১২:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রিং সাইন টেক্সটাইলের সক্ষমতা যাচাই করবে বিএসইসি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৪৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২
  • / ১০৩৪৬ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি রিং সাইন টেক্সটাইলের আর্থিক সক্ষমতা যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কোম্পানিটির সার্বিক অবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে গতবছর বিএসইসি পর্ষদ পুনর্গঠন করে। এরপর জুন মাসে কোম্পানিটি উৎপাদনে ফিরে। বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

জানা গেছে, নতুনভাবে উৎপাদনে ফেরার পর আর্থিক সক্ষমতা যাচাই করার লক্ষ্যে রিং সাইন টেক্সটাইলসের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।

সম্প্রতি রিং সাইন টেক্সটাইলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এই সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।

কোম্পানিটির সক্ষমতা যাচাইয়ের বিষয়টি বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) মহাব্যবস্থাপক, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ওয়ান ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইস্টার্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোরিয়াভিত্তিক উরি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অবহিত করা হয়েছে।

সূত্র মতে, আগামী ২৪ মে (মঙ্গলবার) বিএসইসির সভাকক্ষে বিকেল ৩টায় এই বৈঠক হবে। এই বৈঠকে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্ব করার কথা রয়েছে। রিং সাইন টেক্সটাইলসের পরিচালনা পর্ষদ সদস্যদের ওই বৈঠকে অংশ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।

একই সঙ্গে বেপজা, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক ও উরি ব্যাংকের একজন করে প্রতিনিধিকে বৈঠকে থাকতে বলা হয়েছে।

তথ্য মতে, দীর্ঘ দিন উৎপাদন বন্ধ থাকার পর রিং শাইন টেক্সটাইলস মিলস গত বছরের ১৩ জুন থেকে ২৫ শতাংশ উৎপাদনে ফিরেছে। ফলে, প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধের নির্দেশনা। ওই কোম্পানিকে উৎপাদনে ফেরাতে কয়েক দফায় পদক্ষেপ নেয় বিএসইসি।

প্রথম দফায় কোম্পানিটির পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়। পরে আইপিওর ফান্ড ব্যবহারে অনুমোদন ও ভুয়া প্লেসমেন্ট শেয়ার বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া, রিং সাইনের উৎপাদন শুরু করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে বেপজা।

এর আগে বিএসইসি কর্তৃক পুনর্গঠিত পর্ষদ কোম্পানিটিকে উৎপাদনে ফেরানোর ঘোষণা দিয়েছিল। দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকা কোম্পানিটিকে পুনরায় উৎপাদনে ফেরানো কমিশনের বড় সফলতা বলে মনে করেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে, গত বছরের ২৩ জুন পুঁজিবাজারের বহুল আলোচিত কোম্পানি রিং সাইন টেক্সটাইল কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেয় বিএসইসি।

সংস্থাটি জানায়, রিং সাইন নিয়ে বিএসইসির করা তদন্তে বেরিয়ে এসেছে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ছিল ৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। উদ্যোক্তা বা পরিচালক ও ৭৩ জন সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের কাছে ২৭৫ কোটি ১০ লাখ টাকার প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে এই পরিশোধিত মূলধন ২৮৫ কোটি ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। তবে, ১১ জন উদ্যোক্তা বা পরিচালক এবং ৩৩ জন সাধারণ শেয়ারহোল্ডার এই শেয়ারের বিপরীতে কোনো টাকা পরিশোধ করেননি।

