১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজস্ব আয় কমলেও বাড়ছে ভর্তুকির বোঝা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:১১:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
  • / ১০৪০২ বার দেখা হয়েছে

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সরকারের এক লাখ ২৫ হাজার ৭৪১ কোটি টাকার ভর্তুকি ও প্রণোদনার লক্ষ্যমাত্রা সংকটময় অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে রাজস্ব আদায়ের চাপ বাড়িয়ে দেবে।

ভর্তুকি ও প্রণোদনায় বরাদ্দ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় নয় শতাংশ বেশি হলেও তা সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ১১ শতাংশ কম। অর্থাৎ, এক লাখ ৪১ হাজার ৩৪ কোটি টাকা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

২০২৪-২৫ অর্থবছরে মূল ভর্তুকি বরাদ্দ ছিল এক লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা। তবে অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কয়েকটি খাতে বেশিরভাগ বকেয়া পরিশোধ মঞ্জুর করায় তা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতিতে (এমপিএস) সরকার বলেছে, রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার কম থাকায় ভর্তুকি ও প্রণোদনা বাড়ানোর সুযোগ কমেছে।

নতুন ভর্তুকি বরাদ্দের বেশিরভাগই যাবে বিদ্যুৎ, সার ও খাদ্য খাতে।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে বেশি খরচ, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম বৃদ্ধি, দরিদ্রদের খাদ্য সহায়তা ও ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়ায় সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ভর্তুকি খরচ ক্রমাগত বেড়েছে।

২০১৭-১৮ অর্থবছরে ভর্তুকির পরিমাণ ছিল ১২ হাজার ১২০ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে তা হয় ৩১ হাজার কোটি টাকা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ লুৎফর রহমান মনে করেন, ‘ভর্তুকি ও প্রণোদনা বাড়ানো অব্যাহত রাখা সম্ভব নয়। ধাপে ধাপে কমাতে হবে। দিকনির্দেশনা থাকতে হবে।’

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রপ্তানিমুখী শিল্পে বছরের পর বছর প্রণোদনা দেওয়া দেশীয় শিল্প রক্ষার কোনো কার্যকর উপায় নয়। প্রতিযোগিতা ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে। ব্যবসার পরিচালন খরচ কমিয়ে সরকার অবদান রাখতে পারে।’

২০২৫-২৬ অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাত ভর্তুকি হিসেবে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ পেতে পারে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটে বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ ছিল ৪০ হাজার কোটি টাকা। তবে চলতি বছরের সংশোধিত বাজেটে বিদ্যুতের ভর্তুকি বাড়িয়ে ৬২ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। এ দিয়ে কয়েক বছরের বকেয়া পরিশোধ করা হবে।

২০২১-২২ অর্থবছরে বিদ্যুতে ভর্তুকি ছিল প্রায় নয় হাজার কোটি টাকা। কিন্তু আগের সরকার পুরোনো বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ না করে বড় বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র অনুমোদন দেওয়ায় ভর্তুকি আরও বেড়েছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর জ্বালানি ও এলএনজির দাম বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ আরও বেড়ে যায়। এর ফলে ভর্তুকির পরিমাণ আরও বেড়েছে।

পূর্ববর্তী সরকার সময়মতো টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলোয় বকেয়া বাড়তে থাকে। এখন সেগুলো পরিশোধ করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন—যদিও বকেয়ার একটি বড় অংশ পরিশোধ করা হয়েছে তবুও আগামী অর্থবছরে আরও কিছু বকেয়া পরিশোধ করা হতে পারে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকার পুরোনো বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি নবায়ন করা থেকে বিরত আছে। এটি ভবিষ্যতের বোঝা কমাতে পারে।

আরও পড়ুন: অর্থ পাচারকারীদের সঙ্গে ‘সমঝোতার’ কথা ভাবছে বাংলাদেশ

চলতি বছরের মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পুরোপুরি চালু হবে বলে আশা করছেন তারা।

এদিকে এলএনজি আমদানিতে ভর্তুকি চলতি অর্থবছরের ছয় হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে নয় হাজার কোটি টাকা হবে। পেট্রোবাংলার তথ্য বলছে—প্রতি ইউনিট এলএনজি কেনা ও বিক্রির মধ্যে ব্যবধান ১৭ হাজার ৬৭৬ টাকা।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বাজেট বক্তৃতায় বলেছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকার কম দামে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।

তাই বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির শুল্ক কাঠামো পর্যালোচনা করছে সরকার। এছাড়া, বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে কম দামে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির জন্য নেপালের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।

