১০:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন চালু রাখতে চায় ডিএসই

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৪২:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১০২৮৭ বার দেখা হয়েছে

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন স্থগিত রাখার পুরোনো নিয়মটি বাতিল করতে চাইছে। এর মূল লক্ষ্য হলো বাজারের দক্ষতা বাড়ানো, লেনদেনে সৃষ্ট বাধা দূর করা এবং পুঁজিবাজারকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে নিয়ে আসা।

এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ডিএসই গত আগস্টে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-কে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে ডিপোজিটরি (ইউজার) রেগুলেশনস ২০০৩ এবং সেটেলমেন্ট অব ট্রানজেকশনস রেগুলেশনস ২০১৩ সংশোধনের অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে রেকর্ড ডেটেও স্পট ট্রেডিং চালু করা যায়।

বর্তমানে, বাংলাদেশে কোনো কোম্পানির রেকর্ড ডেট থাকলে সেই দিন সেই শেয়ারের লেনদেন বন্ধ থাকে। রেকর্ড ডেট হলো এমন একটি তারিখ, যা নির্ধারণ করে কোন শেয়ারহোল্ডাররা বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)/বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) ভোট দিতে পারবেন এবং ডিভিডেন্ড, রাইটস বা বোনাস শেয়ারের জন্য যোগ্য হবেন।

নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন চালু থাকলে বিক্রেতা কর্পোরেট সুবিধা পাবেন, কিন্তু ক্রেতা কোনো সুবিধা পাবেন না। ডিএসই মনে করে, এই সংস্কার শেয়ারবাজারে বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।

ডিএসইর শেয়ারহোল্ডার পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, “এই উদ্যোগ পুঁজিবাজারকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করবে। অন্যান্য দেশে রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকে না, এটি কেবল একটি প্রযুক্তিগত বিষয়।” তিনি আরও বলেন, লেনদেন বন্ধ না থাকলে বাজারের তারল্য এবং লেনদেনের পরিমাণ বাড়বে।

বর্তমানে ৩৬৫টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য বছরে ৩৬৫ দিন লেনদেন বন্ধ থাকার প্রয়োজন হয়। কিন্তু বছরে মাত্র ২২০-২২৫ দিন লেনদেন হয়। ফলে একই দিনে একাধিক কোম্পানির শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকে, যা টার্নওভার কমিয়ে দেয় এবং বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে।

ডিএসই তাদের চিঠিতে নিশ্চিত করেছে যে, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ (সিডিবিএল) প্রযুক্তিগতভাবে রেকর্ড ডেটে লেনদেন চালু করতে সক্ষম। ব্যাক-অফিস এবং ওএমএস ভেন্ডররাও প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, এই ব্যবস্থা চালু হলে বিনিয়োগকারীদের কার্যক্রম বাড়বে এবং দেশের শেয়ারবাজার আরও শক্তিশালী হবে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন চালু রাখতে চায় ডিএসই

আপডেট: ১২:৪২:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন স্থগিত রাখার পুরোনো নিয়মটি বাতিল করতে চাইছে। এর মূল লক্ষ্য হলো বাজারের দক্ষতা বাড়ানো, লেনদেনে সৃষ্ট বাধা দূর করা এবং পুঁজিবাজারকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে নিয়ে আসা।

এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ডিএসই গত আগস্টে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-কে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে ডিপোজিটরি (ইউজার) রেগুলেশনস ২০০৩ এবং সেটেলমেন্ট অব ট্রানজেকশনস রেগুলেশনস ২০১৩ সংশোধনের অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে রেকর্ড ডেটেও স্পট ট্রেডিং চালু করা যায়।

বর্তমানে, বাংলাদেশে কোনো কোম্পানির রেকর্ড ডেট থাকলে সেই দিন সেই শেয়ারের লেনদেন বন্ধ থাকে। রেকর্ড ডেট হলো এমন একটি তারিখ, যা নির্ধারণ করে কোন শেয়ারহোল্ডাররা বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)/বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) ভোট দিতে পারবেন এবং ডিভিডেন্ড, রাইটস বা বোনাস শেয়ারের জন্য যোগ্য হবেন।

নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন চালু থাকলে বিক্রেতা কর্পোরেট সুবিধা পাবেন, কিন্তু ক্রেতা কোনো সুবিধা পাবেন না। ডিএসই মনে করে, এই সংস্কার শেয়ারবাজারে বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।

ডিএসইর শেয়ারহোল্ডার পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, “এই উদ্যোগ পুঁজিবাজারকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করবে। অন্যান্য দেশে রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকে না, এটি কেবল একটি প্রযুক্তিগত বিষয়।” তিনি আরও বলেন, লেনদেন বন্ধ না থাকলে বাজারের তারল্য এবং লেনদেনের পরিমাণ বাড়বে।

বর্তমানে ৩৬৫টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য বছরে ৩৬৫ দিন লেনদেন বন্ধ থাকার প্রয়োজন হয়। কিন্তু বছরে মাত্র ২২০-২২৫ দিন লেনদেন হয়। ফলে একই দিনে একাধিক কোম্পানির শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকে, যা টার্নওভার কমিয়ে দেয় এবং বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে।

ডিএসই তাদের চিঠিতে নিশ্চিত করেছে যে, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ (সিডিবিএল) প্রযুক্তিগতভাবে রেকর্ড ডেটে লেনদেন চালু করতে সক্ষম। ব্যাক-অফিস এবং ওএমএস ভেন্ডররাও প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, এই ব্যবস্থা চালু হলে বিনিয়োগকারীদের কার্যক্রম বাড়বে এবং দেশের শেয়ারবাজার আরও শক্তিশালী হবে।

ঢাকা/এসএইচ