০৭:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫

শিথিল হচ্ছে শেয়ারবাজারে এসএমই কোম্পানির তালিকাভুক্তির শর্ত!

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:২৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মে ২০২১
  • / ১০৫৬১ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে এসএমই উদ্যোক্তাদের অর্থ সংগ্রহের সুযোগ দিয়ে আইন করা হলেও তাতে প্রত্যাশিত সাড়া মিলছে না। এ অবস্থায় পরিশোধিত মূলধনের সীমা বাড়ানোর পাশাপাশি কয়েকটি শর্ত শিথিল করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সম্ভাবনাময় এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলো পুঁজিবাজারে যুক্ত হলে অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

ব্যবসা সম্প্রসারণে প্রয়োজন বাড়তি বিনিয়োগ। এক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের উদ্যোক্তাদের অনেকেই আটকে যান নানা রকম শর্তের বেড়াজালে। এমন বাস্তবতায় উন্নত বিশ্বের মতো দেশের এসএমই প্রতিষ্ঠানকে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের সুযোগ দিতে ‘‘স্বল্পমূলধনী কোম্পানি আইন-২০১৮’’ প্রণয়ন করে বিএসইসি, যা উদ্যোক্তাদের আশাবাদী করলেও তাতে রয়েছে প্রক্রিয়াগত জটিলতা ।

ভাইজার-এক্স লিমিটেডের সিইও ফয়সাল মোস্তফা বলেন, ব্যাংক লোনের ক্ষেত্রে যেটা হয়, সেটা হচ্ছে কিছু দিন পরই আমাকে একটা রিটার্ন দেয়া শুরু করতে হয়। কিন্তু পুঁজিবাজারের ক্ষেত্রে আমি এক বছর পর লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারব।

চালডাল ডটকমের সিইও জিয়া আশরাফ বলেন, লাভজনক প্রতিষ্ঠান না হলে এত দিন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করা যেত না। এ ব্যাপারে আমাদের সংশোধনের একটা দাবি আছে। আমাদের মতো ডিজিটাল কোম্পানিগুলোর ভ্যালুয়েশন সবসময় পরিবর্তন হচ্ছে। দিন দিন মূল্য বাড়ছে।

এসএমই প্রতিষ্ঠানকে পুঁজিবাজার থেকে সর্বনিম্ন ৫ কোটি থেকে সর্বোচ্চ ৩০ কোটি টাকা পর্যন্ত পরিশোধিত মূলধন সংগ্রহের সুযোগ রাখা হয়েছে এ আইনে। বুক বিল্ডিং ও ফিক্সড প্রাইস দুই পদ্ধতিতেই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ইস্যুয়ার কোম্পানি ও কেবল এক কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ আছে এমন ব্যক্তি কিনতে পারবেন এসব শেয়ার।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য এসএমই বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এসএমই রুল-রেগুলেশন তৈরি করা হয়েছে। এটার মাধ্যমে আমরা ২০১৮ সাল থেকে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু বাস্তবিক কিছু কারণে তখন আবেদনগুলো অনুমোদন করতে পারিনি। এসএমই খাতকে সহযোগিতা করতে যত ধরনে যা কিছু করতে হয়, তা বিএসইসির করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

এদিকে, স্বল্পমূলধনী কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তিতে উৎসাহিত করার উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, প্রচেষ্টা আছে, কিন্তু অর্থের অভাবে একটা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হতে পারছে না। একটা প্রতিষ্ঠান এভাবে চলতে না পারাটা দেশের জন্য ক্ষতিকর।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ড. আবু আহমেদ বলেন, আমি মনে করি এসএমই খাতকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা যদি সফল হয়, তাহলে দেশের মিডিয়াম ও স্মল ক্যাপিটালের অনেক কোম্পানি সামনে এগিয়ে আসবে।

প্রসঙ্গত, গত মাসে দেশের প্রথম এসএমই প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পায় নিয়ালকো অ্যালয়েস।

ঢাকা/জেএইচ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

শিথিল হচ্ছে শেয়ারবাজারে এসএমই কোম্পানির তালিকাভুক্তির শর্ত!

