০৬:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

লেনদেনে চার খাতের দৌরাত্ম্য

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:১৫:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ এপ্রিল ২০২৩
  • / ১০৪৬১ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস আজ রোববার (২ এপ্রিল) প্রধান মূল্য সূচকের উত্থানে লেনদেনের সমাপ্তি হয়েছে। মূলত চার খাতের দৌরাত্ম্যে আজ ডিএসইতে ৫৩১ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। মোট লেনদেনে চার খাতের অবদান ৪৯.৯৩ শতাংশ। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের নামমাত্র উত্থান হলেও লেনদেন কমেছে। ডিএসই, সিএসই ও আমার স্টক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, দীর্ঘ সময় ধরে প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। নিষ্ক্রিয় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় করতে নানাভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এতে গতকাল ও আজ বাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ সামান্য বেড়েছে, যার প্রভাব দেখা যাচ্ছে লেনদেনে।

ডিএসইতে ৩২৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৩টির বা ২৫.৫ শতাংশ, কমেছে ৪৬টির বা ১৪.২ শতাংশ এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯৬টির বা ৬০.৩ বা শতাংশ কোম্পানির।

আজ ডিএসইতে ৫৩১ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ১৩৫ কোটি টাকা কম লেনদেন হয়েছে। গত কার্যদিবসে ডিএসইতে ৬৬৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। যা ডিএসইর ২২টি খাতের মোট লেনদেন। এর মধ্যে চার খাতের অবদানই ৪৯.৯৩ শতাংশ। বাকি ১৮ খাতের অবদান ৫০.০৭ শতাংশ। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে টেলিকোমনিকেশন, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, সিমেন্ট, আর্থিক খাত, ব্যাংক ও সিমেন্ট।

লেনদেনের শীর্ষে থাকা খাতগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে আইটি খাতে। এদিন ডিএসইর মোট লেনদেনের ২০.৭৪ শতাংশ বা ১০৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে এ খাতে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে জেনেক্স ইনফোসিসের। আজ কোম্পানিটিতে ৩৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটির ক্লোজিং দর ছিল ১০০.২ টাকা। গত কার্যদিবসে কোম্পানিটির ক্লোজিং দর ছিল ৯৭.১০ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৩.১ টাকা বা ৩.১৯ শতাংশ।

আরও পড়ুন: টার্নওভারের শীর্ষে যেসব কোম্পানি

খাতভিত্তিক লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে থাকা খাদ্য খাতের অবদান ১১.২৪ শতাংশ। খাতটিতে মোট ৫৬ কোটি ৩০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। এ খাতে থাকা আরডি ফুডের লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৩১ লাখ। যা এই খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন। আজ কোম্পানিটির ক্লোজিং দর ছিল ৪৬ টাকা। গত কার্যদিবসে কোম্পানিটির ক্লোজিং দর ছিল ৪৪.৬ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানিটির দর বেড়েছে ১.৪ টাকা বা ৩.১৪ শতাংশ।

খাতভিত্তিক লেনদেনের তৃতীয় স্থানে রয়েছে ঔষধ ও রসায়ন খাত। এদিন ডিএসইর মোট লেনদেনের ৯.৬৫ শতাংশ বা ৪৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে এ খাতে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ফার্মা। আজ কোম্পানিটিতে ২৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটির ক্লোজিং দর ছিল ৮১.৬ টাকা। গত কার্যদিবসে কোম্পানিটির ক্লোজিং দর ছিল ৭৯.৬ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানিটির দর বেড়েছে ২ টাকা বা ২.৫১ শতাংশ।

খাতভিত্তিক লেনদেনের চতুর্থ স্থানে বিবিধ খাতের অবদান ৮.৩০ শতাংশ বা ৪১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনে। আজ কোম্পানিটিতে ৩৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটির ক্লোজিং দর ছিল ১৩০.৪ টাকা। গত কার্যদিবসে কোম্পানিটির ক্লোজিং দর ছিল ১২৭.৪ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৩ টাকা বা ২.৩৫ শতাংশ।

আরও পড়ুন: পাঁচ কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ২১৭ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৫২ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ২ হাজার ২০৯ পয়েন্টে নিয়ে আগের অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে।

অপরদিকে, সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৩০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩১৮ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে ৭ কোটি ৬ লাখ টাকা শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা গত কার্যদিবস থেকে ৮৯ কোটি ০৫ লাখ টাকা বেশি। গত কার্যদিবসে সিএসইতে ৯৬ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।

সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া হওয়া ১৩৭টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫১টি, কমেছে ১৯টি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৬৬টির।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

