ কোভিডের আগ পর্যন্ত। কিন্তু কোভিডের পর এই খাতের ধ্বস নেমে এসেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিত্যপণ্যের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ার কারণেও সিমেন্টের চাহিদা অনেক কমে গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিজনেস জার্নাল: গত দুই দশকে এই শিল্পে কী ধরনের পরিবর্তন ও অগ্রগতি হয়েছে?

মাসুদ খান: ১৯৯০ দশকে সিমেন্ট বিদেশ থেকে আমদানি হতো। তখন চিটাগং সিমেন্ট ক্লিংকার বলে একটা প্রতিষ্ঠান ছিল, ওরা ক্লিংকার আমদানি করে সিমেন্ট উৎপাদন করতো। বাকি সবাই পুরোপুরি আমদানি করতো। ২০০০ সালের শুরুর দিকে লোকাল প্রতিষ্ঠান হিসেবে শাহ্ সিমেন্ট যাত্রা শুরু করলো। ২০০৬ সালে ক্রাউন সিমেন্ট আসলো। লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট আসলো ২০০৬ সালের শেষের দিকে। খুব তাড়াতাড়ি প্রেক্ষাপটটা পাল্টে গেলো। যেখানে এক সময় আমরা ইমপোর্টিং কান্ট্রি ছিলাম, একটা সময় পর সিমেন্ট উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে গেলাম। শাহ্ সিমেন্টের পরে অনেক লোকাল প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে।

বিজনেস জার্নাল: সিমেন্ট শিল্পে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক কোম্পানির প্রতিযোগিতা কীভাবে পরিচালিত হচ্ছে?

মাসুদ খান:  আমি লাফার্জহোলসিমের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) হিসেবে ১৮ বছর কর্মরত ছিলাম। লাফার্জের শুরু থেকেই আমি ছিলাম। এই কোম্পানিটি বলতে গেলে আমার হাতেই গড়া। ওই সেন্সে আমি লোকাল ও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির ভিত্তি পর্যবেক্ষণ করতে পারি। মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ কম করে। কারণ তারা হিসেব করে বিনিয়োগটা করে থাকে। ওরা ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে বেশি কনসেনট্রেট করে। সিমেন্ট শিল্পে যারা গ্রাহক, তারা এখন অনেক অস্থির হয়ে গেছে। তারা ওয়ান টাইম ডেলিভারি চায়।  নিজস্ব যানবাহন থাকলে দেশের যেকোনো প্রান্তে দ্রুত সিমেন্ট সরবরাহ করা সম্ভব। কিন্তু ভাড়া করা যানবাহন দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গ্রাহকের চাহিদা মতো সিমেন্ট সরবরাহ করা অনেক চ্যালেঞ্জিং হয়ে যায়। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ব্র্যান্ডিং। আমাদের দেশে ব্র্যান্ডিংটা বেশি করা হয়। কিন্তু বিদেশি কোম্পানিগুলো ব্রান্ডিংটা কম করে। তারা মুনাফার দিকে বেশি নজর দেয়। ক্রাউন সিমেন্ট ব্র্যান্ডিংয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। দেশের ভালো কোম্পানিগুলোর মধ্যে শাহ্ এবং ক্রাউন সিমেন্ট ক্ষুদ্র ক্রেতাদের কাছে আমাদের বিক্রয় কর্মী যায়। আমরা ম্যানপাওয়ারে খরচ বেশি করি। কিন্তু মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো খরচ কম করতে চায়।

বিজনেস জার্নাল: বাংলাদেশের সিমেন্ট বাজার বর্তমানে কোন অবস্থানে রয়েছে?