এদিকে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।

আশা করা হচ্ছে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে রূপপুর থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি বরাদ্দ পেতে যাচ্ছে কৃষি খাত। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই খাতে সংশোধিত বরাদ্দ ছিল ২৫ হাজার কোটি টাকা।

সরকার খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার করতে সার ও আধুনিক যন্ত্রের ওপর জোর দিচ্ছে।

কম আয়ের পরিবারগুলোকে সহায়তার লক্ষ্যে আগামী অর্থবছরে খাদ্য ভর্তুকি ৩১ শতাংশ বাড়িয়ে নয় হাজার ৫০০ কোটি টাকা করার পরিকল্পনা আছে সরকারের। ওপেন মার্কেট সেলস (ওএমএস) ও ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) কর্মসূচিসহ খাদ্যবান্ধব প্রকল্পের উপকারভোগীর সংখ্যা ৫০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৫৩ লাখ করা হবে।

এছাড়া, প্রতিটি পরিবারকে ১৫ টাকা কেজিতে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল ছয় মাস দেওয়া হবে। এখন তা দেওয়া হচ্ছে পাঁচ মাস।

রপ্তানি প্রণোদনা সাত হাজার ৮২৫ কোটি ও রেমিট্যান্স প্রণোদনা ছয় হাজার ২০০ কোটি টাকা থাকতে পারে। সব মিলিয়ে ভর্তুকি খরচের আওতায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে প্রণোদনা হিসেবে ৪২ হাজার ২২৫ কোটি টাকা ও নগদ ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা আছে সরকারের।

অধ্যাপক লুৎফর রহমানের মতে, রেমিট্যান্সের ওপর নগদ প্রণোদনা বছরের পর বছর চলমান রাখা যাবে না। বিশেষ করে, বিনিময় হার এখন প্রায় বাজারভিত্তিক, তাই এগুলো এখন বাদ দেওয়া যেতে পারে।

তবে, ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় আসার প্রত্যাশায় সরকার আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ধীরে ধীরে রপ্তানি প্রণোদনা কমানোর পরিকল্পনা করছে। আরও স্বনির্ভর ও বৈচিত্র্যময় অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।

সূত্র: দ্য ডেইলি স্টারকে

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

রাজস্ব আয় কমলেও বাড়ছে ভর্তুকির বোঝা

আপডেট: ১২:১১:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সরকারের এক লাখ ২৫ হাজার ৭৪১ কোটি টাকার ভর্তুকি ও প্রণোদনার লক্ষ্যমাত্রা সংকটময় অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে রাজস্ব আদায়ের চাপ বাড়িয়ে দেবে।

ভর্তুকি ও প্রণোদনায় বরাদ্দ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় নয় শতাংশ বেশি হলেও তা সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ১১ শতাংশ কম। অর্থাৎ, এক লাখ ৪১ হাজার ৩৪ কোটি টাকা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

২০২৪-২৫ অর্থবছরে মূল ভর্তুকি বরাদ্দ ছিল এক লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা। তবে অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কয়েকটি খাতে বেশিরভাগ বকেয়া পরিশোধ মঞ্জুর করায় তা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতিতে (এমপিএস) সরকার বলেছে, রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার কম থাকায় ভর্তুকি ও প্রণোদনা বাড়ানোর সুযোগ কমেছে।

নতুন ভর্তুকি বরাদ্দের বেশিরভাগই যাবে বিদ্যুৎ, সার ও খাদ্য খাতে।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে বেশি খরচ, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম বৃদ্ধি, দরিদ্রদের খাদ্য সহায়তা ও ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়ায় সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ভর্তুকি খরচ ক্রমাগত বেড়েছে।

২০১৭-১৮ অর্থবছরে ভর্তুকির পরিমাণ ছিল ১২ হাজার ১২০ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে তা হয় ৩১ হাজার কোটি টাকা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ লুৎফর রহমান মনে করেন, ‘ভর্তুকি ও প্রণোদনা বাড়ানো অব্যাহত রাখা সম্ভব নয়। ধাপে ধাপে কমাতে হবে। দিকনির্দেশনা থাকতে হবে।’

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রপ্তানিমুখী শিল্পে বছরের পর বছর প্রণোদনা দেওয়া দেশীয় শিল্প রক্ষার কোনো কার্যকর উপায় নয়। প্রতিযোগিতা ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে। ব্যবসার পরিচালন খরচ কমিয়ে সরকার অবদান রাখতে পারে।’

