১২:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

যেসব পথে উঠা-নামা যাবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:০৯:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১০৫৬২ বার দেখা হয়েছে

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

শনিবার যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উভয় অংশ সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেবে দেয়া হবে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা শিকদারের সই করা গণবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কোন কোন পথ ধরে ওঠানামা করা যাবে তা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি দাঁড় করিয়ে ছবি তুলতেও নিষেধ করা হয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রান্ত থেকে ফার্মগেট প্রান্ত পর্যন্ত অংশের উভয় দিকে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা (টু ও থ্রি-হুইলার) এবং পথচারী চলাচল সম্পূর্ণ নিষেধ। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর যেকোনো ধরনের যানবাহন দাঁড়ানো এবং যানবাহন থেকে নেমে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষেধ।

এক্সপ্রেসওয়ের মূল সড়কে সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। ওঠানামার র‍্যাম্পের জন্য সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। নির্ধারিত টোল পরিশোধ করে নিচের পথগুলো দিয়ে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠানামা করা যাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফার্মগেট অভিমুখী যানবাহনগুলো হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা, প্রগতি সরণি ও বিমানবন্দর সড়কের আর্মি গলফ ক্লাব থেকে উঠবে। আর বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ, মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে ও ফার্মগেট প্রান্তে ইন্দিরা রোডের পাশে গিয়ে নামবে।

এ ছাড়া বিমানবন্দরের দিকে যাওয়া যানবাহনগুলো বিজয় সরণি ওভারপাসের উত্তর এবং দক্ষিণ লেন ও বনানী রেলস্টেশনের সামনে থেকে উঠতে পারবে। আর মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে, বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের সামনে বিমানবন্দর সড়ক, কুড়িল বিশ্বরোড ও বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনালের সামনে গিয়ে নামতে পারবে।

এক্সপ্রেসওয়েতে ৬০ কিলোমিটার গতির একটি গাড়ি মাত্র ১০ মিনিটে কাওলা থেকে ফার্মগেট পৌঁছাতে পারবে।

প্রকল্প কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার যানবাহন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যেতে পারবে। এক্সপ্রেসওয়েটি ঢাকার যানজট এবং যাতায়াতের খরচ অনেকাংশে কমিয়ে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচলকারী যানবাহনকে টোল দিতে হবে। চারটি ক্যাটাগরিতে এই টোল আদায় করা হবে।

আরও পড়ুন: রাজধানীর যেসব রাস্তা এড়িয়ে চলার নির্দেশনা ডিএমপির 

প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস (১৬ আসনের কম) এবং মিনি-ট্রাক (৩ টনের কম) ৮০ টাকা, মাঝারি আকারের ট্রাক (৬ চাকা পর্যন্ত) এবং ৬ চাকার বেশি বড় ট্রাক যথাক্রমে ৩২০ টাকা এবং ৪০০ টাকা দিতে হবে।

এদিকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা-ফার্মগেট অংশে ১৬ বা তার বেশি আসন বিশিষ্ট সব বাস ও মিনিবাসকে ১৬০ টাকা দিতে হবে।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

যেসব পথে উঠা-নামা যাবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে

আপডেট: ১২:০৯:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

শনিবার যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উভয় অংশ সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেবে দেয়া হবে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা শিকদারের সই করা গণবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কোন কোন পথ ধরে ওঠানামা করা যাবে তা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি দাঁড় করিয়ে ছবি তুলতেও নিষেধ করা হয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রান্ত থেকে ফার্মগেট প্রান্ত পর্যন্ত অংশের উভয় দিকে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা (টু ও থ্রি-হুইলার) এবং পথচারী চলাচল সম্পূর্ণ নিষেধ। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর যেকোনো ধরনের যানবাহন দাঁড়ানো এবং যানবাহন থেকে নেমে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষেধ।

এক্সপ্রেসওয়ের মূল সড়কে সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। ওঠানামার র‍্যাম্পের জন্য সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। নির্ধারিত টোল পরিশোধ করে নিচের পথগুলো দিয়ে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠানামা করা যাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফার্মগেট অভিমুখী যানবাহনগুলো হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা, প্রগতি সরণি ও বিমানবন্দর সড়কের আর্মি গলফ ক্লাব থেকে উঠবে। আর বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ, মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে ও ফার্মগেট প্রান্তে ইন্দিরা রোডের পাশে গিয়ে নামবে।

এ ছাড়া বিমানবন্দরের দিকে যাওয়া যানবাহনগুলো বিজয় সরণি ওভারপাসের উত্তর এবং দক্ষিণ লেন ও বনানী রেলস্টেশনের সামনে থেকে উঠতে পারবে। আর মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে, বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের সামনে বিমানবন্দর সড়ক, কুড়িল বিশ্বরোড ও বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনালের সামনে গিয়ে নামতে পারবে।

এক্সপ্রেসওয়েতে ৬০ কিলোমিটার গতির একটি গাড়ি মাত্র ১০ মিনিটে কাওলা থেকে ফার্মগেট পৌঁছাতে পারবে।

প্রকল্প কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার যানবাহন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যেতে পারবে। এক্সপ্রেসওয়েটি ঢাকার যানজট এবং যাতায়াতের খরচ অনেকাংশে কমিয়ে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচলকারী যানবাহনকে টোল দিতে হবে। চারটি ক্যাটাগরিতে এই টোল আদায় করা হবে।

আরও পড়ুন: রাজধানীর যেসব রাস্তা এড়িয়ে চলার নির্দেশনা ডিএমপির 

প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস (১৬ আসনের কম) এবং মিনি-ট্রাক (৩ টনের কম) ৮০ টাকা, মাঝারি আকারের ট্রাক (৬ চাকা পর্যন্ত) এবং ৬ চাকার বেশি বড় ট্রাক যথাক্রমে ৩২০ টাকা এবং ৪০০ টাকা দিতে হবে।

এদিকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা-ফার্মগেট অংশে ১৬ বা তার বেশি আসন বিশিষ্ট সব বাস ও মিনিবাসকে ১৬০ টাকা দিতে হবে।

ঢাকা/এসএম