মাসুদ খান: বর্তমানে সিমেন্ট খাত বেশ চ্যলেঞ্জের মধ্যে রয়েছে। চাহিদা অনেক কমে গেছে। ২০২২-২০২৩ ও ২০২৩-২০২৪ হিসাব বছরে ২.৪ শতাংশ সিমেন্টের গ্রোথ কমেছে। আর ক্যালেন্ডার হিসাব অনুযায়ী গত দুই বছরে ১.৮ শতাংশ গ্রোথ কমেছে। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কারণে সিমেন্টের এই গ্রোথ কমেছে। মূল্যস্ফীতি অনেক বেড়ে গেছে। মানুষ এই অবস্থায় খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তা করে, যে টাকা তারা আয় করে, সেই টাকা দিয়ে তারা বাসস্থান, চিকিৎসা, খাওয়া, লেখাপড়া, এগুলোতে বেশি প্রাধান্য দেয়। এরপর তারা কন্সট্রাকশনের কথা চিন্তা করে। একটা সময় সরকারি ইন্সফ্রাস্ট্রাকচার গ্রোয়িং ছিল। আওয়ামীলীগ সরকার থাকা অবস্থায় গত কয়েক বছরে তা কমে গিয়েছে। গত ৬ মাসে তা আরও কমে গিয়েছে। এসব কারণে এই খাত বেশ চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে সময় পার করছে।

বিজনেস জার্নাল: স্থানীয় চাহিদা ও রপ্তানির মধ্যে ভারসাম্য কেমন?

মাসুদ খান: দেশ থেকে ২ লাখ টনের উপরে সিমেন্ট রপ্তানি হয়। এর মধ্যে ক্রাউন সিমেন্ট একাই ৫০ শতাংশ রপ্তানি করে থাকে। আমাদের টোটাল মার্কেটের (পুরো বাজার) তুলনায় এটা কিন্তু অনেক বেশি রপ্তানি নয়। অনেক কম রপ্তানি হচ্ছে। এক্সপোর্ট বা রপ্তানি আমরা যত বেশি করবো আমাদের কোয়ালিটি টেষ্ট ততো বেশি হবে। ফরেন কারেন্সি বেশি অর্জিত হবে।

বিজনেস জার্নাল: ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও ডলার সঙ্কট সিমেন্ট শিল্পে কীভাবে প্রভাব ফেলছে? ডলার সংকট মোকাবেলায় কী ধরনের নীতি সহায়তা প্রয়োজন?

মাসুদ খান: গত অর্থ বছরে (২০২৩-২০২৪)  ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও সঙ্কটের অনেক খারাপ প্রভাব পড়েছিল সিমেন্ট শিল্পে। সবাই এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খুলতে অনেক সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছিল। ক্রাউন্ট সিমেন্টের মতো কোম্পানিগুলো, যাদের সঙ্গে ব্যাংকের বোঝাপড়া বেশ ভালো এবং বড় কোম্পানি, তাদের এলসি খুলতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। কিন্তু ছোট কোম্পানিগুলো এ ব্যাপারে বেশ সমস্যার মধ্যে পড়েছিল। যদিও এর থেকে এখন কিছুটা উত্তরণ করেছে। এখন চাহিদা অনুযায়ী ডলার পাওয়া যাচ্ছে। এখন ব্যাংকগুলো কাস্টমার দেখে লোন দিচ্ছে। রিস্কি কাস্টমারদের লোন দিচ্ছে না ব্যাংকগুলো।

তিনি বলেন, এই খাতের উন্নয়নে নীতি সহায়তা অনেক বেশি প্রয়োজন। সরকার চেষ্টা করছে ডলারের প্রাইসটাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। এটা বাজার ভিত্তিক নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। বাজার ভিত্তিক করলে রেমিটেন্সের ভালো প্রভাব পড়বে। সরকারের এব্যাপারে অনেক কিছু করার আছে। নন ফাইন্যান্সিয়াল বেনিফিট বাড়াতে পারলে, এই খাত অনেক উপকৃত হবে।

বিজনেস জার্নাল: মূল্যস্ফীতি কাঁচামাল আমদানি ও উৎপাদন খরচে কী ধরনের প্রভাব ফেলেছে?

