শহীদ পরিবার-আহতদের জন্য বাজেটে ৪০৫ কোটি টাকা বরাদ্দ

- আপডেট: ০৫:৪১:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
- / ১০৩০২ বার দেখা হয়েছে
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহতদের পুনর্বাসন ও কল্যাণে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ৪০৫ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আজ সোমবার (০২ জুন) বিকেলে বাজেট প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস ও চেতনাকে রাষ্ট্রীয় জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে নানা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শহীদ পরিবার ও আহতদের ভাতা, চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের বিষয়টি এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
সরকার ইতোমধ্যে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠা করেছে এবং গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে রূপান্তরের কার্যক্রম চলছে। শিগগিরই শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য ভাতা প্রদানে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। একইসঙ্গে, তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রমও গ্রহণ করা হচ্ছে।
এদিকে, দেশের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীকে শক্তিশালী করতে আগামী অর্থবছরের বাজেটে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে পেনশন ব্যতীত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বরাদ্দ ৯১ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ বরাদ্দ বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
অর্থ উপদেষ্টার ভাষায়, সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় দরিদ্র, প্রান্তিক ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য কমানোর বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শহীদ পরিবার ও আহতদের স্বীকৃতি ও সহায়তার পাশাপাশি সার্বিক সামাজিক নিরাপত্তা জোরদার করার এই উদ্যোগটি সরকারের মানবিক দায় ও রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবেই বিবেচিত হবে।
প্রসঙ্গত, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট দেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এবারের বাজেটটি বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে এসেছে, যা পূর্ববর্তী বছরগুলোর বাজেটের তুলনায় ভিন্ন।
প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এটি চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের (৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা) তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার হ্রাস পাওয়ার ঘটনা।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক ঋণ ছাড়ে ধীরগতির কারণ জানাল সরকার
এবারের বাজেট উপস্থাপনে সংসদ না থাকায় কোনো সংসদীয় আলোচনা বা বিতর্ক হবে না। তবে ঘোষণার পর প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর জনমত নেওয়া হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় দেশের নাগরিকদের কাছ থেকে মতামত চাইবে, আর সেই মতামতের ভিত্তিতে বাজেটের চূড়ান্ত রূপ দেওয়া হবে। চূড়ান্তকরণের পর যেকোনো একদিন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাজেট অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। বৈঠকে অনুমোদন পাওয়ার পর রাষ্ট্রপতি একটি অধ্যাদেশ জারি করে বাজেটটি কার্যকর করবেন, যা আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। বৈঠকে অনুমোদন পাওয়ার পর রাষ্ট্রপতি একটি অধ্যাদেশ জারি করে বাজেটটি কার্যকর করবেন, যা আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
ঢাকা/টিএ