০৪:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শূন্য কার্বন নিঃসরণে সরকার উল্টো পথে হাঁটছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:৫৯:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • / ১০৩৮৫ বার দেখা হয়েছে

শূন্য নেট কার্বন নিঃসরণ লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে সরকার উল্টো পথে হাঁটছে বলে মন্তব্য করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।তারা বলছে, ২০২৫–২৬ অর্থবছরের বাজেটেও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত গুরুত্ব পায়নি, বরং ফসিল ফুয়েল নির্ভরতা আরও বাড়ানো হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত: জ্বালানি রূপান্তরের অগ্রাধিকারের ওপর প্রতিফলন’ শীর্ষক সিপিডির এক আলোচনায় এসব কথা বলা হয়।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির সহযোগী গবেষক হেলেন মাশিয়াত প্রিয়তী। তিনি বলেন, ‘শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য কার্বন নিঃসরণ—এই তিন লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমরা এখনও “২.৫০ শূন্যে” আছি। কারণ বাজেটে এখনও ফসিল ফুয়েল প্রাধান্য পাচ্ছে, এলএনজি আমদানিতে ভ্যাট ছাড় দেওয়া হয়েছে, কিন্তু নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে কোনো প্রণোদনা নেই।’

প্রিয়তী আরও বলেন, ‘এবার মাত্র সাতটি প্রকল্পে নবায়নযোগ্য জ্বালানি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি হলেও প্রকল্প বাস্তবায়নে বরাদ্দ কম। বাজেটে ৭০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিলের কথা বলা হলেও সেটি যথেষ্ট নয়।’

আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর ৩ বছরপূর্তি: আড়াই হাজার কোটির মাইলফলক টোল আদায়ে

অনুষ্ঠানে সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘পূর্ববর্তী সরকার জ্বালানি খাতে বিপুল ব্যয় করেছে, যার মাধ্যমে জ্বালানির প্রাপ্যতা বেড়েছিল ঠিকই, কিন্তু সেই সঙ্গে দেখা গেছে দুর্নীতি ও অপচয়। এবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে প্রত্যাশা, তারা সুশাসনকে গুরুত্ব দেবে এবং জ্বালানির রূপান্তরে কার্যকর উদ্যোগ নেবে।’

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

শূন্য কার্বন নিঃসরণে সরকার উল্টো পথে হাঁটছে

আপডেট: ০১:৫৯:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

শূন্য নেট কার্বন নিঃসরণ লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে সরকার উল্টো পথে হাঁটছে বলে মন্তব্য করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।তারা বলছে, ২০২৫–২৬ অর্থবছরের বাজেটেও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত গুরুত্ব পায়নি, বরং ফসিল ফুয়েল নির্ভরতা আরও বাড়ানো হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত: জ্বালানি রূপান্তরের অগ্রাধিকারের ওপর প্রতিফলন’ শীর্ষক সিপিডির এক আলোচনায় এসব কথা বলা হয়।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির সহযোগী গবেষক হেলেন মাশিয়াত প্রিয়তী। তিনি বলেন, ‘শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য কার্বন নিঃসরণ—এই তিন লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমরা এখনও “২.৫০ শূন্যে” আছি। কারণ বাজেটে এখনও ফসিল ফুয়েল প্রাধান্য পাচ্ছে, এলএনজি আমদানিতে ভ্যাট ছাড় দেওয়া হয়েছে, কিন্তু নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে কোনো প্রণোদনা নেই।’

প্রিয়তী আরও বলেন, ‘এবার মাত্র সাতটি প্রকল্পে নবায়নযোগ্য জ্বালানি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি হলেও প্রকল্প বাস্তবায়নে বরাদ্দ কম। বাজেটে ৭০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিলের কথা বলা হলেও সেটি যথেষ্ট নয়।’

আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর ৩ বছরপূর্তি: আড়াই হাজার কোটির মাইলফলক টোল আদায়ে

অনুষ্ঠানে সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘পূর্ববর্তী সরকার জ্বালানি খাতে বিপুল ব্যয় করেছে, যার মাধ্যমে জ্বালানির প্রাপ্যতা বেড়েছিল ঠিকই, কিন্তু সেই সঙ্গে দেখা গেছে দুর্নীতি ও অপচয়। এবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে প্রত্যাশা, তারা সুশাসনকে গুরুত্ব দেবে এবং জ্বালানির রূপান্তরে কার্যকর উদ্যোগ নেবে।’

ঢাকা/এসএইচ