মাসুদ খান: অনেক বেশি প্রভাব ফেলেছে। বিদ্যুৎ, গ্যাসের খরচ অনেক বেড়েছে। পাশাপাশি ডলারের মূল্য বেড়েছে। যেকারণে কাঁচামাল আমদানি ও উৎপাদন খরচ অনেক বেশি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা অনেক স্ট্রাগল করছে।

বিজনেস জার্নাল: রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সরকারের নীতিমালার পরিবর্তন সিমেন্ট শিল্পে কী প্রভাব ফেলে?

মাসুদ খান: রাজনৈতিক অস্থিরতা এ শিল্পে সরাসরি প্রভাব ফেলেছে। গত জুলাই-আগস্ট মাসে সিমেন্টের চাহিদা ছিল না। এর আগেও রাজনৈতিক অস্থিরতায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। এ ধরণের অস্থিরতায় বিক্রয় করা যায় না, শ্রমিকও পাওয়া যায় না। আর বাংলাদেশে যতগুলো সরকার আমরা দেখেছি, তারা নীতির তেমন পরিবর্তন করেনি।

বিজনেস জার্নাল: এ খাতে নীতিগত সমর্থন ও প্রণোদনা পেতে কী ধরনের উদ্যোগ প্রয়োজন?

মাসুদ খান:  ট্যারিফ ভ্যালু অনেক হাই। ট্যারিফ ভ্যালু কমাতে হবে। পাশাপাশি কোম্পানিগুলো মুনাফা না করলেও, মোট টার্নওভারের উপরে নিয়ম অনুসারে তারা সরকারকে ট্যাক্স দেয়। পৃথিবীর কোনো দেশেই সিস্টেম নাই। এই ধারনাটা ভারত থেকে কপি করা হয়েছিল। কিন্তু ভারতে নিয়ম হচ্ছে যে, কোনো বছর যদি কোনো কোম্পানি লোকসান করে, তবে ওই লোকসানে কোম্পানিটি সর্বনিম্ন একটা ট্যাক্স প্রদান করে। কিন্তু এরপরের বছর লাভ করলে তা এডজাস্ট করা হয়। বাংলাদেশে এই সিস্টেম অনুসরণ করা হয়নি। বাংলাদেশে যেটা করেছে, লোকসান করলেও সর্বনিম্ন ট্যাক্স দিতে হবে। পরের বছর এডজাস্ট করার কোনো নিয়ম করা হয়নি।

বিজনেস জার্নাল: সিমেন্ট শিল্পে বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় সুবিধাগুলো কী? নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য এ শিল্পে প্রবেশের প্রধান বাধাগুলো কী কী?

মাসুদ খান: বর্তমানে সিমেন্ট শিল্পে বিনিয়োগ করাই উচিত নয়। যেখানে ইফেকটিভ ক্যাপাসিটি ৮৪ মিলিয়ন টার্ম। ডিমান্ড ৩৮ মিলিয়ন টার্ম। এ অবস্থায় সিমেন্ট শিল্পে বিনিয়োগ করা উচিত হবে না। অনেকে হোমওয়ার্ক না করেই এই খাতে বিনিয়োগ করেন, যাদের এই শিল্প সম্পর্কে কোনো অভিজ্ঞতাই নাই। তারা ব্যবসায় ভালো করতে পারছে না। এটা একটা অনেক বড় সমস্যা বাংলাদেশে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই শিল্পে নতুন উদ্যোক্তার টিকে থাকা অনেক কঠিন হবে। নেটওয়ার্ক তৈরি করা তাদের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হবে।

বিজনেস জার্নাল: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকে আপনাদের কোম্পানির আর্থিক অগ্রগতি কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে?

