০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৮০ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৩২:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ১০২৭৯ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। তিন বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০২৪ সালে পণ্য ও সেবা মিলিয়ে রপ্তানি আয় ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নিতে চায় সরকার।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এ জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নতুনভাবে রপ্তানি নীতিমালা ২০২১-২৪-এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। আজ সোমবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এটি চূড়ান্ত হতে পারে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ গতকাল সমকালকে বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণ-পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখেই নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। নীতিমালায় অগ্রাধিকারমূলক খাতে সম্ভাবনাময় কিছু পণ্য ও সেবা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কৌশল গ্রহণ করে রপ্তানি বাণিজ্য কীভাবে বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া রপ্তানি পণ্য উৎপাদনে টেকসই নীতিকৌশল গ্রহণে উৎসাহিতকরণ, আইসিটি, ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজসহ অন্যান্য সেবাখাতে সুবিধা দেওয়া, রপ্তানিমুখী সব খাতে একইভাবে নীতিসুবিধা দেওয়া, নারী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের রপ্তানিতে সম্পৃক্ততা বাড়ানো, আমদানি নীতি আদেশের সঙ্গে সংশ্নিষ্ট ক্ষেত্রগুলোর সামঞ্জস্য রাখা, ব্যবসা ও বিনিয়োগ সহজীকরণে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে নতুন রপ্তানি নীতিতে।

সচিব আরও বলেন, ‘কমপ্লায়েন্স ও স্ট্যান্ডার্ড’ প্রতিপালনে খাতভিত্তিক সুপারিশ করা হয়েছে। মধ্যবর্তী ও পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ পণ্য উৎপাদনে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। পণ্য ও সেবা বহুমুখীকরণের সুপারিশ করা হয়েছে। রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, হালাল পণ্য উৎপাদন ইত্যাদি প্রসঙ্গেও রয়েছে দিকনির্দেশনা। সব মিলিয়ে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডিংকে জোরদার করা হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ২০১৮-২১ মেয়াদের রপ্তানি নীতিমালা কার্যকর রয়েছে। নতুন নীতিমালা চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত এই নীতিমালাই কার্যকর থাকবে। চলতি নীতিমালায় বছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ছিল ৬০ বিলিয়ন ডলার। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের কারণে তা অর্জন সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা মিলিয়ে মোট ৪৫ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় করেছে বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরে সরকার ৫১ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে পণ্য রপ্তানি থেকে ৪৪ বিলিয়ন ডলার এবং সেবা খাত থেকে ৭ বিলিয়ন ডলার আয় হবে বলে সরকার আশা করছে।

সূত্র মতে, নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, শতভাগ রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান নমুনা হিসেবে বিনামূল্যে বছরে ৩০ হাজার ডলারের পণ্য দেশের বাইরে পাঠাতে পারবে, যা এতদিন ছিল ২০ হাজার ডলার। এ নীতিমালায় কৃত্রিম তন্তুর পোশাক তৈরিতে জোর দেওয়া হয়েছে। এ খাতকে অগ্রাধিকার খাতে অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে একটি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা হবে। এ ধরনের শিল্প স্থাপনে কম সুদে ও সহজ শর্তে ঋণ এবং কর ছাড় দেওয়া হবে। কৃত্রিম আঁশের সুতা ও তুলার সুতার ভ্যাট একই রকম করা হবে।

১৪ ধরনের পণ্যকে অগ্রাধিকার পণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অধিক মূল্য সংযোজিত তৈরি পোশাক, ডেনিম, কৃত্রিম ফাইবার, গার্মেন্ট এক্সেসরিজ, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য, প্লাস্টিক পণ্য, জুতা (চামড়াজাত, অচামড়াজাত ও সিনথেটিক) এবং চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য ও বহুমুখী পাটজাত পণ্য, কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য, ফল, কাট ফ্লাওয়ার, হালকা প্রকৌশল পণ্য (অটো পার্টস, বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, ব্যাটারি), জাহাজ ও সমুদ্রগামী ফিশিং ট্রলার, আসবাবপত্র, হোম টেক্সটাইল, হোম ডেকর ও টেরিটাওয়েল, লাগেজ, একটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টস (এপিআই) এবং ল্যাবরেটরি বিকারক (রি-এজেন্ট)।

