১১:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রোজার সময় বাজার মনিটরিং করা হবে: অর্থ উপদেষ্টা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:২২:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১০৩৪৯ বার দেখা হয়েছে

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, রোজার সময় বাজার মনিটরিং করা হবে। তখন আরও বেশি সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। আজ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বর্তমানে খাদ্য পরিস্থিতি কেমন আছে, জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এখনতো খাদ্য পরিস্থিতি খারাপ না। একটা মানুষের বাজেটে অনেক ধরনের খাদ্য থাকে। সেখানে একটার দাম কমবে আরেকটার বাড়বে। সার্বিকভাবে বা মোটাদাগে যদি দেখেন মোটামুটি সহনীয়। আমাদের পরিসংখ্যান আছে কমেছে।

তিনি বলেন, রোজার সময় যেভাবে পারি বাজার মনিটরিং করব। সেটা ডিসি সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন। আমিও তাদের (ডিসি) বলেছি স্থানীয় পর্যায়ে মনিটরিং করতে। পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে যাতে কোনো রকমের কারসাজি না হয়। দেখা যায় যে, খাদ্যের সরবরাহ থাকলেও অনেক সময় ভোক্তার কাছে যায় না। গুদামে পড়ে থাকে লুকিয়ে রাখা হয়। এগুলো যেন কোনো ক্রমেই না হয়। রোজার সময় আমরা আরও বেশি যাতে সরবরাহ হয় সেটা নিশ্চিত করব।

তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখবেন আমরা বিশেষ সেলস সেন্টার করেছি। সুতরাং সাধারণ মানুষের যেন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো অসুবিধা না হয় সেটা আমরা নিশ্চিত করব।

আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের নিচে নামলে সুদহার কমানো হবে: গভর্নর

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আজকে দীর্ঘ মিটিং হয়েছে। অনেকগুলো অ্যাজেন্ডা ছিল। তার মধ্যে চাল, সার আমদানি, সজোরে গুদাম তৈরি করা, কিছু রাস্তা, ব্রিজ ও বন্দরের রাস্তা রয়েছে। আজকে যেটা করা হয়েছে সেটা হলো অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য, আর কতোগুলো আছে ভৌত অবকাঠামো সেগুলো আমরা অনুমোদন দিয়েছি।

তিনি বলেন, আমাদের ভৌত অবকাঠামোগুলো বিরাট বিরাট মেগা প্রকল্প না। আমরা যেটা দিয়েছি সেটা অত্যন্ত দরকারি। এর মধ্যে ব্রিজ, রাস্তা রয়েছে কতগুলো। এই হলো আমাদের ক্রয় কমিটিতে।

মাতারবাড়ি প্রকল্প নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, হ্যাঁ মাতারবাড়ি একটা বড় প্রকল্প। এর বেশিরভাগ কাজ হয়ে গেছে। মাতারবাড়িতে পাওয়ার সাপ্লাই আছে। জাপানিজ কোম্পানি জাপানিজ গ্রান্ড এটা করেছে। তাদের শর্তগুলো খুবই সহনীয়। আরেকটা সুবিধা হলো এ পর্যন্ত তারা যে ঋণ দিয়েছে সেটা কয়েক বছর পর সেটা অনুদান করে দেয়। এটা খুব ভালো একটা প্রকল্প।

তিনি বলেন, সবচেয় বড় কথা হচ্ছে মাতারবাড়িতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সেখানে একটা জেটি করবে, তবে সেখানে একটা বেসরকারি জেটি আছে। এই প্রকল্পের সুবিধা হলো সেখানে পোর্টের কিছু সুযোগ সুবিধা বাড়বে এবং পাওয়ার জেনারেট হবে। বেশিরভাগ কাজ হয়ে গেছে, এখন শুধু বাকিটা করা হবে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

রোজার সময় বাজার মনিটরিং করা হবে: অর্থ উপদেষ্টা

আপডেট: ০৭:২২:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, রোজার সময় বাজার মনিটরিং করা হবে। তখন আরও বেশি সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। আজ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বর্তমানে খাদ্য পরিস্থিতি কেমন আছে, জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এখনতো খাদ্য পরিস্থিতি খারাপ না। একটা মানুষের বাজেটে অনেক ধরনের খাদ্য থাকে। সেখানে একটার দাম কমবে আরেকটার বাড়বে। সার্বিকভাবে বা মোটাদাগে যদি দেখেন মোটামুটি সহনীয়। আমাদের পরিসংখ্যান আছে কমেছে।

তিনি বলেন, রোজার সময় যেভাবে পারি বাজার মনিটরিং করব। সেটা ডিসি সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন। আমিও তাদের (ডিসি) বলেছি স্থানীয় পর্যায়ে মনিটরিং করতে। পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে যাতে কোনো রকমের কারসাজি না হয়। দেখা যায় যে, খাদ্যের সরবরাহ থাকলেও অনেক সময় ভোক্তার কাছে যায় না। গুদামে পড়ে থাকে লুকিয়ে রাখা হয়। এগুলো যেন কোনো ক্রমেই না হয়। রোজার সময় আমরা আরও বেশি যাতে সরবরাহ হয় সেটা নিশ্চিত করব।

তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখবেন আমরা বিশেষ সেলস সেন্টার করেছি। সুতরাং সাধারণ মানুষের যেন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো অসুবিধা না হয় সেটা আমরা নিশ্চিত করব।

আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের নিচে নামলে সুদহার কমানো হবে: গভর্নর

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আজকে দীর্ঘ মিটিং হয়েছে। অনেকগুলো অ্যাজেন্ডা ছিল। তার মধ্যে চাল, সার আমদানি, সজোরে গুদাম তৈরি করা, কিছু রাস্তা, ব্রিজ ও বন্দরের রাস্তা রয়েছে। আজকে যেটা করা হয়েছে সেটা হলো অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য, আর কতোগুলো আছে ভৌত অবকাঠামো সেগুলো আমরা অনুমোদন দিয়েছি।

তিনি বলেন, আমাদের ভৌত অবকাঠামোগুলো বিরাট বিরাট মেগা প্রকল্প না। আমরা যেটা দিয়েছি সেটা অত্যন্ত দরকারি। এর মধ্যে ব্রিজ, রাস্তা রয়েছে কতগুলো। এই হলো আমাদের ক্রয় কমিটিতে।

মাতারবাড়ি প্রকল্প নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, হ্যাঁ মাতারবাড়ি একটা বড় প্রকল্প। এর বেশিরভাগ কাজ হয়ে গেছে। মাতারবাড়িতে পাওয়ার সাপ্লাই আছে। জাপানিজ কোম্পানি জাপানিজ গ্রান্ড এটা করেছে। তাদের শর্তগুলো খুবই সহনীয়। আরেকটা সুবিধা হলো এ পর্যন্ত তারা যে ঋণ দিয়েছে সেটা কয়েক বছর পর সেটা অনুদান করে দেয়। এটা খুব ভালো একটা প্রকল্প।

তিনি বলেন, সবচেয় বড় কথা হচ্ছে মাতারবাড়িতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সেখানে একটা জেটি করবে, তবে সেখানে একটা বেসরকারি জেটি আছে। এই প্রকল্পের সুবিধা হলো সেখানে পোর্টের কিছু সুযোগ সুবিধা বাড়বে এবং পাওয়ার জেনারেট হবে। বেশিরভাগ কাজ হয়ে গেছে, এখন শুধু বাকিটা করা হবে।

ঢাকা/এসএইচ