মাসুদ খান: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির থেকে আমাদের অনেক আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে। আমাদের প্রফিট যথেষ্ট বেড়েছে। আমাদের প্রাইসটা ভালো পর্যায়ে রয়েছে। ক্রাউন সিমেন্টের বড় বৈশিষ্ট হচ্ছে, আমাদের সিমেন্টের প্রাইস সবার চেয়ে বেশি। আমাদের ব্র্যান্ড ইমেজ যথেষ্ট ভালো। গত অক্টোবর পর্যন্ত আমরা ছিলাম পাঁচ নাম্বারে। নভেম্বর ও ডিসেম্বরে আমরা দুই নাম্বারে চলে এসেছি। শাহ্ সিমেন্টের পড়েই আমাদের স্থান। আমরা এক নাম্বারেও চলে যেতে পারবো ভবিষ্যতে।

বিজনেস জার্নাল: বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জনে আপনার কোম্পানির নেওয়া উদ্যোগগুলো কী কী?

মাসুদ খান: ক্রাউন সিমেন্ট বিজনেস ইথিক্যালি করে। যারা বিনিয়োগকারী আছেন, তারা কিন্তু ঠকবে না। আমরা সবসময় চেষ্টা করি বিনিয়োগকারীদের কাঙ্খিত ডিভিডেন্ড দেওয়ার জন্য। প্রফিট করেই আমরা ডিভিডেন্ড দেই। এমনও হয়েছে কোনো এক বছরে আমরা লোকসান করলেও, তাদেরকে রিটেন আর্নিংস থেকে ডিভিডেন্ড দিয়েছি। আমাদের ট্র্যাক রেকর্ড অনুযায়ী বিনিয়োগকারীরা অনেক খুশি।

বিজনেস জার্নাল: শেয়ার মূল্যের ওঠানামা নিয়ন্ত্রণে কোম্পানি কী ধরনের কৌশল গ্রহণ করে? এছাড়া বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড প্রদান নীতি কীভাবে নির্ধারণ করা হয়?

আরও পড়ুন: ‘মিউচ্যুয়াল ফান্ডে আগ্রহ বাড়াতে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ’

মাসুদ খান: ক্রাউন সিমেন্ট এক্ষেত্রে কোনো কৌশল গ্রহণ করে না। মার্কেট যেভাবে চলে, সেভাবেই শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ হয়। আমাদের স্ট্যাবল ডিভিডেন্ড পলিসি রয়েছে। দীর্ঘ সময়ের জন্য আমরা এই পলিসি মেইনটেইন করি। অনেক সময় প্রফিট বাড়লে, ডিভিডেন্ডটাও বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি।

বিজনেস জার্নাল: আগামী পাঁচ বছরে কোম্পানির সম্প্রসারণ বা উন্নয়ন পরিকল্পনা কী?

মাসুদ খান: আমরা মার্কেটের সাথে থাকবো। প্রতিনিয়ত ক্রাউন সিমেন্টকে সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করবো।

বিজনেস জার্নাল: পাঠক ও বিনিয়োগকারীদের জন্য বিজনেস জার্নালকে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

মাসুদ খান: আপনাকেও ধন্যবাদ।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

মোট রফতানির ৫০ শতাংশই ক্রাউন সিমেন্টের দখলে: মাসুদ খান

আপডেট: ১০:১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

মাসুদ খান, যিনি বর্তমানে ক্রাউন সিমেন্ট পিএলসির উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এর আগে তিনি লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) হিসেবে ১৮ বছর কর্মরত ছিলেন। এছাড়াও ব্যবসা ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মাসুদ খান বর্তমানে একটি ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা বোর্ডে রয়েছেন। সম্প্রতি সিমেন্ট খাত নিয়ে তিনি বিজনেস জার্নালকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন স্টাফ রিপোর্টার মোহাম্মদ তারেকুজ্জামান। পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

বিজনেস জার্নাল: বাংলাদেশের সিমেন্ট শিল্পের যাত্রা কেমন ছিল?

