১২:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

শুভ জন্মদিন রানী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:১৫:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ মার্চ ২০২২
  • / ১০২৯৫ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: নামেই তিনি রানী। পেশাগত কাজেও তাকে এই উপাধি দেওয়া যায়। সেই নব্বই দশক থেকে শুরু করে ২০০০ হাজার পরবর্তী সময়; কী দারুণ জনপ্রিয়তা আর সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছেন বলিউডের সিনেমায়। এক নামে সবার কাছেই প্রিয় তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

রানী মুখার্জি। আজ ২১ মার্চ এই জনপ্রিয় অভিনেত্রীর জন্মদিন। ১৯৭৮ সালের এই দিনে তিনি মুম্বাইতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বাবা রাম মুখার্জি ছিলেন একজন চলচ্চিত্র পরিচালক। রানীর মা কৃষ্ণা মুখার্জি ছিলেন একজন প্লেব্যাক গায়িকা। তার বড় ভাই রাজা মুখার্জি একজন প্রযোজক ও পরিচালক।

জন্ম ও বেড়ে ওঠা সিনেমা পরিবারে। সুতরাং রানী মুখার্জির সিনেমায় আসাটা একেবারেই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু সিনেমা নিয়ে সেরকম আগ্রহ ছিল না তার। তিনি বলেতেন, ‘যেহেতু বাড়িতে সিনেমার এত মানুষ, আমি বরং অন্য কিছু হই’।

তবে সময়ের আবর্তনে রানী হয়ে গেলেন অভিনেত্রী। আর এই পরিচয়েই তিনি ছাড়িয়ে গেলেন পরিবারের অন্য সবাইকে।

১৮ বছর বয়সে রানী মুখার্জি তার বাবা বাবার পরিচালিত বাংলা ভাষার ‘বিয়ের ফুল’ (১৯৯৬) চলচ্চিত্রে সহ-চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে সিনেমায় আসেন। এরপর তার মায়ের অনুরোধে ‘রাজা কি আয়েগি বারাত’ (১৯৯৭) সামাজিক নাট্য চলচ্চিত্রে মূখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন।

রানীর ব্যস্ততা শুরু হয় ১৯৯৮ সালে। আমির খানের সঙ্গে ‘গোলাম’ সিনেমায় অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পান। সিনেমাটি বক্স অফিসেও সফল হয়। একই বছর শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ সিনেমায় অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়ে যান। পেয়ে যান সহ-অভিনেত্রী হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার।

এরপর থেকে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এখনো দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে যাচ্ছেন রানী মুখার্জি। তার অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে ‘হার দিল জো পেয়ার কারেগা’, ‘কাহি পেয়ার না হো যায়ে’, ‘চোরি চোরি ছুপ ছুপকে’, ‘নায়ক: দ্য রিয়েল হিরো’, ‘কাভি খুশি কাভি গাম’, ‘পেয়ার দিওয়ানা হোতা হ্যায়’, ‘মুঝসে দোস্তি কারোগি’, ‘সাথিয়া’, ‘চালো ইশক লড়াই’, ‘চালতে চালতে’, ‘চোরি চোরি’, ‘কাল হো না হো’, ‘হাম তুম’, ‘ভির জারা’, ‘ব্ল্যাক’, ‘বান্টি অউর বাবলি’, ‘কাভি আলভিদা না কেহনা’, ‘সাওয়ারিয়া’, ‘তালাশ’, ‘বোম্বে টকিস’, ‘মারদানি’, হিচকি’ ও ‘মারদানি টু’ অন্যতম।

রানী মুখার্জি বিখ্যাত পরিচালক প্রযোজক যশ চোপড়ার বড় ছেলে পরিচালক ও প্রযোজক আদিত্য চোপড়াকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে এক সন্তান রয়েছে।

কেরিয়ারে রানী মুখার্জি বহু পুরস্কার-সম্মাননা পেয়েছেন। এর মধ্যে সাতবার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড, তিনবার আইফা অ্যাওয়ার্ড, সাতবার স্ক্রিণ অ্যাওয়ার্ড, চারবার জি সিনে অ্যাওয়ার্ড অন্যতম।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

