০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রমজানে আল-আকসা অভিমুখে লং-মার্চের আহ্বান হামাসের

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৩৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১০৪২৬ বার দেখা হয়েছে

জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের আসন্ন রমজান মাসের প্রথম দিন আল-আকসা মসজিদ অভিমুখে লং-মার্চ করার আহ্বান জানিয়েছেন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া। তিনি গতরাতে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে এ আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আল-আকসা মসজিদ ও গাজা উপত্যকার ওপর আরোপিত ইসরাইলি অবরোধের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই এবং দু’টি অবরোধ একই সূত্রে গাঁথা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেরুজালেম আল-কুদস শহরে অবস্থিত মুসলমানদের প্রথম ক্বিবলা আল-আকসা মসজিদ ইহুদিবাদীরা জবরদখল করে রেখেছে। ওই মসজিদে মুসলমানদের নামাজ আদায় করতে যাওয়া ইসরাইল সরকারের মর্জির ওপর নির্ভরশীল।

সম্প্রতি ইসরাইলের উগ্র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেন গাভির ঘোষণা দিয়েছেন, আসন্ন রমজান মাসে ‘নিরাপত্তাগত কারণে’ মুসলমানদের আল-আকসা মসজিদে যাওয়ার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। তার এ ঘোষণার পরই কাতার-প্রবাসী হামাসের পলিটব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়া লং-মার্চ করার আহ্বান জানালেন। চাঁদ দেখা যাওয়া সাপেক্ষে ফিলিস্তিনে আগামী ১০ অথবা ১১ মার্চ পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে যাচ্ছে।

হানিয়া তার ভাষণে বলেন, আল-আকসাসহ অন্যান্য পবিত্র স্থান আন্তর্জাতিক আইনে পরিচালিত হতে হবে। ফিলিস্তিনি জনগণ সব রকম প্রতিরোধের মাধ্যমে তাদের মসজিদ ও গীর্জাসহ অন্যান্য পবিত্র স্থাপনা রক্ষা করবে।

আরও পড়ুন: খাদ্যের বিনিময়ে রাশিয়াকে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র দিয়েছে উত্তর কোরিয়া

প্রতি বছর পবিত্র রমজান মাস এলেই আল-আকসা মসজিদের আশপাশে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর হামলা জোরদার করে ইসরাইল। চলতি বছর গাজা যুদ্ধের কারণে বিষয়টি অন্যরকম গুরুত্ব পাচ্ছে। গাজায় ভয়াবহ আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে ধারনা করা হচ্ছে, আসন্ন রমজানে ইসরাইলি সেনারা আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের সঙ্গে অনেক বেশি সহিংস আচরণ করবে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ৩০ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করার পাশাপাশি পশ্চিম তীরে ৪১০ জনকে হত্যা করেছে ইসরাইল। দখলদার সেনাদের পাশবিক হামলায় শুধু পশ্চিম তীরেই আহত হয়েছেন ৪,৬০০ ফিলিস্তিনি। পার্সটুডে

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

রমজানে আল-আকসা অভিমুখে লং-মার্চের আহ্বান হামাসের

আপডেট: ১০:৩৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের আসন্ন রমজান মাসের প্রথম দিন আল-আকসা মসজিদ অভিমুখে লং-মার্চ করার আহ্বান জানিয়েছেন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া। তিনি গতরাতে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে এ আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আল-আকসা মসজিদ ও গাজা উপত্যকার ওপর আরোপিত ইসরাইলি অবরোধের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই এবং দু’টি অবরোধ একই সূত্রে গাঁথা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেরুজালেম আল-কুদস শহরে অবস্থিত মুসলমানদের প্রথম ক্বিবলা আল-আকসা মসজিদ ইহুদিবাদীরা জবরদখল করে রেখেছে। ওই মসজিদে মুসলমানদের নামাজ আদায় করতে যাওয়া ইসরাইল সরকারের মর্জির ওপর নির্ভরশীল।

সম্প্রতি ইসরাইলের উগ্র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেন গাভির ঘোষণা দিয়েছেন, আসন্ন রমজান মাসে ‘নিরাপত্তাগত কারণে’ মুসলমানদের আল-আকসা মসজিদে যাওয়ার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। তার এ ঘোষণার পরই কাতার-প্রবাসী হামাসের পলিটব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়া লং-মার্চ করার আহ্বান জানালেন। চাঁদ দেখা যাওয়া সাপেক্ষে ফিলিস্তিনে আগামী ১০ অথবা ১১ মার্চ পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে যাচ্ছে।

হানিয়া তার ভাষণে বলেন, আল-আকসাসহ অন্যান্য পবিত্র স্থান আন্তর্জাতিক আইনে পরিচালিত হতে হবে। ফিলিস্তিনি জনগণ সব রকম প্রতিরোধের মাধ্যমে তাদের মসজিদ ও গীর্জাসহ অন্যান্য পবিত্র স্থাপনা রক্ষা করবে।

আরও পড়ুন: খাদ্যের বিনিময়ে রাশিয়াকে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র দিয়েছে উত্তর কোরিয়া

প্রতি বছর পবিত্র রমজান মাস এলেই আল-আকসা মসজিদের আশপাশে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর হামলা জোরদার করে ইসরাইল। চলতি বছর গাজা যুদ্ধের কারণে বিষয়টি অন্যরকম গুরুত্ব পাচ্ছে। গাজায় ভয়াবহ আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে ধারনা করা হচ্ছে, আসন্ন রমজানে ইসরাইলি সেনারা আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের সঙ্গে অনেক বেশি সহিংস আচরণ করবে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ৩০ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করার পাশাপাশি পশ্চিম তীরে ৪১০ জনকে হত্যা করেছে ইসরাইল। দখলদার সেনাদের পাশবিক হামলায় শুধু পশ্চিম তীরেই আহত হয়েছেন ৪,৬০০ ফিলিস্তিনি। পার্সটুডে

ঢাকা/এসএইচ