১২:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

সংস্কার না হলে কমতে পারে জিডিপির প্রবৃদ্ধি: বিশ্বব্যাংক

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:২৫:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১০৩২২ বার দেখা হয়েছে

বিশ্বব্যাংক থেকে ২৫ কোটি ডলার ঋণ পাবে বাংলাদেশ

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কয়েক দশক ধরে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি সেরা প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশগুলোর একটি হলো বাংলাদেশ। কিন্তু এতে আত্মতুষ্টিতে ভোগার কারণ নেই। অর্থনীতির তেজিভাব কখনো স্থায়ী প্রবণতা নয়। দ্রুত উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি সব সময় উচ্চ ঝুঁকিতে থাকে। তবে কয়েকটি দেশ দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। শীর্ষ ১০-এ থাকা দেশগুলোর মাত্র এক-তৃতীয়াংশ দেশ পরের দশকেও উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। গত এক দশকে (২০১০-১৯) যেসব দেশ শীর্ষ ১০-এ ছিল, সেসব দেশ আগের দশকে শীর্ষ ১০-এ ছিল না।

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে বিশ্বব্যাংক কিছু সুপারিশ করেছে। যেমন রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশের শুল্ক-করহার অন্য দেশের তুলনায় বেশি, যে কারণে বাণিজ্য সক্ষমতা কমে যাচ্ছে। ব্যাংক খাত সম্পর্কে বিশ্বব্যাংক বলেছে, ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাংক খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। কিন্তু দেশের আর্থিক খাত অতটা গভীর নয়। গত চার দশকে আর্থিক খাতের উন্নতি হলেও এখনো তা পর্যাপ্ত নয়। অন্যদিকে আধুনিক নগরায়ণই বাংলাদেশের পরবর্তী ধাপের উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভারসাম্যপূর্ণ আধুনিক নগরায়ণের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।

এদিকে সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার বাংলাদেশ সফরে এসে বলেন, বর্তমান প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখা, অনিশ্চয়তার মধ্যে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা সম্প্রসারণ ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সংস্কারে অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন।

বাংলাদেশের জন্য ২০২৩-২৭ মেয়াদের জন্য নতুন কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্ক (সিপিএফ) তৈরি করছে বিশ্বব্যাংক।

গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংক বলেছে, গত কয়েক দশকের উন্নয়নে দেশের দারিদ্র্য বিমোচন হয়েছে। স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন সূচকের উন্নতি হয়েছে। কোভিড মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি অন্য দেশের তুলনায় ভালো করেছে।

আরও পড়ুন: ২২ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

সংস্কার না হলে কমতে পারে জিডিপির প্রবৃদ্ধি: বিশ্বব্যাংক

আপডেট: ০৭:২৫:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কয়েক দশক ধরে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি সেরা প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশগুলোর একটি হলো বাংলাদেশ। কিন্তু এতে আত্মতুষ্টিতে ভোগার কারণ নেই। অর্থনীতির তেজিভাব কখনো স্থায়ী প্রবণতা নয়। দ্রুত উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি সব সময় উচ্চ ঝুঁকিতে থাকে। তবে কয়েকটি দেশ দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। শীর্ষ ১০-এ থাকা দেশগুলোর মাত্র এক-তৃতীয়াংশ দেশ পরের দশকেও উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। গত এক দশকে (২০১০-১৯) যেসব দেশ শীর্ষ ১০-এ ছিল, সেসব দেশ আগের দশকে শীর্ষ ১০-এ ছিল না।

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে বিশ্বব্যাংক কিছু সুপারিশ করেছে। যেমন রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশের শুল্ক-করহার অন্য দেশের তুলনায় বেশি, যে কারণে বাণিজ্য সক্ষমতা কমে যাচ্ছে। ব্যাংক খাত সম্পর্কে বিশ্বব্যাংক বলেছে, ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাংক খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। কিন্তু দেশের আর্থিক খাত অতটা গভীর নয়। গত চার দশকে আর্থিক খাতের উন্নতি হলেও এখনো তা পর্যাপ্ত নয়। অন্যদিকে আধুনিক নগরায়ণই বাংলাদেশের পরবর্তী ধাপের উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভারসাম্যপূর্ণ আধুনিক নগরায়ণের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।

এদিকে সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার বাংলাদেশ সফরে এসে বলেন, বর্তমান প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখা, অনিশ্চয়তার মধ্যে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা সম্প্রসারণ ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সংস্কারে অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন।

বাংলাদেশের জন্য ২০২৩-২৭ মেয়াদের জন্য নতুন কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্ক (সিপিএফ) তৈরি করছে বিশ্বব্যাংক।

গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংক বলেছে, গত কয়েক দশকের উন্নয়নে দেশের দারিদ্র্য বিমোচন হয়েছে। স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন সূচকের উন্নতি হয়েছে। কোভিড মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি অন্য দেশের তুলনায় ভালো করেছে।

আরও পড়ুন: ২২ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা

ঢাকা/টিএ