মাসুদ খান:  সিমেন্ট শিল্পের শুরুতে আমরা আমদানি নির্ভর ছিলাম। এরপর ধীরে ধীরে অনেক লোকাল কোম্পানির আবির্ভাব হয়েছে। শাহ্, ক্রাউন ও প্রিমিয়ার সিমেন্টসহ অনেক কোম্পানি লোকাল মার্কেটে এসেছে। তবে দীর্ঘ পথ চলায় এই খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেলেও সে তুলনায় চাহিদা বাড়েনি। তবে একটা সময় চাহিদা ভালোই ছিল। ১০ শতাংশের কাছাকাছি এই খাতের বাৎসরিক গ্রোথ ছিল। এটা ছিল ২০১৯ সাল পর্যন্ত। অর্থাৎ কোভিডের আগ পর্যন্ত। কিন্তু কোভিডের পর এই খাতের ধ্বস নেমে এসেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিত্যপণ্যের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ার কারণেও সিমেন্টের চাহিদা অনেক কমে গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিজনেস জার্নাল: গত দুই দশকে এই শিল্পে কী ধরনের পরিবর্তন ও অগ্রগতি হয়েছে?

মাসুদ খান: ১৯৯০ দশকে সিমেন্ট বিদেশ থেকে আমদানি হতো। তখন চিটাগং সিমেন্ট ক্লিংকার বলে একটা প্রতিষ্ঠান ছিল, ওরা ক্লিংকার আমদানি করে সিমেন্ট উৎপাদন করতো। বাকি সবাই পুরোপুরি আমদানি করতো। ২০০০ সালের শুরুর দিকে লোকাল প্রতিষ্ঠান হিসেবে শাহ্ সিমেন্ট যাত্রা শুরু করলো। ২০০৬ সালে ক্রাউন সিমেন্ট আসলো। লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট আসলো ২০০৬ সালের শেষের দিকে। খুব তাড়াতাড়ি প্রেক্ষাপটটা পাল্টে গেলো। যেখানে এক সময় আমরা ইমপোর্টিং কান্ট্রি ছিলাম, একটা সময় পর সিমেন্ট উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে গেলাম। শাহ্ সিমেন্টের পরে অনেক লোকাল প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে।

বিজনেস জার্নাল: সিমেন্ট শিল্পে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক কোম্পানির প্রতিযোগিতা কীভাবে পরিচালিত হচ্ছে?

মাসুদ খান:  আমি লাফার্জহোলসিমের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) হিসেবে ১৮ বছর কর্মরত ছিলাম। লাফার্জের শুরু থেকেই আমি ছিলাম। এই কোম্পানিটি বলতে গেলে আমার হাতেই গড়া। ওই সেন্সে আমি লোকাল ও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির ভিত্তি পর্যবেক্ষণ করতে পারি। মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ কম করে। কারণ তারা হিসেব করে বিনিয়োগটা করে থাকে। ওরা ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে বেশি কনসেনট্রেট করে। সিমেন্ট শিল্পে যারা গ্রাহক, তারা এখন অনেক অস্থির হয়ে গেছে। তারা ওয়ান টাইম ডেলিভারি চায়।  নিজস্ব যানবাহন থাকলে দেশের যেকোনো প্রান্তে দ্রুত সিমেন্ট সরবরাহ করা সম্ভব। কিন্তু ভাড়া করা যানবাহন দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গ্রাহকের চাহিদা মতো সিমেন্ট সরবরাহ করা অনেক চ্যালেঞ্জিং হয়ে যায়। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ব্র্যান্ডিং। আমাদের দেশে ব্র্যান্ডিংটা বেশি করা হয়। কিন্তু বিদেশি কোম্পানিগুলো ব্রান্ডিংটা কম করে। তারা মুনাফার দিকে বেশি নজর দেয়। ক্রাউন সিমেন্ট ব্র্যান্ডিংয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। দেশের ভালো কোম্পানিগুলোর মধ্যে শাহ্ এবং ক্রাউন সিমেন্ট ক্ষুদ্র ক্রেতাদের কাছে আমাদের বিক্রয় কর্মী যায়। আমরা ম্যানপাওয়ারে খরচ বেশি করি। কিন্তু মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো খরচ কম করতে চায়।

বিজনেস জার্নাল: বাংলাদেশের সিমেন্ট বাজার বর্তমানে কোন অবস্থানে রয়েছে?

