১২:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শেয়ারবাজার কারসাজি: অভিযুক্ত ১৭ ব্যাক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:৫৫:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১১৫৭১ বার দেখা হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজার ওয়াল স্ট্রিট খেয়ে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে অনৈতিক প্রভাব বিস্তর করা রিয়াজ ইসলামের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। তিনি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি এলআর গ্লোবালের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তাঁর বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। এ ছাড়া পুঁজিবাজারে কারসাজিতে অভিযুক্ত ১৭ জনের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। চাওয়া হয়েছে তাদের ব্যাংক লেনদেনসহ যাবতীয় তথ্য। সংশ্লিষ্টরা জানান, ভুয়া সম্পদ মূল্যায়নের ভিত্তিতে ২০২১ সালে

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ার সাড়ে ১২ হাজার টাকায় কিনে আলোচনায় আসে এলআর গ্লোবাল। এভাবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৫০ কোটি টাকা বিডিনিউজে বিনিয়োগ করা হয়। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি পরে ভুয়া সম্পদ মূল্যায়নের ভিত্তিতে এ শেয়ার কেনাবেচার তথ্য পায়। যে কারণে, ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় এ বিনিয়োগ ফেরতের নির্দেশনা দেয় এলআর গ্লোবালকে। যদিও বিডিনিউজ ওই টাকা আজ অবধি ফেরত দেয়নি।

রিয়াজ ইসলামের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে ভুল বিনিয়োগের অভিযোগ আছে। এতে দেশটির অনেক বিনিয়োগকারী বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়েন। এরকম অবস্থায় ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে বাংলাদেশে আসেন তিনি। দেশের পুঁজিবাজারে নানা কারসাজিতে জড়িয়ে পড়েন। গত ১৩ জুন তাঁর বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে ‘ওয়াল স্ট্রিট খেয়ে রিয়াজ এখন মতিঝিলপাড়ায়’ শিরোনামে প্রধান প্রতিবেদন ছাপা হয়।

আরও পড়ুন: সাড়ে তিন শতাধিক কোম্পানির পতনে ধুঁকছে পুঁজিবাজার

বিএফআইইউ আরও যাদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে তারা হলেন– রিয়াজ ইসলামের কর্তৃত্বে পরিচালিত এলআর গ্লোবালের পরিচালক জর্জ এম স্টক, কোয়েস্ট বিডিসির চেয়ারম্যান রেজাউর রহমান সোহাগ, কোম্পানিটির সাবেক এমডি খান মোহাম্মদ আমির, আরেক সাবেক এমডি সৈয়দ কামরুল হুদা, বর্তমান এমডি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শরিফ আহসান, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মেদিনা আলী ও জিয়াউল হাসান।

আরও অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে– বেক্সিমকো লিমিটেডের এমডি ওসমান কায়সার চৌধুরী, বেক্সিমকোর পরিচালক এবি সিদ্দিকুর রহমান, ইকবাল আহমেদ ও রীম এইচ শামসুদ্দোহা এবং তিস্তা সোলারের এমডি এম রফিকুল ইসলাম, চেয়ারম্যান আজমল কবির, পরিচালক মোহাম্মদ শাকিলুর রহমান, আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক এমডি মোহাম্মদ শাহ আলম সারওয়ার, শ্রীপুর টাউনশিপের এমডি মো. মশিহুজ্জামান ও পরিচালক তিলাত শাহরিন। তারা বেক্সিমকো গ্রুপের সুকুক বন্ড (শরিয়াহভিত্তিক) ও আমার বন্ড নামে জিরো কুপন বন্ডের মাধ্যমে বাজার থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ আছে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

শেয়ারবাজার কারসাজি: অভিযুক্ত ১৭ ব্যাক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ

আপডেট: ০৩:৫৫:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজার ওয়াল স্ট্রিট খেয়ে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে অনৈতিক প্রভাব বিস্তর করা রিয়াজ ইসলামের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। তিনি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি এলআর গ্লোবালের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তাঁর বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। এ ছাড়া পুঁজিবাজারে কারসাজিতে অভিযুক্ত ১৭ জনের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। চাওয়া হয়েছে তাদের ব্যাংক লেনদেনসহ যাবতীয় তথ্য। সংশ্লিষ্টরা জানান, ভুয়া সম্পদ মূল্যায়নের ভিত্তিতে ২০২১ সালে

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ার সাড়ে ১২ হাজার টাকায় কিনে আলোচনায় আসে এলআর গ্লোবাল। এভাবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৫০ কোটি টাকা বিডিনিউজে বিনিয়োগ করা হয়। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি পরে ভুয়া সম্পদ মূল্যায়নের ভিত্তিতে এ শেয়ার কেনাবেচার তথ্য পায়। যে কারণে, ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় এ বিনিয়োগ ফেরতের নির্দেশনা দেয় এলআর গ্লোবালকে। যদিও বিডিনিউজ ওই টাকা আজ অবধি ফেরত দেয়নি।

রিয়াজ ইসলামের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে ভুল বিনিয়োগের অভিযোগ আছে। এতে দেশটির অনেক বিনিয়োগকারী বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়েন। এরকম অবস্থায় ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে বাংলাদেশে আসেন তিনি। দেশের পুঁজিবাজারে নানা কারসাজিতে জড়িয়ে পড়েন। গত ১৩ জুন তাঁর বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে ‘ওয়াল স্ট্রিট খেয়ে রিয়াজ এখন মতিঝিলপাড়ায়’ শিরোনামে প্রধান প্রতিবেদন ছাপা হয়।

আরও পড়ুন: সাড়ে তিন শতাধিক কোম্পানির পতনে ধুঁকছে পুঁজিবাজার

বিএফআইইউ আরও যাদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে তারা হলেন– রিয়াজ ইসলামের কর্তৃত্বে পরিচালিত এলআর গ্লোবালের পরিচালক জর্জ এম স্টক, কোয়েস্ট বিডিসির চেয়ারম্যান রেজাউর রহমান সোহাগ, কোম্পানিটির সাবেক এমডি খান মোহাম্মদ আমির, আরেক সাবেক এমডি সৈয়দ কামরুল হুদা, বর্তমান এমডি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শরিফ আহসান, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মেদিনা আলী ও জিয়াউল হাসান।

আরও অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে– বেক্সিমকো লিমিটেডের এমডি ওসমান কায়সার চৌধুরী, বেক্সিমকোর পরিচালক এবি সিদ্দিকুর রহমান, ইকবাল আহমেদ ও রীম এইচ শামসুদ্দোহা এবং তিস্তা সোলারের এমডি এম রফিকুল ইসলাম, চেয়ারম্যান আজমল কবির, পরিচালক মোহাম্মদ শাকিলুর রহমান, আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক এমডি মোহাম্মদ শাহ আলম সারওয়ার, শ্রীপুর টাউনশিপের এমডি মো. মশিহুজ্জামান ও পরিচালক তিলাত শাহরিন। তারা বেক্সিমকো গ্রুপের সুকুক বন্ড (শরিয়াহভিত্তিক) ও আমার বন্ড নামে জিরো কুপন বন্ডের মাধ্যমে বাজার থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ আছে।

ঢাকা/এসএইচ