২০২৫-২৬ অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাত ভর্তুকি হিসেবে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ পেতে পারে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটে বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ ছিল ৪০ হাজার কোটি টাকা। তবে চলতি বছরের সংশোধিত বাজেটে বিদ্যুতের ভর্তুকি বাড়িয়ে ৬২ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। এ দিয়ে কয়েক বছরের বকেয়া পরিশোধ করা হবে।

২০২১-২২ অর্থবছরে বিদ্যুতে ভর্তুকি ছিল প্রায় নয় হাজার কোটি টাকা। কিন্তু আগের সরকার পুরোনো বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ না করে বড় বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র অনুমোদন দেওয়ায় ভর্তুকি আরও বেড়েছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর জ্বালানি ও এলএনজির দাম বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ আরও বেড়ে যায়। এর ফলে ভর্তুকির পরিমাণ আরও বেড়েছে।

পূর্ববর্তী সরকার সময়মতো টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলোয় বকেয়া বাড়তে থাকে। এখন সেগুলো পরিশোধ করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন—যদিও বকেয়ার একটি বড় অংশ পরিশোধ করা হয়েছে তবুও আগামী অর্থবছরে আরও কিছু বকেয়া পরিশোধ করা হতে পারে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকার পুরোনো বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি নবায়ন করা থেকে বিরত আছে। এটি ভবিষ্যতের বোঝা কমাতে পারে।

আরও পড়ুন: অর্থ পাচারকারীদের সঙ্গে ‘সমঝোতার’ কথা ভাবছে বাংলাদেশ

চলতি বছরের মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পুরোপুরি চালু হবে বলে আশা করছেন তারা।

এদিকে এলএনজি আমদানিতে ভর্তুকি চলতি অর্থবছরের ছয় হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে নয় হাজার কোটি টাকা হবে। পেট্রোবাংলার তথ্য বলছে—প্রতি ইউনিট এলএনজি কেনা ও বিক্রির মধ্যে ব্যবধান ১৭ হাজার ৬৭৬ টাকা।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বাজেট বক্তৃতায় বলেছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকার কম দামে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।

তাই বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির শুল্ক কাঠামো পর্যালোচনা করছে সরকার। এছাড়া, বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে কম দামে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির জন্য নেপালের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।

এদিকে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।

আশা করা হচ্ছে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে রূপপুর থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি বরাদ্দ পেতে যাচ্ছে কৃষি খাত। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই খাতে সংশোধিত বরাদ্দ ছিল ২৫ হাজার কোটি টাকা।

সরকার খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার করতে সার ও আধুনিক যন্ত্রের ওপর জোর দিচ্ছে।

কম আয়ের পরিবারগুলোকে সহায়তার লক্ষ্যে আগামী অর্থবছরে খাদ্য ভর্তুকি ৩১ শতাংশ বাড়িয়ে নয় হাজার ৫০০ কোটি টাকা করার পরিকল্পনা আছে সরকারের। ওপেন মার্কেট সেলস (ওএমএস) ও ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) কর্মসূচিসহ খাদ্যবান্ধব প্রকল্পের উপকারভোগীর সংখ্যা ৫০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৫৩ লাখ করা হবে।

এছাড়া, প্রতিটি পরিবারকে ১৫ টাকা কেজিতে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল ছয় মাস দেওয়া হবে। এখন তা দেওয়া হচ্ছে পাঁচ মাস।

রপ্তানি প্রণোদনা সাত হাজার ৮২৫ কোটি ও রেমিট্যান্স প্রণোদনা ছয় হাজার ২০০ কোটি টাকা থাকতে পারে। সব মিলিয়ে ভর্তুকি খরচের আওতায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে প্রণোদনা হিসেবে ৪২ হাজার ২২৫ কোটি টাকা ও নগদ ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা আছে সরকারের।

অধ্যাপক লুৎফর রহমানের মতে, রেমিট্যান্সের ওপর নগদ প্রণোদনা বছরের পর বছর চলমান রাখা যাবে না। বিশেষ করে, বিনিময় হার এখন প্রায় বাজারভিত্তিক, তাই এগুলো এখন বাদ দেওয়া যেতে পারে।

তবে, ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় আসার প্রত্যাশায় সরকার আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ধীরে ধীরে রপ্তানি প্রণোদনা কমানোর পরিকল্পনা করছে। আরও স্বনির্ভর ও বৈচিত্র্যময় অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।

সূত্র: দ্য ডেইলি স্টারকে

ঢাকা/এসএইচ