০৫:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শুল্ক ও করনীতি সংস্কারের দাবি নোয়াবের

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৪৪:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১০৪১০ বার দেখা হয়েছে

বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল মাধ্যমের বহিঃপ্রকাশ ও অন্য মাধ্যমের অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি সংবাদপত্র শিল্পকে বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি করেছে। এ বাস্তবতায় সংবাদপত্র শিল্প রক্ষায় শুল্ক ও করনীতিতে সংস্কারের দাবি জানিয়েছে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।

আজ রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় সংগঠনটির সভাপতি এ কে আজাদ এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউ

তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির বর্তমান অবস্থায় বিশেষত ডলারের ক্রমবর্ধমান বিনিময় হার, এ শিল্পকে নতজানু করে ফেলেছে। বিগত কয়েক বছরে সংবাদপত্র শিল্প বিকাশে সরকার আমাদের কোনো প্রস্তাবনা আমলে নেয়নি। এ বছরের বাজেটে আমাদের প্রস্তাবগুলো বিবেচনায় নেওয়া হোক।

এ কে আজাদ বলেন, সংবাদপত্র সেবা শিল্প হিসেবে সরকার কর্তৃক ঘোষিত। সাংবাদিক বাদেও মুদ্রণ, বিপণন, বিতরণ ও বিজ্ঞাপন ইত্যাদিসহ অগণিত মানুষ এ শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। এর অব্যাহত অগ্রগতি ও পরিচালনার জন্য শুল্ক ও কর নীতি প্রয়োগের বিপুল সংস্কার তথা সহায়ক ভূমিকা প্রয়োজন।

প্রস্তাবে তিনি নিউজপ্রিন্টের আমদানি শুল্ক ২ শতাংশ করা (বর্তমানে প্রযোজ্য ৫ শতাংশ), ভ্যাট ১৫ শতাংশের স্থলে ৫ শতাংশ, অগ্রিম আয়কর (এআইটি) ৫ শতাংশ ও অগ্রিম কর (এটি) ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ন্যূনতম ১ শতাংশ করা এবং সংবাদপত্র শিল্পকে সেবামূলক শিল্প হিসেবে বিবেচনা করে কর্পোরেট ট্যাক্স সর্বনিম্ন নির্ধারণ অথবা অবলোপন করার দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে যতক্ষণ এনবিআরের সক্ষমতা না বাড়াবেন, দুর্নীতি না কমবে এবং অটোমেশন না হবে ততক্ষণ কর-জিডিপি অনুপাত বাড়বে না বলেও মন্তব্য আজাদ।

আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০৮৫ কোটি ডলার

অন্যদিকে সাবেক সভাপতি ও প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, গত ১৬ বছর সংবাদপত্রে সরকারের কোনো সহযোগিতা পাইনি। বরং আক্রমণের শিকার হয়েছি। অনেক ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে অরাজনৈতিক সরকারের সময় সুবিচার আশা করছি।

নোয়াব মনে করে, একদিকে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল মাধ্যমের বহিঃপ্রকাশ, অন্য মাধ্যমের অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি সংবাদপত্র শিল্পকে বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি করেছে। বিভিন্ন শুল্ক, ভ্যাট, কর্পোরেট ট্যাক্স এ শিল্পের বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান অবস্থায় বিশেষত ডলারের ক্রমবর্ধমান বিনিময় হার, এ শিল্পকে নতজানু করে ফেলেছে।

এসময় এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান নোয়াবের প্রস্তাব বিবেচনার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ট্যাক্স জিডিপি ও ট্যাক্স রেট বাড়াতে সচেতনতামূলক প্রচার করছে গণমাধ্যমগুলো। গণমাধ্যম আরও ভূমিকা রাখবে। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে অগ্রিম আয়কর (এআইটি) ও অগ্রিম কর (এটি) কমানোর আশ্বাস দেন তিনি।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

শুল্ক ও করনীতি সংস্কারের দাবি নোয়াবের

আপডেট: ০৬:৪৪:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল মাধ্যমের বহিঃপ্রকাশ ও অন্য মাধ্যমের অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি সংবাদপত্র শিল্পকে বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি করেছে। এ বাস্তবতায় সংবাদপত্র শিল্প রক্ষায় শুল্ক ও করনীতিতে সংস্কারের দাবি জানিয়েছে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।

আজ রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় সংগঠনটির সভাপতি এ কে আজাদ এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউ

তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির বর্তমান অবস্থায় বিশেষত ডলারের ক্রমবর্ধমান বিনিময় হার, এ শিল্পকে নতজানু করে ফেলেছে। বিগত কয়েক বছরে সংবাদপত্র শিল্প বিকাশে সরকার আমাদের কোনো প্রস্তাবনা আমলে নেয়নি। এ বছরের বাজেটে আমাদের প্রস্তাবগুলো বিবেচনায় নেওয়া হোক।

এ কে আজাদ বলেন, সংবাদপত্র সেবা শিল্প হিসেবে সরকার কর্তৃক ঘোষিত। সাংবাদিক বাদেও মুদ্রণ, বিপণন, বিতরণ ও বিজ্ঞাপন ইত্যাদিসহ অগণিত মানুষ এ শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। এর অব্যাহত অগ্রগতি ও পরিচালনার জন্য শুল্ক ও কর নীতি প্রয়োগের বিপুল সংস্কার তথা সহায়ক ভূমিকা প্রয়োজন।

প্রস্তাবে তিনি নিউজপ্রিন্টের আমদানি শুল্ক ২ শতাংশ করা (বর্তমানে প্রযোজ্য ৫ শতাংশ), ভ্যাট ১৫ শতাংশের স্থলে ৫ শতাংশ, অগ্রিম আয়কর (এআইটি) ৫ শতাংশ ও অগ্রিম কর (এটি) ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ন্যূনতম ১ শতাংশ করা এবং সংবাদপত্র শিল্পকে সেবামূলক শিল্প হিসেবে বিবেচনা করে কর্পোরেট ট্যাক্স সর্বনিম্ন নির্ধারণ অথবা অবলোপন করার দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে যতক্ষণ এনবিআরের সক্ষমতা না বাড়াবেন, দুর্নীতি না কমবে এবং অটোমেশন না হবে ততক্ষণ কর-জিডিপি অনুপাত বাড়বে না বলেও মন্তব্য আজাদ।

আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০৮৫ কোটি ডলার

অন্যদিকে সাবেক সভাপতি ও প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, গত ১৬ বছর সংবাদপত্রে সরকারের কোনো সহযোগিতা পাইনি। বরং আক্রমণের শিকার হয়েছি। অনেক ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে অরাজনৈতিক সরকারের সময় সুবিচার আশা করছি।

নোয়াব মনে করে, একদিকে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল মাধ্যমের বহিঃপ্রকাশ, অন্য মাধ্যমের অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি সংবাদপত্র শিল্পকে বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি করেছে। বিভিন্ন শুল্ক, ভ্যাট, কর্পোরেট ট্যাক্স এ শিল্পের বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান অবস্থায় বিশেষত ডলারের ক্রমবর্ধমান বিনিময় হার, এ শিল্পকে নতজানু করে ফেলেছে।

এসময় এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান নোয়াবের প্রস্তাব বিবেচনার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ট্যাক্স জিডিপি ও ট্যাক্স রেট বাড়াতে সচেতনতামূলক প্রচার করছে গণমাধ্যমগুলো। গণমাধ্যম আরও ভূমিকা রাখবে। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে অগ্রিম আয়কর (এআইটি) ও অগ্রিম কর (এটি) কমানোর আশ্বাস দেন তিনি।

ঢাকা/এসএইচ