০২:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

লবণ খেয়ে নিজের অজান্তেই ক্ষতি করছেন না তো হার্ট ও কিডনির

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:০২:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩
  • / ১০৪৬৮ বার দেখা হয়েছে

হার্ট ও কিডনি শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এ দুটি বিষয়ে প্রায় সবাই বেশ সচেতন। কিন্তু নিজের অজান্তেই অধিকাংশ মানুষ গুরুত্বপূর্ণ এই উপাদান দুটির ক্ষতি করে থাকে। আর সেটি খাদ্য তালিকার মাধ্যমে। কেননা, ঝাল থেকে ঝোল তরকারি কিংবা মিষ্টি জাতীয় খাবারেও স্বাদ বৃদ্ধির জন্য লবণ ব্যবহার করা হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউভ

শরীরে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে সোডিয়াম জরুরি। প্রতিদিনের খাবার থেকে শরীরে তা প্রবেশ করে। তবে এরও নির্দিষ্ট পরিমাণ রয়েছে। ধারাবাহিকভাবে যদি অতিরিক্ত লবণ খাওয়া হয়, তাহলে শরীরে উপকারের থেকে বরং ক্ষতিকর প্রভাবই বেশি পড়ে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের হার্ট অর্গানাইজেশন এক প্রতিবেদনে বলছে, ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটির মেডিসিন অধ্যাপক ড. ফার্নান্দো এলিজোভিচ জানিয়েছেন, সংবহনতন্ত্রের সঙ্গে লবণের প্রভাব খুবই সাধারণ, যা প্লাম্বিং সমস্যা তৈরি করে।

তিনি বলেন, হার্ট হচ্ছে পাম্প এবং রক্তনালী হচ্ছে পাইপ। রক্তনালী যদি সংকুচিত হয় তাহলে রক্ত চলাচলে সমস্যা হয়। আর তখনই রক্তচাপ বেড়ে যায়। লবণ উভয় কাজই করে। শরীরে যখন অতিরিক্ত লবণ থাকে, তখন হার্টে একটি নির্দিষ্ট সময়ে আরও রক্ত পাম্প করে, ফলে রক্তচাপ বাড়ে। আবার সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লবণ নিজেই সংকীর্ণ হয়, যা উচ্চ রক্তচাপের সাধাণ বৈশিষ্ট্য।

অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যে রক্তনালীর প্রসারিত হওয়ার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। আর ক্রমাগত উচ্চ রক্তচাপের কারণে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও অন্যান্য ভয়ংকর রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

আপনি যদি অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেন, তাহলে রক্তচাপ কয়েক ঘণ্টা বা মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে কমে যায়।

আরও পড়ুন: যে ভুলে জামা কাচার পরেও দুর্গন্ধ বেরোয়

অন্যান্য সমস্যা:

হার্ট ছাড়া শরীরের অন্যান্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় অতিরিক্ত লবণ খাওয়া। অতিরিক্ত লবণ কিডনিকে চাপ প্রয়োগ করে। ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটির মেডিসিন অধ্যাপক ড. চেরিল লাফার বলেন, উচ্চ রক্তচাপে কিডনি সঠিকভাবে লবণ বের করতে পারে না। বরং তারা এটি ধরে রাখে। এতে গোড়ালি ফোলা থেকে হার্ট ও ফুসফুসের চারপাশে তরল জমা হওয়ার মতো সমস্যা হয়ে থাকে।

মস্তিষ্ক:

লবণ রক্তনালীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং রক্তচাপ বাড়িয়ে মস্তিষ্কের জন্য হুমকির কারণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যা স্ট্রোকের জন্য ঝুঁকির কারণ। যা আপনার মস্তিষ্কের স্টেমের আচরণেও পরিবর্তন আনে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় প্রভাব:

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে লবণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। এতে প্রদাহ হতে পারে। লবণ অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকেও প্রভাবিত করতে পারে।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

