১০:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

রেমিট্যান্স পাঠাতে নিরুৎসাহিত করছে বিএনপি: সেতুমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:৩০:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩
  • / ১০৪১৭ বার দেখা হয়েছে

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে নিরুৎসাহিত করছে বিএনপি। বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের নিরুৎসাহিত করে দেশে অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি করতে চায়।

আজ মঙ্গলবার (৩০ মে) এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া সই করা বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউভ

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সেই রাজনৈতিক দল, যারা বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়, যারা সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে নিরুৎসাহিত করে দেশে অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি করতে চায়। কাজেই রেমিট্যান্স বাড়ার সুখবরে খুশি নন বিএনপি নেতারা।

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্সপ্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়া সম্পর্কে মির্জা ফখরুলের বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যারা কেবল দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আরজি নিয়ে চাতক পাখির মতো বিদেশি প্রভুদের দিকে চেয়ে থাকে, তারা রেমিট্যান্স বৃদ্ধির সুখবর কোনোভাবেই মেনে নিতে পারবে না, সেটাই স্বাভাবিক।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ার সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণেই রেমিট্যান্সপ্রবাহ বেড়েছে। সেইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুকন্যার সফল নেতৃত্বের কল্যাণে বাংলাদেশের শক্তিশালী অর্থনৈতিক কাঠামো প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগের নিরাপদ স্থান হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মতোই প্রবাসী বাংলাদেশিরাও দেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত হচ্ছেন।

আরও পড়ুন: আনসার-ভিডিপিকে পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার নির্দেশ

‘বর্তমান সরকার অর্থপাচার রোধে কার্যকর আইন প্রণয়ন এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নজির স্থাপন করেছে। অন্যদিকে, বিএনপি- জামায়াত জোটের শাসনামলে দুর্নীতি ও অর্থ পাচারকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছিল। হাওয়া ভবন খুলে দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থপাচারের স্বর্গরাজ্য গড়ে তোলা হয়েছিল। তাদের দুর্নীতি ও অর্থপাচার সম্পর্কে এফবিআই সাক্ষ্য দিয়েছে। সিঙ্গাপুর থেকে খালেদা জিয়ার ছেলেদের পাচার করা অর্থ ফেরত আনা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে আওয়ামী লীগের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই বরং বিএনপিই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। আগুন দিয়ে শত শত নিরীহ, নিরপরাধ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ এবং উগ্র সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী অপশক্তিকে পৃষ্ঠপোষকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য বিএনপিই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশে দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসানের মধ্যদিয়ে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন গঠনের সুনির্দিষ্ট আইন প্রণীত হয়েছে, অবকাঠামো উন্নয়ন ও কারিগরি সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণসহ নির্বাচনী ব্যবস্থার সার্বিক সক্ষমতা বেড়েছে। নির্বাচন কমিশনের অধীনই গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনও অনুরূপভাবে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। এটাই শেখ হাসিনার সরকারের সংকল্প। বিএনপি নিশ্চিত পরাজয় জেনে নির্বাচনে অংশ নিতে ভয় পায়। সে কারণে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সৎসাহস রাখে না বিএনপি। তাই তারা নির্বাচন বানচাল এবং গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারাকে ব্যাহত করতেই দেশে–বিদেশে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক উল্লেখ করেন, দেশের জনগণ যেকোনো মূল্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির ধারাকে অব্যাহত রাখবে।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

রেমিট্যান্স পাঠাতে নিরুৎসাহিত করছে বিএনপি: সেতুমন্ত্রী

আপডেট: ০৭:৩০:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে নিরুৎসাহিত করছে বিএনপি। বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের নিরুৎসাহিত করে দেশে অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি করতে চায়।

আজ মঙ্গলবার (৩০ মে) এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া সই করা বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউভ

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সেই রাজনৈতিক দল, যারা বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়, যারা সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে নিরুৎসাহিত করে দেশে অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি করতে চায়। কাজেই রেমিট্যান্স বাড়ার সুখবরে খুশি নন বিএনপি নেতারা।

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্সপ্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়া সম্পর্কে মির্জা ফখরুলের বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যারা কেবল দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আরজি নিয়ে চাতক পাখির মতো বিদেশি প্রভুদের দিকে চেয়ে থাকে, তারা রেমিট্যান্স বৃদ্ধির সুখবর কোনোভাবেই মেনে নিতে পারবে না, সেটাই স্বাভাবিক।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ার সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণেই রেমিট্যান্সপ্রবাহ বেড়েছে। সেইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুকন্যার সফল নেতৃত্বের কল্যাণে বাংলাদেশের শক্তিশালী অর্থনৈতিক কাঠামো প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগের নিরাপদ স্থান হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মতোই প্রবাসী বাংলাদেশিরাও দেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত হচ্ছেন।

আরও পড়ুন: আনসার-ভিডিপিকে পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার নির্দেশ

‘বর্তমান সরকার অর্থপাচার রোধে কার্যকর আইন প্রণয়ন এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নজির স্থাপন করেছে। অন্যদিকে, বিএনপি- জামায়াত জোটের শাসনামলে দুর্নীতি ও অর্থ পাচারকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছিল। হাওয়া ভবন খুলে দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থপাচারের স্বর্গরাজ্য গড়ে তোলা হয়েছিল। তাদের দুর্নীতি ও অর্থপাচার সম্পর্কে এফবিআই সাক্ষ্য দিয়েছে। সিঙ্গাপুর থেকে খালেদা জিয়ার ছেলেদের পাচার করা অর্থ ফেরত আনা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে আওয়ামী লীগের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই বরং বিএনপিই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। আগুন দিয়ে শত শত নিরীহ, নিরপরাধ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ এবং উগ্র সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী অপশক্তিকে পৃষ্ঠপোষকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য বিএনপিই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশে দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসানের মধ্যদিয়ে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন গঠনের সুনির্দিষ্ট আইন প্রণীত হয়েছে, অবকাঠামো উন্নয়ন ও কারিগরি সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণসহ নির্বাচনী ব্যবস্থার সার্বিক সক্ষমতা বেড়েছে। নির্বাচন কমিশনের অধীনই গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনও অনুরূপভাবে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। এটাই শেখ হাসিনার সরকারের সংকল্প। বিএনপি নিশ্চিত পরাজয় জেনে নির্বাচনে অংশ নিতে ভয় পায়। সে কারণে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সৎসাহস রাখে না বিএনপি। তাই তারা নির্বাচন বানচাল এবং গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারাকে ব্যাহত করতেই দেশে–বিদেশে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক উল্লেখ করেন, দেশের জনগণ যেকোনো মূল্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির ধারাকে অব্যাহত রাখবে।

ঢাকা/টিএ