এর মধ্যে হালকা প্রকৌশল খাতের অটো পার্টস, বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল ও ব্যাটারি অগ্রাধিকার খাতে নতুন যুক্ত হয়েছে। এ ছাড়া নতুন করে যুক্ত হয়েছে কৃত্রিম তন্তু বা এ থেকে তৈরি পণ্য, বহুমুখী পাটজাত পণ্য, ফল ও কাট-ফ্লাওয়ার।

অন্যদিকে, অগ্রাধিকার খাত থেকে সফটওয়্যার, আইটি এনাবল সার্ভিসেস ও আইসিটি পণ্য বাদ দেওয়া হয়েছে। যেসব রপ্তানি খাতে বিশেষ সম্ভাবনা রয়েছে, অথচ বিবিধ কারণে তা কাজে লাগানো যাচ্ছে না, এমন খাতকে অগ্রাধিকার খাত বলা হয়। এসব খাতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিয়ে সম্ভাবনা অর্জনে সহায়তা করা হয়। এসব খাতে কম সুদে প্রকল্প ঋণ, আয়কর রেয়াত, বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস সরবরাহে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিমান পরিবহনে অগ্রাধিকার, বন্ড সুবিধা, বিদেশে বাজার সৃষ্টিতে সহায়তাসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা করে থাকে সরকার। এ ছাড়া বিশেষ উন্নয়নমূলক খাতে হালাল ফ্যাশন, হালাল মাংস, মাংসজাত পণ্য ও অন্যান্য হালাল পণ্য এবং রিসাইকেল্ড পণ্যকে যুক্ত করা হয়েছে। আউটসোর্সিং থেকে আয়কে সেবা রপ্তানি খাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে নতুন নীতিমালায়।

এর আগের রপ্তানি নীতিমালায় কাঁচা ও ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানি নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় রাখা হয়েছিল। এবারের নীতিমালা এ দুটি পণ্য রপ্তানি করা যাবে। কাঁচা এবং ওয়েটব্লু চামড়া কেইস টু কেইস ভিত্তিতে রপ্তানিযোগ্য হবে। কাঁচা পাটও শর্ত সাপেক্ষে রপ্তানির সুযোগ রাখা হয়েছে।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৮০ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ

আপডেট: ১২:৩২:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। তিন বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০২৪ সালে পণ্য ও সেবা মিলিয়ে রপ্তানি আয় ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নিতে চায় সরকার।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এ জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নতুনভাবে রপ্তানি নীতিমালা ২০২১-২৪-এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। আজ সোমবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এটি চূড়ান্ত হতে পারে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ গতকাল সমকালকে বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণ-পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখেই নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। নীতিমালায় অগ্রাধিকারমূলক খাতে সম্ভাবনাময় কিছু পণ্য ও সেবা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কৌশল গ্রহণ করে রপ্তানি বাণিজ্য কীভাবে বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া রপ্তানি পণ্য উৎপাদনে টেকসই নীতিকৌশল গ্রহণে উৎসাহিতকরণ, আইসিটি, ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজসহ অন্যান্য সেবাখাতে সুবিধা দেওয়া, রপ্তানিমুখী সব খাতে একইভাবে নীতিসুবিধা দেওয়া, নারী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের রপ্তানিতে সম্পৃক্ততা বাড়ানো, আমদানি নীতি আদেশের সঙ্গে সংশ্নিষ্ট ক্ষেত্রগুলোর সামঞ্জস্য রাখা, ব্যবসা ও বিনিয়োগ সহজীকরণে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে নতুন রপ্তানি নীতিতে।

সচিব আরও বলেন, ‘কমপ্লায়েন্স ও স্ট্যান্ডার্ড’ প্রতিপালনে খাতভিত্তিক সুপারিশ করা হয়েছে। মধ্যবর্তী ও পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ পণ্য উৎপাদনে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। পণ্য ও সেবা বহুমুখীকরণের সুপারিশ করা হয়েছে। রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, হালাল পণ্য উৎপাদন ইত্যাদি প্রসঙ্গেও রয়েছে দিকনির্দেশনা। সব মিলিয়ে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডিংকে জোরদার করা হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ২০১৮-২১ মেয়াদের রপ্তানি নীতিমালা কার্যকর রয়েছে। নতুন নীতিমালা চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত এই নীতিমালাই কার্যকর থাকবে। চলতি নীতিমালায় বছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ছিল ৬০ বিলিয়ন ডলার। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের কারণে তা অর্জন সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা মিলিয়ে মোট ৪৫ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় করেছে বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরে সরকার ৫১ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে পণ্য রপ্তানি থেকে ৪৪ বিলিয়ন ডলার এবং সেবা খাত থেকে ৭ বিলিয়ন ডলার আয় হবে বলে সরকার আশা করছে।