আপডেট: ১২:২৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মে ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে এসএমই উদ্যোক্তাদের অর্থ সংগ্রহের সুযোগ দিয়ে আইন করা হলেও তাতে প্রত্যাশিত সাড়া মিলছে না। এ অবস্থায় পরিশোধিত মূলধনের সীমা বাড়ানোর পাশাপাশি কয়েকটি শর্ত শিথিল করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সম্ভাবনাময় এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলো পুঁজিবাজারে যুক্ত হলে অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

ব্যবসা সম্প্রসারণে প্রয়োজন বাড়তি বিনিয়োগ। এক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের উদ্যোক্তাদের অনেকেই আটকে যান নানা রকম শর্তের বেড়াজালে। এমন বাস্তবতায় উন্নত বিশ্বের মতো দেশের এসএমই প্রতিষ্ঠানকে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের সুযোগ দিতে ‘‘স্বল্পমূলধনী কোম্পানি আইন-২০১৮’’ প্রণয়ন করে বিএসইসি, যা উদ্যোক্তাদের আশাবাদী করলেও তাতে রয়েছে প্রক্রিয়াগত জটিলতা ।

ভাইজার-এক্স লিমিটেডের সিইও ফয়সাল মোস্তফা বলেন, ব্যাংক লোনের ক্ষেত্রে যেটা হয়, সেটা হচ্ছে কিছু দিন পরই আমাকে একটা রিটার্ন দেয়া শুরু করতে হয়। কিন্তু পুঁজিবাজারের ক্ষেত্রে আমি এক বছর পর লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারব।

চালডাল ডটকমের সিইও জিয়া আশরাফ বলেন, লাভজনক প্রতিষ্ঠান না হলে এত দিন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করা যেত না। এ ব্যাপারে আমাদের সংশোধনের একটা দাবি আছে। আমাদের মতো ডিজিটাল কোম্পানিগুলোর ভ্যালুয়েশন সবসময় পরিবর্তন হচ্ছে। দিন দিন মূল্য বাড়ছে।

এসএমই প্রতিষ্ঠানকে পুঁজিবাজার থেকে সর্বনিম্ন ৫ কোটি থেকে সর্বোচ্চ ৩০ কোটি টাকা পর্যন্ত পরিশোধিত মূলধন সংগ্রহের সুযোগ রাখা হয়েছে এ আইনে। বুক বিল্ডিং ও ফিক্সড প্রাইস দুই পদ্ধতিতেই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ইস্যুয়ার কোম্পানি ও কেবল এক কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ আছে এমন ব্যক্তি কিনতে পারবেন এসব শেয়ার।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য এসএমই বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এসএমই রুল-রেগুলেশন তৈরি করা হয়েছে। এটার মাধ্যমে আমরা ২০১৮ সাল থেকে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু বাস্তবিক কিছু কারণে তখন আবেদনগুলো অনুমোদন করতে পারিনি। এসএমই খাতকে সহযোগিতা করতে যত ধরনে যা কিছু করতে হয়, তা বিএসইসির করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

এদিকে, স্বল্পমূলধনী কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তিতে উৎসাহিত করার উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, প্রচেষ্টা আছে, কিন্তু অর্থের অভাবে একটা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হতে পারছে না। একটা প্রতিষ্ঠান এভাবে চলতে না পারাটা দেশের জন্য ক্ষতিকর।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ড. আবু আহমেদ বলেন, আমি মনে করি এসএমই খাতকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা যদি সফল হয়, তাহলে দেশের মিডিয়াম ও স্মল ক্যাপিটালের অনেক কোম্পানি সামনে এগিয়ে আসবে।

প্রসঙ্গত, গত মাসে দেশের প্রথম এসএমই প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পায় নিয়ালকো অ্যালয়েস।

ঢাকা/জেএইচ