এছাড়া, ২০১৭ সালের ৩০ জুন থেকে ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রকাশিত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানির প্রকৃত আর্থিক চিত্র উঠে আসেনি। যার ফলে কমিশন অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটিজ আইন ও মানি লন্ডারিং (অর্থপাচার) আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে গত বছরের ২০ মে ৭৭৪তম কমিশন সভায় বিএসইসি রিং সাইনের আইপিও’র মাধ্যমে উত্তোলন করা অর্থের ৪০ কোটি টাকা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। সে সময় বিএসইসি থেকে জানানো হয়, এই অর্থ থেকে শ্রমিকদের অবসর ভাতা ১৫ কোটি টাকা, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের বকেয়া ৩ কোটি টাকা, তিতাস গ্যাসের বকেয়া ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ঋণ ১০ কোটি টাকা, ঢাকা ব্যাংকের ঋণ ৬ কোটি টাকা এবং বিবিধ খাতে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করা যাবে।

কোম্পানিটির ব্যবসা উন্নয়নের লক্ষ্যে গত বছরের ২৬ জানুয়ারি পর্ষদ পুনর্গঠন করে বিএসইসি। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদে সাতজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়। পর্ষদ সদস্যরা হলেন—পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজি মেজবাহ উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্সের অধ্যাপক মোহাম্মদ সগির হোসাইন খন্দকার, জনতা ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফোরোজ আলী, পাওয়ার গ্রিডের স্বতন্ত্র পরিচালক ইসতাক আহমেদ শিমুল এবং অ্যাভিয়েশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেসের সাবেক মহাব্যবস্থাপক আব্দুর রাজ্জাক। তাদের মধ্যে কোম্পানিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মেজবাহ উদ্দিন।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১২ মার্চ বিএসইসি রিং সাইন টেক্সটাইলসকে আইপিওর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে টাকা তোলার অনুমোদন দেয়। কোম্পানিটি যন্ত্রপাতি ক্রয়, ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করতে শেয়ারবাজারে ১৫ কোটি সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ১৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করে।

বর্তমানের কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৫০০ কোটি ৩১ লাখ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৫০ কোটি ৩ লাখ ১৩ হাজার ৪৩টি।

২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকের হাতে ৩১.৫৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১৬.২৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৫২.১৮ শতাংশ শেয়ার আছে। সোমবার কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ ৮.৯০ টাকায় লেনদেন হয়েছে।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

রিং সাইন টেক্সটাইলের সক্ষমতা যাচাই করবে বিএসইসি

আপডেট: ১১:৪৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি রিং সাইন টেক্সটাইলের আর্থিক সক্ষমতা যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কোম্পানিটির সার্বিক অবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে গতবছর বিএসইসি পর্ষদ পুনর্গঠন করে। এরপর জুন মাসে কোম্পানিটি উৎপাদনে ফিরে। বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

জানা গেছে, নতুনভাবে উৎপাদনে ফেরার পর আর্থিক সক্ষমতা যাচাই করার লক্ষ্যে রিং সাইন টেক্সটাইলসের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।

সম্প্রতি রিং সাইন টেক্সটাইলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এই সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।

কোম্পানিটির সক্ষমতা যাচাইয়ের বিষয়টি বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) মহাব্যবস্থাপক, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ওয়ান ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইস্টার্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোরিয়াভিত্তিক উরি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অবহিত করা হয়েছে।

সূত্র মতে, আগামী ২৪ মে (মঙ্গলবার) বিএসইসির সভাকক্ষে বিকেল ৩টায় এই বৈঠক হবে। এই বৈঠকে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্ব করার কথা রয়েছে। রিং সাইন টেক্সটাইলসের পরিচালনা পর্ষদ সদস্যদের ওই বৈঠকে অংশ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।

একই সঙ্গে বেপজা, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক ও উরি ব্যাংকের একজন করে প্রতিনিধিকে বৈঠকে থাকতে বলা হয়েছে।

তথ্য মতে, দীর্ঘ দিন উৎপাদন বন্ধ থাকার পর রিং শাইন টেক্সটাইলস মিলস গত বছরের ১৩ জুন থেকে ২৫ শতাংশ উৎপাদনে ফিরেছে। ফলে, প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধের নির্দেশনা। ওই কোম্পানিকে উৎপাদনে ফেরাতে কয়েক দফায় পদক্ষেপ নেয় বিএসইসি।

