১০:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিজিএমইএ নির্বাচন ২০২৫-২০২৭

সংকটের সময়ে সুদক্ষ নেতৃত্বের আহ্বান সম্মিলিত পরিষদের

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:০৯:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
  • / ১০৪২৭ বার দেখা হয়েছে

বৈশ্বিক অর্থ্বনৈতিক অনিশ্চয়তা, জ্বালানি সংকট, ডলারের অস্থিরতা ও এলডিসি উত্তরণ-উত্তর বাণিজ্য বাস্তবতায় বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানিখাত পোশাক শিল্প নতুন এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এই পটভূমিতে আগামী ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের জন্য বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) নির্বাচন সামনে রেখে আজ বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে সম্মিলিত পরিষদের মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সম্মিরিত পরিষদের সভাপতি ও বিজিএমইএ’র  সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, প্যানেল লিডার ও চৈতী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম এবং বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক ফারুক হাসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্প্যারো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুস্তিাজিরুল শোভন ইসলাম।

সম্মিলিত পরিষদের বক্তারা বলেন, এই পরিষদ কেবল ভোটের সময় দৃশ্যমান হয় না, বরং গত দুই দশকে যখনই বিজিএমইএ’র দরকার পড়েছে-সংকট কিংবা সম্ভাবনার সময়-তখনই সংগঠনের পাশে থেকেছেন তাঁরা। তাঁরা বলেন, আমরা শুধু ইশতেহার দিই না,  আমরা কাজের মধ্য দিয়ে আমাদের দায়িত্ব পালন করি।’

প্যানেল লিডার মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, বিশ্বব্যাপী চরম প্রতিযোগিতার এই সময়ে প্রয়োজন অভিজ্ঞ নেতৃত্ব ও গভীর বোঝাপড়ার। আমরা বিজিএমইএকে এমন এক আধুনিক ও সেবা-কেন্দ্রিক সংগঠরে রুপ দিতে চাই, যেখানে সদস্যদের প্রয়োজনই হবে নীতিনির্ধারণের মূল ভিত্তি। তিনি আরও জানান, ২১ মে সম্মিলিত পরিষদের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করা হবে। সেখানে উঠে আসবে-

বিজিএমইএ’র ডিজিটাল রুপান্তর, সদস্যদের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস, নবীন উদ্যোক্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা, এসএমই কারখানাগুলোর টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা, নবায়নযোগ্য জ্বালানির (সোলার) ব্যবহার বাড়ানো, মেড ইন বাংলাদেশ ব্র্যান্ডিংকে জোরদার করা

মোহাম্মদ আবুল কালাম আরও বলেন, আমরা গত দুই দশক ধরে  বিজিএমই’র সদস্যদের স্বার্থে মাঠে থেকেছি। এবারও আমাদের পরিকল্পনায় থাকবে প্রযুক্তি-নির্ভর বিজিএমইএ, স্মার্ট সার্ভিস, নবীন উদ্যোক্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ, এসএমই কারখানা উন্নয়ন, সোলার এনার্জি বিস্তার এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডিংকে শক্তিশালী করা।

সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা অতীতে যেভাবে সংকটে বিজিএমইএ-কে নেতৃত্ব দিয়েছি, ভবিষ্যতেও সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। এই সংগঠন কেবল পোশাক রপ্তানিকারকদের নয়-এটি দেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড। তাই এর নেতৃত্ব দায়িত্ববান, পরীক্ষিত ও কারযোরক লোরেক  প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, আমরা বারবার প্রমাণ করেছি-সংকটে আমরা সামনে থাকি। আমরা কথা নয়, কাজ দিয়ে নেতৃত্ব দিই। এই পরিষদ গত ২০ বছর ধরে বিজিএমইএর আস্থার প্রতীক হয়ে আছে।

অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে পরিষদের নেতারা বলেন, আমরা কাদা ছোঁড়াছুড়ির রাজনীতি করি না। আমাদের দায়িত্ব দায়িত্বশীলভাবে সদস্যদের পাশে থাকা, তাদের দাবিকে শক্ত কণ্ঠে সরকার ও আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরা। তাঁরা আরও বলেন, বিজিএমইএ নির্বাচনে যারা এবার প্রথম ভোট দেবেন, সেই তরুণ উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আমরা ভবিষ্যতের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে চাই।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার জট নিরসনে বিশেষ আদেশ জারি

অনুষ্ঠানে  সঞ্চলক শোভন  ইসলাম তাঁর সমাপনী বক্তব্যে বলেন, এই নির্বাচন কেবল নেতৃত্ব নির্বাচনের সুযোগ নয়, বরং এটি এমন এক সময়, যখন সঠিক মানুষকে দায়িত্ব দেওয়ার মাধ্যমেই আমরা বিজিএমইকে নতুন যুদে প্রবেশ করাতে পারি।

সম্মিলিত পরিষদের পক্ষ থেকে সব সদস্যকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের এবং ভবিষ্যতের গতিশীল নেতৃত্ব গঠনে মতামত জানানোর অঅহ্বান জানানো হয়।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

