০৬:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে বাঁধা হলো ভারতীয় শিক্ষার্থীর হাত-পা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:১৪:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫
  • / ১০৩৩২ বার দেখা হয়েছে

দেশে ফেরত পাঠানোর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির নিয়ার্ক বিমানবন্দরে এক ভারতীয় শিক্ষার্থী পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সেখানে তার হাত-পা বাঁধা হয়। এছাড়া তার পুরো শরীর মাটির সাথে চেপে ধরে রাখেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে ভারতে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ভিডিওটি করেন ভারতীয়-আমেরিকান উদ্যোক্তা কুনার জৈন। তিনি জানিয়েছেন, ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে দাগী অপরাধীর মতো আচরণ করা হয়। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, শিক্ষার্থীটিকে চেপে ধরে আছেন চার পুলিশ সদস্য। যার মধ্যে দুজন হাটু গেড়ে তার ওপর বসে ছিলেন। এরপর তারা তার হাত ও পা বেঁধে ফেলে।

কুনার জৈন মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে লিখেছেন, “আমি প্রত্যক্ষ করেছি গতরাতে এক তরুণ ভারতীয় শিক্ষার্থীকে নিয়ার্ক বিমানবন্দর দিয়ে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছিল। ওই সময় তার হাতে হ্যান্ডকাফ ছিল। তারা তার সঙ্গে অপরাধীর মতো আচরণ করেছে। এটি একটি মানবিক বিপর্যয়।”

ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর নিউইয়র্কস্থ ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে, তারা বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।

ওই প্রত্যক্ষদর্শী সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে বলেছেন, “ওই সময় সেখানে প্রায় ৫০ জন মানুষ ছিলেন। কিন্তু কারও কিছু বলার সাহস ছিল না। আমার মনে হয় তাকে মাটির সঙ্গে চেপে ধরা হয়েছিল কারণ সে কিছুটা উগ্র আচরণ করছিল এবং সে দিশেহারা ছিল। কিন্তু কেন সে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল আমি জানি না। কর্তৃপক্ষ বলছিল তারা হিন্দি ভাষা বোঝে না। সে হরিয়ানভি ভাষায় কথা বলছিল। আমার মনে হচ্ছিল আমি কোনো সহায়তা করতে পারব না। তা সত্ত্বেও কাছাকাছি গিয়ে আমি এক কর্মকর্তাকে বলি, ওই শিক্ষার্থী কি বলতে চাইছে আমি এ ব্যাপারে তাদের সহায়তা করতে পারি কি না। কিন্তু তিনি আমাকে সহায়তা করতে দেননি। এরবদলে তিনি আরও পুলিশকে ডাকেন।”

আরও পড়ুন: অস্ট্রিয়ায় স্কুলে গোলাগুলিতে অন্তত ৯ জন নিহত

তিনি আরও বলেন, “যখন কেউ উগ্র আচরণ করেন তখন কাউকে বিমানে উঠতে দেওয়া হয় না। ওই শিক্ষার্থী এমন আচরণ করায় তারা বিমানের পাইলটকে ফোন করেন। কিন্তু পাইলট জানান তারা তাকে বিমানে নিতে পারবেন না। কারণ তিনি অন্যদের জন্য ঝুঁকির কারণ হতে পারেন। আর এরপরই পুলিশ সদস্যরা তাকে চেপে ধরে। সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো সাত থেকে আটজন পুলিশ এসে তার হাত-পা বেঁধে ফেলে। ওই সময় আমি কেঁদে দেই। তারা কেন এমনটি করল তাও প্রকাশ্যে।”

এদিকে গত কয়েক মাসে কয়েকশ ভারতীয়কে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ফেরত পাঠানোর আগে তাদের হা-পা বাঁধা হয়।

সূত্র: এনডিটিভি

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে বাঁধা হলো ভারতীয় শিক্ষার্থীর হাত-পা

আপডেট: ০৬:১৪:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

দেশে ফেরত পাঠানোর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির নিয়ার্ক বিমানবন্দরে এক ভারতীয় শিক্ষার্থী পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সেখানে তার হাত-পা বাঁধা হয়। এছাড়া তার পুরো শরীর মাটির সাথে চেপে ধরে রাখেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে ভারতে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ভিডিওটি করেন ভারতীয়-আমেরিকান উদ্যোক্তা কুনার জৈন। তিনি জানিয়েছেন, ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে দাগী অপরাধীর মতো আচরণ করা হয়। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, শিক্ষার্থীটিকে চেপে ধরে আছেন চার পুলিশ সদস্য। যার মধ্যে দুজন হাটু গেড়ে তার ওপর বসে ছিলেন। এরপর তারা তার হাত ও পা বেঁধে ফেলে।

কুনার জৈন মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে লিখেছেন, “আমি প্রত্যক্ষ করেছি গতরাতে এক তরুণ ভারতীয় শিক্ষার্থীকে নিয়ার্ক বিমানবন্দর দিয়ে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছিল। ওই সময় তার হাতে হ্যান্ডকাফ ছিল। তারা তার সঙ্গে অপরাধীর মতো আচরণ করেছে। এটি একটি মানবিক বিপর্যয়।”

ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর নিউইয়র্কস্থ ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে, তারা বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।

ওই প্রত্যক্ষদর্শী সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে বলেছেন, “ওই সময় সেখানে প্রায় ৫০ জন মানুষ ছিলেন। কিন্তু কারও কিছু বলার সাহস ছিল না। আমার মনে হয় তাকে মাটির সঙ্গে চেপে ধরা হয়েছিল কারণ সে কিছুটা উগ্র আচরণ করছিল এবং সে দিশেহারা ছিল। কিন্তু কেন সে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল আমি জানি না। কর্তৃপক্ষ বলছিল তারা হিন্দি ভাষা বোঝে না। সে হরিয়ানভি ভাষায় কথা বলছিল। আমার মনে হচ্ছিল আমি কোনো সহায়তা করতে পারব না। তা সত্ত্বেও কাছাকাছি গিয়ে আমি এক কর্মকর্তাকে বলি, ওই শিক্ষার্থী কি বলতে চাইছে আমি এ ব্যাপারে তাদের সহায়তা করতে পারি কি না। কিন্তু তিনি আমাকে সহায়তা করতে দেননি। এরবদলে তিনি আরও পুলিশকে ডাকেন।”

আরও পড়ুন: অস্ট্রিয়ায় স্কুলে গোলাগুলিতে অন্তত ৯ জন নিহত

তিনি আরও বলেন, “যখন কেউ উগ্র আচরণ করেন তখন কাউকে বিমানে উঠতে দেওয়া হয় না। ওই শিক্ষার্থী এমন আচরণ করায় তারা বিমানের পাইলটকে ফোন করেন। কিন্তু পাইলট জানান তারা তাকে বিমানে নিতে পারবেন না। কারণ তিনি অন্যদের জন্য ঝুঁকির কারণ হতে পারেন। আর এরপরই পুলিশ সদস্যরা তাকে চেপে ধরে। সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো সাত থেকে আটজন পুলিশ এসে তার হাত-পা বেঁধে ফেলে। ওই সময় আমি কেঁদে দেই। তারা কেন এমনটি করল তাও প্রকাশ্যে।”

এদিকে গত কয়েক মাসে কয়েকশ ভারতীয়কে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ফেরত পাঠানোর আগে তাদের হা-পা বাঁধা হয়।

সূত্র: এনডিটিভি

ঢাকা/এসএইচ