প্রথম দফায় কোম্পানিটির পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়। পরে আইপিওর ফান্ড ব্যবহারে অনুমোদন ও ভুয়া প্লেসমেন্ট শেয়ার বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া, রিং সাইনের উৎপাদন শুরু করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে বেপজা।

এর আগে বিএসইসি কর্তৃক পুনর্গঠিত পর্ষদ কোম্পানিটিকে উৎপাদনে ফেরানোর ঘোষণা দিয়েছিল। দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকা কোম্পানিটিকে পুনরায় উৎপাদনে ফেরানো কমিশনের বড় সফলতা বলে মনে করেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে, গত বছরের ২৩ জুন পুঁজিবাজারের বহুল আলোচিত কোম্পানি রিং সাইন টেক্সটাইল কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেয় বিএসইসি।

সংস্থাটি জানায়, রিং সাইন নিয়ে বিএসইসির করা তদন্তে বেরিয়ে এসেছে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ছিল ৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। উদ্যোক্তা বা পরিচালক ও ৭৩ জন সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের কাছে ২৭৫ কোটি ১০ লাখ টাকার প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে এই পরিশোধিত মূলধন ২৮৫ কোটি ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। তবে, ১১ জন উদ্যোক্তা বা পরিচালক এবং ৩৩ জন সাধারণ শেয়ারহোল্ডার এই শেয়ারের বিপরীতে কোনো টাকা পরিশোধ করেননি।

এছাড়া, ২০১৭ সালের ৩০ জুন থেকে ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রকাশিত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানির প্রকৃত আর্থিক চিত্র উঠে আসেনি। যার ফলে কমিশন অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটিজ আইন ও মানি লন্ডারিং (অর্থপাচার) আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে গত বছরের ২০ মে ৭৭৪তম কমিশন সভায় বিএসইসি রিং সাইনের আইপিও’র মাধ্যমে উত্তোলন করা অর্থের ৪০ কোটি টাকা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। সে সময় বিএসইসি থেকে জানানো হয়, এই অর্থ থেকে শ্রমিকদের অবসর ভাতা ১৫ কোটি টাকা, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের বকেয়া ৩ কোটি টাকা, তিতাস গ্যাসের বকেয়া ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ঋণ ১০ কোটি টাকা, ঢাকা ব্যাংকের ঋণ ৬ কোটি টাকা এবং বিবিধ খাতে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করা যাবে।

কোম্পানিটির ব্যবসা উন্নয়নের লক্ষ্যে গত বছরের ২৬ জানুয়ারি পর্ষদ পুনর্গঠন করে বিএসইসি। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদে সাতজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়। পর্ষদ সদস্যরা হলেন—পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজি মেজবাহ উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্সের অধ্যাপক মোহাম্মদ সগির হোসাইন খন্দকার, জনতা ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফোরোজ আলী, পাওয়ার গ্রিডের স্বতন্ত্র পরিচালক ইসতাক আহমেদ শিমুল এবং অ্যাভিয়েশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেসের সাবেক মহাব্যবস্থাপক আব্দুর রাজ্জাক। তাদের মধ্যে কোম্পানিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মেজবাহ উদ্দিন।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১২ মার্চ বিএসইসি রিং সাইন টেক্সটাইলসকে আইপিওর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে টাকা তোলার অনুমোদন দেয়। কোম্পানিটি যন্ত্রপাতি ক্রয়, ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করতে শেয়ারবাজারে ১৫ কোটি সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ১৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করে।

বর্তমানের কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৫০০ কোটি ৩১ লাখ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৫০ কোটি ৩ লাখ ১৩ হাজার ৪৩টি।

২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকের হাতে ৩১.৫৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১৬.২৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৫২.১৮ শতাংশ শেয়ার আছে। সোমবার কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ ৮.৯০ টাকায় লেনদেন হয়েছে।

ঢাকা/টিএ