০৯:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

রাজস্ব আদায়ে বিশাল ঘাটতির মুখে এনবিআর

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:৪৫:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪
  • / ১০২৪২ বার দেখা হয়েছে

চলতি অর্থবছরও রাজস্ব আদায়ে বিশাল ঘাটতির সামনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এরপরও আসছে বাজেটে আরও বাড়ানো হচ্ছে লক্ষ্যমাত্রা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ব্যর্থতার জন্য সংস্থাটি দায়ী কর্তাদের জবাবদিহিতার আওতায় না নিয়ে আসাতেই কাটছে না এই দুর্বলতা। সেই সঙ্গে রয়েছে গবেষণাসহ রাজস্ব আদায় বাড়ানোর উপায় বের করতে বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ নেয়ার ঘাটতি। এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যানের দাবি, লক্ষ্য পূরণে সৎ হতে হবে আদায়কারীকে।

৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা এনবিআরের কাঁধে চাপিয়ে ঘোষণা করা হয় চলতি অর্থবছরের বাজেট। পরে অবশ্য লক্ষ্যমাত্রা ২০ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে আনা হয়েছে ৪ লাখ ১০ হাজার কোটিতে। তারপরও রাজস্ব আদায়ে বিশাল ব্যর্থতার জানান দিচ্ছে হালনাগাদ পরিসংখ্যান।

গত এপ্রিল পর্যন্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে মোট ২ লাখ ৮৯ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে পেরেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণে অর্থবছরের শেষ দুই মাসে সংস্থাটিকে আদায় করতে হবে ১ লাখ ২০ হাজার ৬২৩ কোটি টাকা।

ব্যর্থতার আকার বড় হলেও অর্থমন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে এনবিআরের ঘাড়ে চাপতে যাচ্ছে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহের গুরুভার। যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বেশি।

এই যে বিশাল প্রস্তাবনা, এরপর লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে দেয়া, পরের বছর আবার টার্গেট বাড়িয়ে দিয়ে কাটছাঁট করার যে রীতি চলছে- এজন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে না পারলে কখনই পূরণ হবে না লক্ষ্যমাত্রা।

অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, এক বছর লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে দিয়ে পরের বছর আবার বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। যা যুক্তিসংগত নয়। এর ফলে কাঙিক্ষত রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে না।

আরও পড়ুন: বাজেটে আয়কর সংক্রান্ত যেসব পরিবর্তন আসছে

অর্থনীতিবিদ মাহফুজ কবীর বলেন, এনবিআরের সক্ষমতা ও দূরদর্শী পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। যার ফলে কাঙিক্ষত রাজস্ব আদায় সম্ভব হচ্ছে না।

আর এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ বলেন, সততার ঘাটতিই প্রতিবছর বড় করছে রাজস্ব আদায় ঘাটতি।

বর্ধিত লক্ষ্যমাত্রায় প্রতিবছরই বাড়ে ভ্যাটের মতো পরোক্ষ কর নির্ভরতা; যা চাপে ফেলে সাধারণ মানুষকে। দেখার অপেক্ষা, এবার বাজেটে কতটা করের চাপে পড়েন দেশের নাগরিকরা।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

x

রাজস্ব আদায়ে বিশাল ঘাটতির মুখে এনবিআর

আপডেট: ০২:৪৫:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪

চলতি অর্থবছরও রাজস্ব আদায়ে বিশাল ঘাটতির সামনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এরপরও আসছে বাজেটে আরও বাড়ানো হচ্ছে লক্ষ্যমাত্রা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ব্যর্থতার জন্য সংস্থাটি দায়ী কর্তাদের জবাবদিহিতার আওতায় না নিয়ে আসাতেই কাটছে না এই দুর্বলতা। সেই সঙ্গে রয়েছে গবেষণাসহ রাজস্ব আদায় বাড়ানোর উপায় বের করতে বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ নেয়ার ঘাটতি। এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যানের দাবি, লক্ষ্য পূরণে সৎ হতে হবে আদায়কারীকে।

৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা এনবিআরের কাঁধে চাপিয়ে ঘোষণা করা হয় চলতি অর্থবছরের বাজেট। পরে অবশ্য লক্ষ্যমাত্রা ২০ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে আনা হয়েছে ৪ লাখ ১০ হাজার কোটিতে। তারপরও রাজস্ব আদায়ে বিশাল ব্যর্থতার জানান দিচ্ছে হালনাগাদ পরিসংখ্যান।

গত এপ্রিল পর্যন্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে মোট ২ লাখ ৮৯ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে পেরেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণে অর্থবছরের শেষ দুই মাসে সংস্থাটিকে আদায় করতে হবে ১ লাখ ২০ হাজার ৬২৩ কোটি টাকা।

ব্যর্থতার আকার বড় হলেও অর্থমন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে এনবিআরের ঘাড়ে চাপতে যাচ্ছে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহের গুরুভার। যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বেশি।

এই যে বিশাল প্রস্তাবনা, এরপর লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে দেয়া, পরের বছর আবার টার্গেট বাড়িয়ে দিয়ে কাটছাঁট করার যে রীতি চলছে- এজন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে না পারলে কখনই পূরণ হবে না লক্ষ্যমাত্রা।

অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, এক বছর লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে দিয়ে পরের বছর আবার বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। যা যুক্তিসংগত নয়। এর ফলে কাঙিক্ষত রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে না।

আরও পড়ুন: বাজেটে আয়কর সংক্রান্ত যেসব পরিবর্তন আসছে

অর্থনীতিবিদ মাহফুজ কবীর বলেন, এনবিআরের সক্ষমতা ও দূরদর্শী পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। যার ফলে কাঙিক্ষত রাজস্ব আদায় সম্ভব হচ্ছে না।

আর এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ বলেন, সততার ঘাটতিই প্রতিবছর বড় করছে রাজস্ব আদায় ঘাটতি।

বর্ধিত লক্ষ্যমাত্রায় প্রতিবছরই বাড়ে ভ্যাটের মতো পরোক্ষ কর নির্ভরতা; যা চাপে ফেলে সাধারণ মানুষকে। দেখার অপেক্ষা, এবার বাজেটে কতটা করের চাপে পড়েন দেশের নাগরিকরা।

ঢাকা/এসএইচ