মাসুদ খান: বর্তমানে সিমেন্ট খাত বেশ চ্যলেঞ্জের মধ্যে রয়েছে। চাহিদা অনেক কমে গেছে। ২০২২-২০২৩ ও ২০২৩-২০২৪ হিসাব বছরে ২.৪ শতাংশ সিমেন্টের গ্রোথ কমেছে। আর ক্যালেন্ডার হিসাব অনুযায়ী গত দুই বছরে ১.৮ শতাংশ গ্রোথ কমেছে। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কারণে সিমেন্টের এই গ্রোথ কমেছে। মূল্যস্ফীতি অনেক বেড়ে গেছে। মানুষ এই অবস্থায় খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তা করে, যে টাকা তারা আয় করে, সেই টাকা দিয়ে তারা বাসস্থান, চিকিৎসা, খাওয়া, লেখাপড়া, এগুলোতে বেশি প্রাধান্য দেয়। এরপর তারা কন্সট্রাকশনের কথা চিন্তা করে। একটা সময় সরকারি ইন্সফ্রাস্ট্রাকচার গ্রোয়িং ছিল। আওয়ামীলীগ সরকার থাকা অবস্থায় গত কয়েক বছরে তা কমে গিয়েছে। গত ৬ মাসে তা আরও কমে গিয়েছে। এসব কারণে এই খাত বেশ চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে সময় পার করছে।

বিজনেস জার্নাল: স্থানীয় চাহিদা ও রপ্তানির মধ্যে ভারসাম্য কেমন?

মাসুদ খান: দেশ থেকে ২ লাখ টনের উপরে সিমেন্ট রপ্তানি হয়। এর মধ্যে ক্রাউন সিমেন্ট একাই ৫০ শতাংশ রপ্তানি করে থাকে। আমাদের টোটাল মার্কেটের (পুরো বাজার) তুলনায় এটা কিন্তু অনেক বেশি রপ্তানি নয়। অনেক কম রপ্তানি হচ্ছে। এক্সপোর্ট বা রপ্তানি আমরা যত বেশি করবো আমাদের কোয়ালিটি টেষ্ট ততো বেশি হবে। ফরেন কারেন্সি বেশি অর্জিত হবে।

বিজনেস জার্নাল: ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও ডলার সঙ্কট সিমেন্ট শিল্পে কীভাবে প্রভাব ফেলছে? ডলার সংকট মোকাবেলায় কী ধরনের নীতি সহায়তা প্রয়োজন?

মাসুদ খান: গত অর্থ বছরে (২০২৩-২০২৪)  ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও সঙ্কটের অনেক খারাপ প্রভাব পড়েছিল সিমেন্ট শিল্পে। সবাই এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খুলতে অনেক সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছিল। ক্রাউন্ট সিমেন্টের মতো কোম্পানিগুলো, যাদের সঙ্গে ব্যাংকের বোঝাপড়া বেশ ভালো এবং বড় কোম্পানি, তাদের এলসি খুলতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। কিন্তু ছোট কোম্পানিগুলো এ ব্যাপারে বেশ সমস্যার মধ্যে পড়েছিল। যদিও এর থেকে এখন কিছুটা উত্তরণ করেছে। এখন চাহিদা অনুযায়ী ডলার পাওয়া যাচ্ছে। এখন ব্যাংকগুলো কাস্টমার দেখে লোন দিচ্ছে। রিস্কি কাস্টমারদের লোন দিচ্ছে না ব্যাংকগুলো।

