১২:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

শেখ হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:৩১:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১০৩৪৫ বার দেখা হয়েছে

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি-জালিয়াতির অভিযোগে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আলাদা ২টি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এদিন আদালত দুদকের দেয়া চার্জশিট আমলে গ্রহণ করেন। এর মধ্যে এক মামলায় ১২ জন ও অন্য মামলায় ১৭ জন আসামি আছেন। আসামিরা পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

পরোয়ানা জারি হওয়া অন্য আসামিরা হলেন—জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউকের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), মো. নুরুল ইসলাম, পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং শরীফ আহমেদ। শেষের দুইজন তদন্তপ্রাপ্ত আসামি। তবে অন্য মামলার ১২ জনের নাম পাওয়া যায়নি।

আদালতে দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জনসাধারণের সামনে নিজেকে নির্লোভ দাবি করলেও আড়ালে হাতিয়ে নিয়েছেন পূর্বাচলের ১০ কাঠার প্লট। রাজউকে করেননি আবেদন। প্লটের কথা উল্লেখ নেই হলফনামায়ও। এমন অভিযোগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্লট জালিয়াতির মামলা করে দুদক। পরে মার্চে অভিযোগের সত্যতা দাবি করে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন: মতভিন্নতা থাকলেও রাষ্ট্র সংস্কারে সবার লক্ষ্য এক: আলী রীয়াজ

এর আগে প্লট জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের চার মামলায় শেখ হাসিনা পরিবারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

জানা গেছে, পূর্বাচলে ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেয়ার প্রমাণ পাওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার পরিবারের সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন এবং জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক ৮টি অভিযোগপত্র বা চার্জশিট দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ১২, ১৩  ও ১৪ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো দায়ের করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সরকারের সর্বোচ্চ পদাধিকারী ও পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে বহাল থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নং সেক্টরের ২০৩ নং রাস্তার ৬টি প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১৬১/১৬৩/১৬৪/৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।

উল্লেখ, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট দেশে ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে সেখানেই আছেন তিনি।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

শেখ হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

আপডেট: ০১:৩১:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি-জালিয়াতির অভিযোগে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আলাদা ২টি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এদিন আদালত দুদকের দেয়া চার্জশিট আমলে গ্রহণ করেন। এর মধ্যে এক মামলায় ১২ জন ও অন্য মামলায় ১৭ জন আসামি আছেন। আসামিরা পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

পরোয়ানা জারি হওয়া অন্য আসামিরা হলেন—জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউকের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), মো. নুরুল ইসলাম, পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং শরীফ আহমেদ। শেষের দুইজন তদন্তপ্রাপ্ত আসামি। তবে অন্য মামলার ১২ জনের নাম পাওয়া যায়নি।

আদালতে দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জনসাধারণের সামনে নিজেকে নির্লোভ দাবি করলেও আড়ালে হাতিয়ে নিয়েছেন পূর্বাচলের ১০ কাঠার প্লট। রাজউকে করেননি আবেদন। প্লটের কথা উল্লেখ নেই হলফনামায়ও। এমন অভিযোগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্লট জালিয়াতির মামলা করে দুদক। পরে মার্চে অভিযোগের সত্যতা দাবি করে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন: মতভিন্নতা থাকলেও রাষ্ট্র সংস্কারে সবার লক্ষ্য এক: আলী রীয়াজ

এর আগে প্লট জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের চার মামলায় শেখ হাসিনা পরিবারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

জানা গেছে, পূর্বাচলে ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেয়ার প্রমাণ পাওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার পরিবারের সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন এবং জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক ৮টি অভিযোগপত্র বা চার্জশিট দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ১২, ১৩  ও ১৪ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো দায়ের করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সরকারের সর্বোচ্চ পদাধিকারী ও পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে বহাল থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নং সেক্টরের ২০৩ নং রাস্তার ৬টি প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১৬১/১৬৩/১৬৪/৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।

উল্লেখ, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট দেশে ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে সেখানেই আছেন তিনি।

ঢাকা/এসএইচ