সূত্র মতে, নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, শতভাগ রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান নমুনা হিসেবে বিনামূল্যে বছরে ৩০ হাজার ডলারের পণ্য দেশের বাইরে পাঠাতে পারবে, যা এতদিন ছিল ২০ হাজার ডলার। এ নীতিমালায় কৃত্রিম তন্তুর পোশাক তৈরিতে জোর দেওয়া হয়েছে। এ খাতকে অগ্রাধিকার খাতে অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে একটি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা হবে। এ ধরনের শিল্প স্থাপনে কম সুদে ও সহজ শর্তে ঋণ এবং কর ছাড় দেওয়া হবে। কৃত্রিম আঁশের সুতা ও তুলার সুতার ভ্যাট একই রকম করা হবে।

১৪ ধরনের পণ্যকে অগ্রাধিকার পণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অধিক মূল্য সংযোজিত তৈরি পোশাক, ডেনিম, কৃত্রিম ফাইবার, গার্মেন্ট এক্সেসরিজ, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য, প্লাস্টিক পণ্য, জুতা (চামড়াজাত, অচামড়াজাত ও সিনথেটিক) এবং চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য ও বহুমুখী পাটজাত পণ্য, কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য, ফল, কাট ফ্লাওয়ার, হালকা প্রকৌশল পণ্য (অটো পার্টস, বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, ব্যাটারি), জাহাজ ও সমুদ্রগামী ফিশিং ট্রলার, আসবাবপত্র, হোম টেক্সটাইল, হোম ডেকর ও টেরিটাওয়েল, লাগেজ, একটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টস (এপিআই) এবং ল্যাবরেটরি বিকারক (রি-এজেন্ট)।

এর মধ্যে হালকা প্রকৌশল খাতের অটো পার্টস, বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল ও ব্যাটারি অগ্রাধিকার খাতে নতুন যুক্ত হয়েছে। এ ছাড়া নতুন করে যুক্ত হয়েছে কৃত্রিম তন্তু বা এ থেকে তৈরি পণ্য, বহুমুখী পাটজাত পণ্য, ফল ও কাট-ফ্লাওয়ার।

অন্যদিকে, অগ্রাধিকার খাত থেকে সফটওয়্যার, আইটি এনাবল সার্ভিসেস ও আইসিটি পণ্য বাদ দেওয়া হয়েছে। যেসব রপ্তানি খাতে বিশেষ সম্ভাবনা রয়েছে, অথচ বিবিধ কারণে তা কাজে লাগানো যাচ্ছে না, এমন খাতকে অগ্রাধিকার খাত বলা হয়। এসব খাতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিয়ে সম্ভাবনা অর্জনে সহায়তা করা হয়। এসব খাতে কম সুদে প্রকল্প ঋণ, আয়কর রেয়াত, বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস সরবরাহে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিমান পরিবহনে অগ্রাধিকার, বন্ড সুবিধা, বিদেশে বাজার সৃষ্টিতে সহায়তাসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা করে থাকে সরকার। এ ছাড়া বিশেষ উন্নয়নমূলক খাতে হালাল ফ্যাশন, হালাল মাংস, মাংসজাত পণ্য ও অন্যান্য হালাল পণ্য এবং রিসাইকেল্ড পণ্যকে যুক্ত করা হয়েছে। আউটসোর্সিং থেকে আয়কে সেবা রপ্তানি খাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে নতুন নীতিমালায়।

এর আগের রপ্তানি নীতিমালায় কাঁচা ও ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানি নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় রাখা হয়েছিল। এবারের নীতিমালা এ দুটি পণ্য রপ্তানি করা যাবে। কাঁচা এবং ওয়েটব্লু চামড়া কেইস টু কেইস ভিত্তিতে রপ্তানিযোগ্য হবে। কাঁচা পাটও শর্ত সাপেক্ষে রপ্তানির সুযোগ রাখা হয়েছে।

ঢাকা/টিএ