লবণ খেয়ে নিজের অজান্তেই ক্ষতি করছেন না তো হার্ট ও কিডনির

আপডেট: ০৩:০২:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩

হার্ট ও কিডনি শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এ দুটি বিষয়ে প্রায় সবাই বেশ সচেতন। কিন্তু নিজের অজান্তেই অধিকাংশ মানুষ গুরুত্বপূর্ণ এই উপাদান দুটির ক্ষতি করে থাকে। আর সেটি খাদ্য তালিকার মাধ্যমে। কেননা, ঝাল থেকে ঝোল তরকারি কিংবা মিষ্টি জাতীয় খাবারেও স্বাদ বৃদ্ধির জন্য লবণ ব্যবহার করা হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউভ

শরীরে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে সোডিয়াম জরুরি। প্রতিদিনের খাবার থেকে শরীরে তা প্রবেশ করে। তবে এরও নির্দিষ্ট পরিমাণ রয়েছে। ধারাবাহিকভাবে যদি অতিরিক্ত লবণ খাওয়া হয়, তাহলে শরীরে উপকারের থেকে বরং ক্ষতিকর প্রভাবই বেশি পড়ে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের হার্ট অর্গানাইজেশন এক প্রতিবেদনে বলছে, ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটির মেডিসিন অধ্যাপক ড. ফার্নান্দো এলিজোভিচ জানিয়েছেন, সংবহনতন্ত্রের সঙ্গে লবণের প্রভাব খুবই সাধারণ, যা প্লাম্বিং সমস্যা তৈরি করে।

তিনি বলেন, হার্ট হচ্ছে পাম্প এবং রক্তনালী হচ্ছে পাইপ। রক্তনালী যদি সংকুচিত হয় তাহলে রক্ত চলাচলে সমস্যা হয়। আর তখনই রক্তচাপ বেড়ে যায়। লবণ উভয় কাজই করে। শরীরে যখন অতিরিক্ত লবণ থাকে, তখন হার্টে একটি নির্দিষ্ট সময়ে আরও রক্ত পাম্প করে, ফলে রক্তচাপ বাড়ে। আবার সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লবণ নিজেই সংকীর্ণ হয়, যা উচ্চ রক্তচাপের সাধাণ বৈশিষ্ট্য।

অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যে রক্তনালীর প্রসারিত হওয়ার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। আর ক্রমাগত উচ্চ রক্তচাপের কারণে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও অন্যান্য ভয়ংকর রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

আপনি যদি অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেন, তাহলে রক্তচাপ কয়েক ঘণ্টা বা মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে কমে যায়।

আরও পড়ুন: যে ভুলে জামা কাচার পরেও দুর্গন্ধ বেরোয়

অন্যান্য সমস্যা:

হার্ট ছাড়া শরীরের অন্যান্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় অতিরিক্ত লবণ খাওয়া। অতিরিক্ত লবণ কিডনিকে চাপ প্রয়োগ করে। ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটির মেডিসিন অধ্যাপক ড. চেরিল লাফার বলেন, উচ্চ রক্তচাপে কিডনি সঠিকভাবে লবণ বের করতে পারে না। বরং তারা এটি ধরে রাখে। এতে গোড়ালি ফোলা থেকে হার্ট ও ফুসফুসের চারপাশে তরল জমা হওয়ার মতো সমস্যা হয়ে থাকে।

মস্তিষ্ক:

লবণ রক্তনালীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং রক্তচাপ বাড়িয়ে মস্তিষ্কের জন্য হুমকির কারণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যা স্ট্রোকের জন্য ঝুঁকির কারণ। যা আপনার মস্তিষ্কের স্টেমের আচরণেও পরিবর্তন আনে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় প্রভাব:

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে লবণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। এতে প্রদাহ হতে পারে। লবণ অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকেও প্রভাবিত করতে পারে।

ঢাকা/এসএম