০৪:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

যেভাবে শিশুর মোবাইল আসক্তি কমাবেন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:০১:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১২৩ বার দেখা হয়েছে

বর্তমান সময়ে বাবা-মা দুই জন কর্মজীবনে ব্যস্ত হওয়ায় বাচ্চাদের সময় দিতে পারে না। যার ফলে শিশুদের শান্ত রাখতে হাতে তুলে দিচ্ছেন মোবাইল ফোন। খাওয়ানোর জন্য বা কাজের সময় মোবাইলে গান বা কার্টুন চালিয়ে দিচ্ছেন। শিশুরা কিছু না বুঝলেও হা করে তাকিয়ে থাকছে মোবাইলের পর্দার দিকে। এইভাবে বয়স বাড়ার সঙ্গে মোবাইলের প্রতি আসক্তি তৈরি হয় তাদের। এর বাজে প্রভাব পড়ছে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যে। তবে ভয়ের কিছু নেই। চাইলেই শিশুর মোবাইল ফোনের আসক্তি দূর করা সম্ভব।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

শিশুর সামনে স্মার্টফোন ব্যবহার করবেন না

শিশুরা অনুকরণপ্রিয়। বড়দের হাতে স্মার্টফোন দেখলে সে-ও স্মার্টফোন ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে ওঠে। আপনাকে সারাক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করতে দেখলে শিশুরাও তাই করবে। শিশুর সামনে কাজের প্রয়োজন ছাড়া ফোন ব্যবহার না করাই ভালো। খুব বেশি প্রয়োজন হলে আলাদা রুমে গিয়ে স্মার্টফোন ব্যবহার করুন।

সন্তানকে সময় দিন

বাবা-মার কাছ থেকে পযার্প্ত সময় পায় না বলেই,  শিশুদের মোবাইলের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। শিশুর আসক্তি কাটাতে হলে আপনাকে সময় দিতে হবে।  প্রতিদিন সন্তানের জন্য দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় রাখুন। এই সময়ে শিশুর সঙ্গে গল্প করুন, খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকুন, মাঝে মাঝে বিকালে সময় করে ঘুরতে নিয়ে যান, বই পড়ে শোনান। পড়াশোনা ছাড়া নাচ-গান-আঁকা-খেলাধুলো যেদিকে ওর আগ্রহ আছে, তাতে বেশি করে উৎসাহ দিন।

আরও পড়ুন: সকালে খালি পেটে পানি পানের নয় সুফল

নির্দিষ্ট কাজে মোবাইল ব্যবহার

শিশু যদি অনলাইনে ক্লাস করে, তা হলে ইন্টারনেটে আর কী করছে সে, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। এ ছাড়া স্মার্টফোন থেকে আপত্তিকর ওয়েবসাইটগুলিকেও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। চেষ্টা করুন শিশুরা মোবাইল দেখলে যেন তথ্যমূলকই কিছু দেখে।

সৃজনশীল কাজে উৎসাহ দিন

শিশুকে সৃজনশীল কাজে উৎসাহ দিন। গাছ লাগানো, কবুতর পোষা, পাখিকে খাবার দেওয়া, কাগজ কেটে এটা-সেটা বানানো ইত্যাদি কাজে মজা পেয়ে গেলে শিশু মোবাইল ফোনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে।

প্রযুক্তির সুবিধা-অসুবিধা দু’টি দিকই সন্তানকে বোঝাতে হবে। প্রযুক্তির ভাল-মন্দ দিক নিয়ে আলোচনা করুন সন্তানদের সঙ্গে। অতিরিক্ত প্রযুক্তি ব্যবহার করলে কী বিপদ হতে পারে, সে সব বিষয়েও সতর্ক করুন।

ঢাকা/এসএম

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x

যেভাবে শিশুর মোবাইল আসক্তি কমাবেন

আপডেট: ০৬:০১:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪

বর্তমান সময়ে বাবা-মা দুই জন কর্মজীবনে ব্যস্ত হওয়ায় বাচ্চাদের সময় দিতে পারে না। যার ফলে শিশুদের শান্ত রাখতে হাতে তুলে দিচ্ছেন মোবাইল ফোন। খাওয়ানোর জন্য বা কাজের সময় মোবাইলে গান বা কার্টুন চালিয়ে দিচ্ছেন। শিশুরা কিছু না বুঝলেও হা করে তাকিয়ে থাকছে মোবাইলের পর্দার দিকে। এইভাবে বয়স বাড়ার সঙ্গে মোবাইলের প্রতি আসক্তি তৈরি হয় তাদের। এর বাজে প্রভাব পড়ছে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যে। তবে ভয়ের কিছু নেই। চাইলেই শিশুর মোবাইল ফোনের আসক্তি দূর করা সম্ভব।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

শিশুর সামনে স্মার্টফোন ব্যবহার করবেন না

শিশুরা অনুকরণপ্রিয়। বড়দের হাতে স্মার্টফোন দেখলে সে-ও স্মার্টফোন ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে ওঠে। আপনাকে সারাক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করতে দেখলে শিশুরাও তাই করবে। শিশুর সামনে কাজের প্রয়োজন ছাড়া ফোন ব্যবহার না করাই ভালো। খুব বেশি প্রয়োজন হলে আলাদা রুমে গিয়ে স্মার্টফোন ব্যবহার করুন।

সন্তানকে সময় দিন

বাবা-মার কাছ থেকে পযার্প্ত সময় পায় না বলেই,  শিশুদের মোবাইলের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। শিশুর আসক্তি কাটাতে হলে আপনাকে সময় দিতে হবে।  প্রতিদিন সন্তানের জন্য দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় রাখুন। এই সময়ে শিশুর সঙ্গে গল্প করুন, খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকুন, মাঝে মাঝে বিকালে সময় করে ঘুরতে নিয়ে যান, বই পড়ে শোনান। পড়াশোনা ছাড়া নাচ-গান-আঁকা-খেলাধুলো যেদিকে ওর আগ্রহ আছে, তাতে বেশি করে উৎসাহ দিন।

আরও পড়ুন: সকালে খালি পেটে পানি পানের নয় সুফল

নির্দিষ্ট কাজে মোবাইল ব্যবহার

শিশু যদি অনলাইনে ক্লাস করে, তা হলে ইন্টারনেটে আর কী করছে সে, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। এ ছাড়া স্মার্টফোন থেকে আপত্তিকর ওয়েবসাইটগুলিকেও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। চেষ্টা করুন শিশুরা মোবাইল দেখলে যেন তথ্যমূলকই কিছু দেখে।

সৃজনশীল কাজে উৎসাহ দিন

শিশুকে সৃজনশীল কাজে উৎসাহ দিন। গাছ লাগানো, কবুতর পোষা, পাখিকে খাবার দেওয়া, কাগজ কেটে এটা-সেটা বানানো ইত্যাদি কাজে মজা পেয়ে গেলে শিশু মোবাইল ফোনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে।

প্রযুক্তির সুবিধা-অসুবিধা দু’টি দিকই সন্তানকে বোঝাতে হবে। প্রযুক্তির ভাল-মন্দ দিক নিয়ে আলোচনা করুন সন্তানদের সঙ্গে। অতিরিক্ত প্রযুক্তি ব্যবহার করলে কী বিপদ হতে পারে, সে সব বিষয়েও সতর্ক করুন।

ঢাকা/এসএম