লেনদেনে চার খাতের দৌরাত্ম্য

আপডেট: ০৩:১৫:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ এপ্রিল ২০২৩

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস আজ রোববার (২ এপ্রিল) প্রধান মূল্য সূচকের উত্থানে লেনদেনের সমাপ্তি হয়েছে। মূলত চার খাতের দৌরাত্ম্যে আজ ডিএসইতে ৫৩১ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। মোট লেনদেনে চার খাতের অবদান ৪৯.৯৩ শতাংশ। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের নামমাত্র উত্থান হলেও লেনদেন কমেছে। ডিএসই, সিএসই ও আমার স্টক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, দীর্ঘ সময় ধরে প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। নিষ্ক্রিয় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় করতে নানাভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এতে গতকাল ও আজ বাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ সামান্য বেড়েছে, যার প্রভাব দেখা যাচ্ছে লেনদেনে।

ডিএসইতে ৩২৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৩টির বা ২৫.৫ শতাংশ, কমেছে ৪৬টির বা ১৪.২ শতাংশ এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯৬টির বা ৬০.৩ বা শতাংশ কোম্পানির।

আজ ডিএসইতে ৫৩১ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ১৩৫ কোটি টাকা কম লেনদেন হয়েছে। গত কার্যদিবসে ডিএসইতে ৬৬৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। যা ডিএসইর ২২টি খাতের মোট লেনদেন। এর মধ্যে চার খাতের অবদানই ৪৯.৯৩ শতাংশ। বাকি ১৮ খাতের অবদান ৫০.০৭ শতাংশ। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে টেলিকোমনিকেশন, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, সিমেন্ট, আর্থিক খাত, ব্যাংক ও সিমেন্ট।

লেনদেনের শীর্ষে থাকা খাতগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে আইটি খাতে। এদিন ডিএসইর মোট লেনদেনের ২০.৭৪ শতাংশ বা ১০৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে এ খাতে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে জেনেক্স ইনফোসিসের। আজ কোম্পানিটিতে ৩৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটির ক্লোজিং দর ছিল ১০০.২ টাকা। গত কার্যদিবসে কোম্পানিটির ক্লোজিং দর ছিল ৯৭.১০ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৩.১ টাকা বা ৩.১৯ শতাংশ।

আরও পড়ুন: টার্নওভারের শীর্ষে যেসব কোম্পানি

খাতভিত্তিক লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে থাকা খাদ্য খাতের অবদান ১১.২৪ শতাংশ। খাতটিতে মোট ৫৬ কোটি ৩০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। এ খাতে থাকা আরডি ফুডের লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৩১ লাখ। যা এই খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন। আজ কোম্পানিটির ক্লোজিং দর ছিল ৪৬ টাকা। গত কার্যদিবসে কোম্পানিটির ক্লোজিং দর ছিল ৪৪.৬ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানিটির দর বেড়েছে ১.৪ টাকা বা ৩.১৪ শতাংশ।

খাতভিত্তিক লেনদেনের তৃতীয় স্থানে রয়েছে ঔষধ ও রসায়ন খাত। এদিন ডিএসইর মোট লেনদেনের ৯.৬৫ শতাংশ বা ৪৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে এ খাতে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ফার্মা। আজ কোম্পানিটিতে ২৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটির ক্লোজিং দর ছিল ৮১.৬ টাকা। গত কার্যদিবসে কোম্পানিটির ক্লোজিং দর ছিল ৭৯.৬ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানিটির দর বেড়েছে ২ টাকা বা ২.৫১ শতাংশ।

খাতভিত্তিক লেনদেনের চতুর্থ স্থানে বিবিধ খাতের অবদান ৮.৩০ শতাংশ বা ৪১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনে। আজ কোম্পানিটিতে ৩৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটির ক্লোজিং দর ছিল ১৩০.৪ টাকা। গত কার্যদিবসে কোম্পানিটির ক্লোজিং দর ছিল ১২৭.৪ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৩ টাকা বা ২.৩৫ শতাংশ।

আরও পড়ুন: পাঁচ কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ২১৭ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৫২ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ২ হাজার ২০৯ পয়েন্টে নিয়ে আগের অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে।

অপরদিকে, সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৩০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩১৮ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে ৭ কোটি ৬ লাখ টাকা শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা গত কার্যদিবস থেকে ৮৯ কোটি ০৫ লাখ টাকা বেশি। গত কার্যদিবসে সিএসইতে ৯৬ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।

সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া হওয়া ১৩৭টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫১টি, কমেছে ১৯টি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৬৬টির।

ঢাকা/এসএ