তিনি বলেন, এই খাতের উন্নয়নে নীতি সহায়তা অনেক বেশি প্রয়োজন। সরকার চেষ্টা করছে ডলারের প্রাইসটাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। এটা বাজার ভিত্তিক নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। বাজার ভিত্তিক করলে রেমিটেন্সের ভালো প্রভাব পড়বে। সরকারের এব্যাপারে অনেক কিছু করার আছে। নন ফাইন্যান্সিয়াল বেনিফিট বাড়াতে পারলে, এই খাত অনেক উপকৃত হবে।

বিজনেস জার্নাল: মূল্যস্ফীতি কাঁচামাল আমদানি ও উৎপাদন খরচে কী ধরনের প্রভাব ফেলেছে?

মাসুদ খান: অনেক বেশি প্রভাব ফেলেছে। বিদ্যুৎ, গ্যাসের খরচ অনেক বেড়েছে। পাশাপাশি ডলারের মূল্য বেড়েছে। যেকারণে কাঁচামাল আমদানি ও উৎপাদন খরচ অনেক বেশি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা অনেক স্ট্রাগল করছে।

বিজনেস জার্নাল: রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সরকারের নীতিমালার পরিবর্তন সিমেন্ট শিল্পে কী প্রভাব ফেলে?

মাসুদ খান: রাজনৈতিক অস্থিরতা এ শিল্পে সরাসরি প্রভাব ফেলেছে। গত জুলাই-আগস্ট মাসে সিমেন্টের চাহিদা ছিল না। এর আগেও রাজনৈতিক অস্থিরতায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। এ ধরণের অস্থিরতায় বিক্রয় করা যায় না, শ্রমিকও পাওয়া যায় না। আর বাংলাদেশে যতগুলো সরকার আমরা দেখেছি, তারা নীতির তেমন পরিবর্তন করেনি।

বিজনেস জার্নাল: এ খাতে নীতিগত সমর্থন ও প্রণোদনা পেতে কী ধরনের উদ্যোগ প্রয়োজন?

মাসুদ খান:  ট্যারিফ ভ্যালু অনেক হাই। ট্যারিফ ভ্যালু কমাতে হবে। পাশাপাশি কোম্পানিগুলো মুনাফা না করলেও, মোট টার্নওভারের উপরে নিয়ম অনুসারে তারা সরকারকে ট্যাক্স দেয়। পৃথিবীর কোনো দেশেই সিস্টেম নাই। এই ধারনাটা ভারত থেকে কপি করা হয়েছিল। কিন্তু ভারতে নিয়ম হচ্ছে যে, কোনো বছর যদি কোনো কোম্পানি লোকসান করে, তবে ওই লোকসানে কোম্পানিটি সর্বনিম্ন একটা ট্যাক্স প্রদান করে। কিন্তু এরপরের বছর লাভ করলে তা এডজাস্ট করা হয়। বাংলাদেশে এই সিস্টেম অনুসরণ করা হয়নি। বাংলাদেশে যেটা করেছে, লোকসান করলেও সর্বনিম্ন ট্যাক্স দিতে হবে। পরের বছর এডজাস্ট করার কোনো নিয়ম করা হয়নি।

বিজনেস জার্নাল: সিমেন্ট শিল্পে বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় সুবিধাগুলো কী? নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য এ শিল্পে প্রবেশের প্রধান বাধাগুলো কী কী?