শুভ জন্মদিন রানী

আপডেট: ০৪:১৫:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ মার্চ ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: নামেই তিনি রানী। পেশাগত কাজেও তাকে এই উপাধি দেওয়া যায়। সেই নব্বই দশক থেকে শুরু করে ২০০০ হাজার পরবর্তী সময়; কী দারুণ জনপ্রিয়তা আর সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছেন বলিউডের সিনেমায়। এক নামে সবার কাছেই প্রিয় তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

রানী মুখার্জি। আজ ২১ মার্চ এই জনপ্রিয় অভিনেত্রীর জন্মদিন। ১৯৭৮ সালের এই দিনে তিনি মুম্বাইতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বাবা রাম মুখার্জি ছিলেন একজন চলচ্চিত্র পরিচালক। রানীর মা কৃষ্ণা মুখার্জি ছিলেন একজন প্লেব্যাক গায়িকা। তার বড় ভাই রাজা মুখার্জি একজন প্রযোজক ও পরিচালক।

জন্ম ও বেড়ে ওঠা সিনেমা পরিবারে। সুতরাং রানী মুখার্জির সিনেমায় আসাটা একেবারেই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু সিনেমা নিয়ে সেরকম আগ্রহ ছিল না তার। তিনি বলেতেন, ‘যেহেতু বাড়িতে সিনেমার এত মানুষ, আমি বরং অন্য কিছু হই’।

তবে সময়ের আবর্তনে রানী হয়ে গেলেন অভিনেত্রী। আর এই পরিচয়েই তিনি ছাড়িয়ে গেলেন পরিবারের অন্য সবাইকে।

১৮ বছর বয়সে রানী মুখার্জি তার বাবা বাবার পরিচালিত বাংলা ভাষার ‘বিয়ের ফুল’ (১৯৯৬) চলচ্চিত্রে সহ-চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে সিনেমায় আসেন। এরপর তার মায়ের অনুরোধে ‘রাজা কি আয়েগি বারাত’ (১৯৯৭) সামাজিক নাট্য চলচ্চিত্রে মূখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন।

রানীর ব্যস্ততা শুরু হয় ১৯৯৮ সালে। আমির খানের সঙ্গে ‘গোলাম’ সিনেমায় অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পান। সিনেমাটি বক্স অফিসেও সফল হয়। একই বছর শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ সিনেমায় অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়ে যান। পেয়ে যান সহ-অভিনেত্রী হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার।

এরপর থেকে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এখনো দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে যাচ্ছেন রানী মুখার্জি। তার অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে ‘হার দিল জো পেয়ার কারেগা’, ‘কাহি পেয়ার না হো যায়ে’, ‘চোরি চোরি ছুপ ছুপকে’, ‘নায়ক: দ্য রিয়েল হিরো’, ‘কাভি খুশি কাভি গাম’, ‘পেয়ার দিওয়ানা হোতা হ্যায়’, ‘মুঝসে দোস্তি কারোগি’, ‘সাথিয়া’, ‘চালো ইশক লড়াই’, ‘চালতে চালতে’, ‘চোরি চোরি’, ‘কাল হো না হো’, ‘হাম তুম’, ‘ভির জারা’, ‘ব্ল্যাক’, ‘বান্টি অউর বাবলি’, ‘কাভি আলভিদা না কেহনা’, ‘সাওয়ারিয়া’, ‘তালাশ’, ‘বোম্বে টকিস’, ‘মারদানি’, হিচকি’ ও ‘মারদানি টু’ অন্যতম।

রানী মুখার্জি বিখ্যাত পরিচালক প্রযোজক যশ চোপড়ার বড় ছেলে পরিচালক ও প্রযোজক আদিত্য চোপড়াকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে এক সন্তান রয়েছে।

কেরিয়ারে রানী মুখার্জি বহু পুরস্কার-সম্মাননা পেয়েছেন। এর মধ্যে সাতবার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড, তিনবার আইফা অ্যাওয়ার্ড, সাতবার স্ক্রিণ অ্যাওয়ার্ড, চারবার জি সিনে অ্যাওয়ার্ড অন্যতম।

ঢাকা/টিএ