বিজিএমইএ নির্বাচন ২০২৫-২০২৭

সংকটের সময়ে সুদক্ষ নেতৃত্বের আহ্বান সম্মিলিত পরিষদের

আপডেট: ০৬:০৯:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

বৈশ্বিক অর্থ্বনৈতিক অনিশ্চয়তা, জ্বালানি সংকট, ডলারের অস্থিরতা ও এলডিসি উত্তরণ-উত্তর বাণিজ্য বাস্তবতায় বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানিখাত পোশাক শিল্প নতুন এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এই পটভূমিতে আগামী ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের জন্য বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) নির্বাচন সামনে রেখে আজ বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে সম্মিলিত পরিষদের মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সম্মিরিত পরিষদের সভাপতি ও বিজিএমইএ’র  সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, প্যানেল লিডার ও চৈতী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম এবং বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক ফারুক হাসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্প্যারো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুস্তিাজিরুল শোভন ইসলাম।

সম্মিলিত পরিষদের বক্তারা বলেন, এই পরিষদ কেবল ভোটের সময় দৃশ্যমান হয় না, বরং গত দুই দশকে যখনই বিজিএমইএ’র দরকার পড়েছে-সংকট কিংবা সম্ভাবনার সময়-তখনই সংগঠনের পাশে থেকেছেন তাঁরা। তাঁরা বলেন, আমরা শুধু ইশতেহার দিই না,  আমরা কাজের মধ্য দিয়ে আমাদের দায়িত্ব পালন করি।’

প্যানেল লিডার মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, বিশ্বব্যাপী চরম প্রতিযোগিতার এই সময়ে প্রয়োজন অভিজ্ঞ নেতৃত্ব ও গভীর বোঝাপড়ার। আমরা বিজিএমইএকে এমন এক আধুনিক ও সেবা-কেন্দ্রিক সংগঠরে রুপ দিতে চাই, যেখানে সদস্যদের প্রয়োজনই হবে নীতিনির্ধারণের মূল ভিত্তি। তিনি আরও জানান, ২১ মে সম্মিলিত পরিষদের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করা হবে। সেখানে উঠে আসবে-

বিজিএমইএ’র ডিজিটাল রুপান্তর, সদস্যদের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস, নবীন উদ্যোক্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা, এসএমই কারখানাগুলোর টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা, নবায়নযোগ্য জ্বালানির (সোলার) ব্যবহার বাড়ানো, মেড ইন বাংলাদেশ ব্র্যান্ডিংকে জোরদার করা

মোহাম্মদ আবুল কালাম আরও বলেন, আমরা গত দুই দশক ধরে  বিজিএমই’র সদস্যদের স্বার্থে মাঠে থেকেছি। এবারও আমাদের পরিকল্পনায় থাকবে প্রযুক্তি-নির্ভর বিজিএমইএ, স্মার্ট সার্ভিস, নবীন উদ্যোক্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ, এসএমই কারখানা উন্নয়ন, সোলার এনার্জি বিস্তার এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডিংকে শক্তিশালী করা।

সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা অতীতে যেভাবে সংকটে বিজিএমইএ-কে নেতৃত্ব দিয়েছি, ভবিষ্যতেও সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। এই সংগঠন কেবল পোশাক রপ্তানিকারকদের নয়-এটি দেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড। তাই এর নেতৃত্ব দায়িত্ববান, পরীক্ষিত ও কারযোরক লোরেক  প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, আমরা বারবার প্রমাণ করেছি-সংকটে আমরা সামনে থাকি। আমরা কথা নয়, কাজ দিয়ে নেতৃত্ব দিই। এই পরিষদ গত ২০ বছর ধরে বিজিএমইএর আস্থার প্রতীক হয়ে আছে।

অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে পরিষদের নেতারা বলেন, আমরা কাদা ছোঁড়াছুড়ির রাজনীতি করি না। আমাদের দায়িত্ব দায়িত্বশীলভাবে সদস্যদের পাশে থাকা, তাদের দাবিকে শক্ত কণ্ঠে সরকার ও আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরা। তাঁরা আরও বলেন, বিজিএমইএ নির্বাচনে যারা এবার প্রথম ভোট দেবেন, সেই তরুণ উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আমরা ভবিষ্যতের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে চাই।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার জট নিরসনে বিশেষ আদেশ জারি

অনুষ্ঠানে  সঞ্চলক শোভন  ইসলাম তাঁর সমাপনী বক্তব্যে বলেন, এই নির্বাচন কেবল নেতৃত্ব নির্বাচনের সুযোগ নয়, বরং এটি এমন এক সময়, যখন সঠিক মানুষকে দায়িত্ব দেওয়ার মাধ্যমেই আমরা বিজিএমইকে নতুন যুদে প্রবেশ করাতে পারি।

সম্মিলিত পরিষদের পক্ষ থেকে সব সদস্যকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের এবং ভবিষ্যতের গতিশীল নেতৃত্ব গঠনে মতামত জানানোর অঅহ্বান জানানো হয়।

ঢাকা/টিএ