মাসুদ খান: বর্তমানে সিমেন্ট শিল্পে বিনিয়োগ করাই উচিত নয়। যেখানে ইফেকটিভ ক্যাপাসিটি ৮৪ মিলিয়ন টার্ম। ডিমান্ড ৩৮ মিলিয়ন টার্ম। এ অবস্থায় সিমেন্ট শিল্পে বিনিয়োগ করা উচিত হবে না। অনেকে হোমওয়ার্ক না করেই এই খাতে বিনিয়োগ করেন, যাদের এই শিল্প সম্পর্কে কোনো অভিজ্ঞতাই নাই। তারা ব্যবসায় ভালো করতে পারছে না। এটা একটা অনেক বড় সমস্যা বাংলাদেশে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই শিল্পে নতুন উদ্যোক্তার টিকে থাকা অনেক কঠিন হবে। নেটওয়ার্ক তৈরি করা তাদের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হবে।

বিজনেস জার্নাল: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকে আপনাদের কোম্পানির আর্থিক অগ্রগতি কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে?

মাসুদ খান: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির থেকে আমাদের অনেক আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে। আমাদের প্রফিট যথেষ্ট বেড়েছে। আমাদের প্রাইসটা ভালো পর্যায়ে রয়েছে। ক্রাউন সিমেন্টের বড় বৈশিষ্ট হচ্ছে, আমাদের সিমেন্টের প্রাইস সবার চেয়ে বেশি। আমাদের ব্র্যান্ড ইমেজ যথেষ্ট ভালো। গত অক্টোবর পর্যন্ত আমরা ছিলাম পাঁচ নাম্বারে। নভেম্বর ও ডিসেম্বরে আমরা দুই নাম্বারে চলে এসেছি। শাহ্ সিমেন্টের পড়েই আমাদের স্থান। আমরা এক নাম্বারেও চলে যেতে পারবো ভবিষ্যতে।

বিজনেস জার্নাল: বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জনে আপনার কোম্পানির নেওয়া উদ্যোগগুলো কী কী?

মাসুদ খান: ক্রাউন সিমেন্ট বিজনেস ইথিক্যালি করে। যারা বিনিয়োগকারী আছেন, তারা কিন্তু ঠকবে না। আমরা সবসময় চেষ্টা করি বিনিয়োগকারীদের কাঙ্খিত ডিভিডেন্ড দেওয়ার জন্য। প্রফিট করেই আমরা ডিভিডেন্ড দেই। এমনও হয়েছে কোনো এক বছরে আমরা লোকসান করলেও, তাদেরকে রিটেন আর্নিংস থেকে ডিভিডেন্ড দিয়েছি। আমাদের ট্র্যাক রেকর্ড অনুযায়ী বিনিয়োগকারীরা অনেক খুশি।

বিজনেস জার্নাল: শেয়ার মূল্যের ওঠানামা নিয়ন্ত্রণে কোম্পানি কী ধরনের কৌশল গ্রহণ করে? এছাড়া বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড প্রদান নীতি কীভাবে নির্ধারণ করা হয়?

আরও পড়ুন: ‘মিউচ্যুয়াল ফান্ডে আগ্রহ বাড়াতে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ’

মাসুদ খান: ক্রাউন সিমেন্ট এক্ষেত্রে কোনো কৌশল গ্রহণ করে না। মার্কেট যেভাবে চলে, সেভাবেই শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ হয়। আমাদের স্ট্যাবল ডিভিডেন্ড পলিসি রয়েছে। দীর্ঘ সময়ের জন্য আমরা এই পলিসি মেইনটেইন করি। অনেক সময় প্রফিট বাড়লে, ডিভিডেন্ডটাও বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি।

বিজনেস জার্নাল: আগামী পাঁচ বছরে কোম্পানির সম্প্রসারণ বা উন্নয়ন পরিকল্পনা কী?

মাসুদ খান: আমরা মার্কেটের সাথে থাকবো। প্রতিনিয়ত ক্রাউন সিমেন্টকে সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করবো।

বিজনেস জার্নাল: পাঠক ও বিনিয়োগকারীদের জন্য বিজনেস জার্নালকে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

মাসুদ খান: আপনাকেও ধন্যবাদ।

ঢাকা/টিএ