১২:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

যেসব কারণে পেপটিক আলসার হয়

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:৪৫:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুন ২০২২
  • / ১০৩০০ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: প্রত্যেকটি মানুষেরই গ্যাস্ট্রিক সমস্যা রয়েছে। কারো কারো আলসারও হয়। সাধারণ লোকজন গ্যাস্ট্রিক বা আলসার বলতে যা বুঝিয়ে থাকেন চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে পেপটিক আলসার বলা হয়। পেপটিক আলসার হওয়ার কারণ নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন বৃহদান্ত্র ও পায়ুপথ সার্জারি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. একেএম ফজলুল হক। 

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

* বংশগত : নিকটতম আত্মীয়-স্বজন এ রোগে ভুগে থাকলে তাদের পেপটিক আলসার হবার ঝুঁকি বেশি থাকে। রক্তের গ্রুপ ‘ও’ তাদের মধ্যে এ রোগের প্রবণতা বেশি।

* রোগ-জীবাণু : হেলিকোবেক্টার পাইলোরি নামক এক প্রকার অনুজীব এ রোগের জন্য বহুলাংশে দায়ী।

* ওষুধ : ব্যথানাশক ও স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

* ধূমপান : ধূমপায়ীদের মধ্যে এ রোগের প্রবণতা বেশি।

সাধারণত যে কথাটা প্রচলিত ভাজা-পোড়া কিংবা ঝাল জাতীয় খাবার খেলে পেপটিক আলসার হয় এর কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ চিকিৎসা বিজ্ঞানে মেলেনি। যারা নিয়মিত আহার গ্রহণ করেন না কিংবা দীর্ঘ সময় উপোস থাকেন তাদের মধ্যে পেপটিক আলসার দেখা দিতে পারে।

চিকিৎসা

শৃঙ্খলা : পেপটিক আলসারে আক্রান্ত রোগীদের অবশ্যই ধূমপান বন্ধ করতে হবে। ব্যথানাশক ওষুধ ও এসপিরিন জাতীয় ওষুধ সেবন থেকে যথা সম্ভব বিরত থাকতে হবে এবং নিয়মিত খাবার গ্রহণ করতে হবে।

ঔষধ : পেপটিক আলসারের রোগীরা সাধারণত এন্টাসিড, রেনিটিডিন, ফেমোটিডিন, ওমিপ্রাজল, লেনসো প্রাজল, পেনটো প্রাজল জাতীয় ওষুধ সেবনে উপকৃত হন। কারণভিত্তিক চিকিৎসা : জীবাণু জনিত কারণে যদি এ রোগ হয়ে থাকে তবে বিভিন্ন ওষুধের সমন্বয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

যেসব কারণে পেপটিক আলসার হয়

আপডেট: ০৩:৪৫:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুন ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: প্রত্যেকটি মানুষেরই গ্যাস্ট্রিক সমস্যা রয়েছে। কারো কারো আলসারও হয়। সাধারণ লোকজন গ্যাস্ট্রিক বা আলসার বলতে যা বুঝিয়ে থাকেন চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে পেপটিক আলসার বলা হয়। পেপটিক আলসার হওয়ার কারণ নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন বৃহদান্ত্র ও পায়ুপথ সার্জারি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. একেএম ফজলুল হক। 

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

* বংশগত : নিকটতম আত্মীয়-স্বজন এ রোগে ভুগে থাকলে তাদের পেপটিক আলসার হবার ঝুঁকি বেশি থাকে। রক্তের গ্রুপ ‘ও’ তাদের মধ্যে এ রোগের প্রবণতা বেশি।

* রোগ-জীবাণু : হেলিকোবেক্টার পাইলোরি নামক এক প্রকার অনুজীব এ রোগের জন্য বহুলাংশে দায়ী।

* ওষুধ : ব্যথানাশক ও স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

* ধূমপান : ধূমপায়ীদের মধ্যে এ রোগের প্রবণতা বেশি।

সাধারণত যে কথাটা প্রচলিত ভাজা-পোড়া কিংবা ঝাল জাতীয় খাবার খেলে পেপটিক আলসার হয় এর কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ চিকিৎসা বিজ্ঞানে মেলেনি। যারা নিয়মিত আহার গ্রহণ করেন না কিংবা দীর্ঘ সময় উপোস থাকেন তাদের মধ্যে পেপটিক আলসার দেখা দিতে পারে।

চিকিৎসা

শৃঙ্খলা : পেপটিক আলসারে আক্রান্ত রোগীদের অবশ্যই ধূমপান বন্ধ করতে হবে। ব্যথানাশক ওষুধ ও এসপিরিন জাতীয় ওষুধ সেবন থেকে যথা সম্ভব বিরত থাকতে হবে এবং নিয়মিত খাবার গ্রহণ করতে হবে।

ঔষধ : পেপটিক আলসারের রোগীরা সাধারণত এন্টাসিড, রেনিটিডিন, ফেমোটিডিন, ওমিপ্রাজল, লেনসো প্রাজল, পেনটো প্রাজল জাতীয় ওষুধ সেবনে উপকৃত হন। কারণভিত্তিক চিকিৎসা : জীবাণু জনিত কারণে যদি এ রোগ হয়ে থাকে তবে বিভিন্ন ওষুধের সমন্বয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।

ঢাকা/এসএম