০৬:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শেখ হাসিনার সঙ্গে আওয়ামী লীগেরও বিচার করা উচিত: মির্জা ফখরুল

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:২১:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
  • / ১০৩২৩ বার দেখা হয়েছে

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমি মনে করি- আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা এককভাবে ‘দ্য রেসপনসিবল ফর দ্য কিলিং অব দ্য থাউজ্যান্ডস অব পিপল’ (গণহত্যার জন্য দায়ী)। তার বিচার শুরু হয়েছে। আমরা আশাবাদী, তার এবং যারা গণহত্যার সঙ্গে এবং এই ফ্যাসিস্ট আক্রমণের সঙ্গে জড়িত, তাদের প্রত্যেকেরই বিচার হবে। সেই হিসেবে দলগতভাবেও (আওয়ামী লীগ) তাদের বিচার হওয়া উচিত।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ বুধবার (৯ জুলাই) রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এবং অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা খুব ভালো করেই জানেন, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে নির্যাতন-হত্যা-গুম-খুনের সবচেয়ে বড় ভিক্টিম (ভুক্তভোগী) আমাদের দল বিএনপি। আমি নিজেও ১১২টা মামলার আসামি ছিলাম এবং ১৩ বার জেলে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় মনে করি, যেসব রাজনৈতিক দল ফ্যাসিবাদের পক্ষে থাকবে, যারা ফ্যাসিবাদের পক্ষে কাজ করবে, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করেছে তাদের প্রতিটি ব্যক্তির শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত এবং শাস্তি হওয়া উচিত।

‘যত দ্রুত দেশকে নির্বাচনের ট্র্যাকে তোলা যাবে, ততই দেশের জন্য মঙ্গল’ বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি এই কথাগুলোর উত্তর কতবার দিয়েছি! দুই দিন আগেও আমরা সংবাদ সম্মেলন করেছি। একটা কথা বলতে চাই, গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় শক্তি যদি কেউ হয়, সেটা হচ্ছে বিএনপি। সবচেয়ে বেশি লড়াই যদি কেউ করে থাকে গণতন্ত্রের জন্য, সেটাও বিএনপি। বাংলাদেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বিএনপি এনেছে বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং পরবর্তীকালে সংসদীয় গণতন্ত্র।

আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া সফরে গেলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

তিনি বলেন, এই বিষয়ে প্রশ্ন করার কোনো প্রয়োজন নেই। দেশটাকে সকলে মিলে বাঁচাতে হবে। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব হচ্ছে দেশকে সঠিক ট্র্যাকে তোলা এবং যত দ্রুত সেটা তোলা যাবে, ততই মঙ্গল।

তিনি আরও বলেন, যারা মনে করে যে নির্বাচন প্রয়োজন নেই, আমার মনে হয় তারা আবার চিন্তা করবেন। নির্বাচন প্রয়োজন জনগণের জন্য। একটা নির্বাচিত সরকার দরকার, যে সরকার জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে। সে কারণেই আমরা বলছি, সংস্কারগুলোতে আমরা অংশ নিচ্ছি। প্রত্যেকটি সংস্কারের দাবি আমরাই তুলেছি। সুতরাং সংস্কার এবং নির্বাচন- এই দুয়ের মধ্যে কোনো সাংঘর্ষিকতা নেই, দুটোই একসঙ্গে চলবে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

শেখ হাসিনার সঙ্গে আওয়ামী লীগেরও বিচার করা উচিত: মির্জা ফখরুল

আপডেট: ০৪:২১:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমি মনে করি- আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা এককভাবে ‘দ্য রেসপনসিবল ফর দ্য কিলিং অব দ্য থাউজ্যান্ডস অব পিপল’ (গণহত্যার জন্য দায়ী)। তার বিচার শুরু হয়েছে। আমরা আশাবাদী, তার এবং যারা গণহত্যার সঙ্গে এবং এই ফ্যাসিস্ট আক্রমণের সঙ্গে জড়িত, তাদের প্রত্যেকেরই বিচার হবে। সেই হিসেবে দলগতভাবেও (আওয়ামী লীগ) তাদের বিচার হওয়া উচিত।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ বুধবার (৯ জুলাই) রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এবং অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা খুব ভালো করেই জানেন, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে নির্যাতন-হত্যা-গুম-খুনের সবচেয়ে বড় ভিক্টিম (ভুক্তভোগী) আমাদের দল বিএনপি। আমি নিজেও ১১২টা মামলার আসামি ছিলাম এবং ১৩ বার জেলে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় মনে করি, যেসব রাজনৈতিক দল ফ্যাসিবাদের পক্ষে থাকবে, যারা ফ্যাসিবাদের পক্ষে কাজ করবে, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করেছে তাদের প্রতিটি ব্যক্তির শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত এবং শাস্তি হওয়া উচিত।

‘যত দ্রুত দেশকে নির্বাচনের ট্র্যাকে তোলা যাবে, ততই দেশের জন্য মঙ্গল’ বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি এই কথাগুলোর উত্তর কতবার দিয়েছি! দুই দিন আগেও আমরা সংবাদ সম্মেলন করেছি। একটা কথা বলতে চাই, গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় শক্তি যদি কেউ হয়, সেটা হচ্ছে বিএনপি। সবচেয়ে বেশি লড়াই যদি কেউ করে থাকে গণতন্ত্রের জন্য, সেটাও বিএনপি। বাংলাদেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বিএনপি এনেছে বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং পরবর্তীকালে সংসদীয় গণতন্ত্র।

আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া সফরে গেলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

তিনি বলেন, এই বিষয়ে প্রশ্ন করার কোনো প্রয়োজন নেই। দেশটাকে সকলে মিলে বাঁচাতে হবে। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব হচ্ছে দেশকে সঠিক ট্র্যাকে তোলা এবং যত দ্রুত সেটা তোলা যাবে, ততই মঙ্গল।

তিনি আরও বলেন, যারা মনে করে যে নির্বাচন প্রয়োজন নেই, আমার মনে হয় তারা আবার চিন্তা করবেন। নির্বাচন প্রয়োজন জনগণের জন্য। একটা নির্বাচিত সরকার দরকার, যে সরকার জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে। সে কারণেই আমরা বলছি, সংস্কারগুলোতে আমরা অংশ নিচ্ছি। প্রত্যেকটি সংস্কারের দাবি আমরাই তুলেছি। সুতরাং সংস্কার এবং নির্বাচন- এই দুয়ের মধ্যে কোনো সাংঘর্ষিকতা নেই, দুটোই একসঙ্গে চলবে।

ঢাকা/এসএইচ