০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

সবার জন্য পেনশন ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:১৮:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ১০২৮০ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আগামী ৬ মাস থেকে ১ বছরে মধ্যে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি বাস্তবায়নে শিগগিরই পৃথক আইন ও বিধি প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী।

মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন বলেন, ‘চা দোকানদার, পান দোকানদারসহ সবাইকে সার্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনা হবে। তারা মাসিক চাঁদা দেবেন, সরকারও কিছু অংশ দেবে। এখান থেকে যে তহবিল গঠিত হবে, সেই তহবিল লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করা হবে। ওই বিনিয়োগ থেকে অর্জিত আয় পেনশনভোগীদের লভ্যাংশ হারে দেয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘এটি সবার জন্য করা হচ্ছে, আমাদের সংবিধানেও এ স্কিমের কথা বলা আছে। সংবিধানে বলা আছে, বার্ধক্যজনিত কারণে যদি কোনো ব্যক্তি অভাবগ্রস্ত হন তাহলে তাকে সহায়তা করার অধিকার রাষ্ট্রের আছে। এটি প্রত্যেক নাগরিকের জন্য মৌলিক অধিকার।’

এ ছাড়া বর্তমান সরকারের নির্বাচনি অঙ্গিীকারও সবার জন্য পেনশন সুবিধার কথা বলা আছে বলেও জানান তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বর্তমান গড় আয়ু ৭৩ বছর। ২০৫০ সালে এটি বেড়ে হবে ৮০ বছর, ৬৫ সালে হবে ৮৫ বছর। এতে দেখা যায়, কোনো ব্যক্তি অবসরের পরেও ১৫ থেকে ২০ বছর বাঁচবেন।

‘এই সময়ে তাদের কোনো আয় থাকবে না, কিন্তু তারা বেঁচে থাকবেন। এদের দেখার কেউ নেই, কর্মক্ষমতাও নেই। আয় করতেও পারবে না, ফলে তাদের দায়িত্ব নেবে সরকার। এটা হবে সার্বজনিন পেনশন স্কিমের মাধ্যমে।’

সার্বজনীন পেনশনের উল্লেখযোগ্য দিক নিম্নে তুলে ধরা হলো:

০১. ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সব কর্মক্ষম নাগরিকরা এই পেনশনের আওতায় আসবেন।

০২. প্রবাসীরাও এতে অংশ নিতে পারবেন।

০৩. সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীরাও সার্বজনীন পেনশনের আওতায় আনার বিবেচনা করা হচ্ছে।

০৪. ধারাবাহিকভাবে নির্দিষ্ট অঙ্কের মাসিক চাঁদার সাপেক্ষে পেনশনের আওতায় আনা হবে।

০৫. চাঁদার পরিমাণ কত হবে এবং পেনশনভোগী কত সুবিধা, কীভাবে সুবিধা পাবেন তা নির্ধারণের জন্য আলাদা কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে।

০৬. প্রতিটি নাগরিকের জন্য একটি আলাদা পেনশন অ্যাকাউন্ট থাকবে। ফলে চাকরি পরিবর্তন করলেরও পেনশন অ্যাকাউন্ট অপরিবর্তিত থাকবে।

০৭. কমপেক্ষে ১০ বছর চাঁদা দিতে হবে। পেনশনের টাকা হবে সম্পূর্ণ করমুক্ত।

০৮. পেনশনের টাকা নীতিমালা অনুযায়ী বিনিয়োগ করা হবে। পেনশন কর্তৃপক্ষে এই টাকা বিভিন্ন লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করবে।

সূত্র জানায়, পেনশন অ্যাকাউন্টে যে পরিমাণ চাঁদা দেবে তার বাইরে একটি অংশ দেবে সরকার। প্রত্যেকই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মাসিক চাঁদা জমা দিতে হবে। এরপর মেয়ার শেষে পেনশনভোগীদের সুবিধা দেয়া হবে। সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু হলে এর আওতায় থাকা প্রত্যেকই আমৃত্যু পেনশন সুবিধা পাবে।

তবে, উল্লেখ্য কেউ পেনশনের অর্থ এককালীন উত্তোলন করতে পারে না। কিন্তু সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ঋণ হিসেবে তোলা যাবে।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

সবার জন্য পেনশন ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে

আপডেট: ০৩:১৮:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আগামী ৬ মাস থেকে ১ বছরে মধ্যে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি বাস্তবায়নে শিগগিরই পৃথক আইন ও বিধি প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী।

মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন বলেন, ‘চা দোকানদার, পান দোকানদারসহ সবাইকে সার্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনা হবে। তারা মাসিক চাঁদা দেবেন, সরকারও কিছু অংশ দেবে। এখান থেকে যে তহবিল গঠিত হবে, সেই তহবিল লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করা হবে। ওই বিনিয়োগ থেকে অর্জিত আয় পেনশনভোগীদের লভ্যাংশ হারে দেয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘এটি সবার জন্য করা হচ্ছে, আমাদের সংবিধানেও এ স্কিমের কথা বলা আছে। সংবিধানে বলা আছে, বার্ধক্যজনিত কারণে যদি কোনো ব্যক্তি অভাবগ্রস্ত হন তাহলে তাকে সহায়তা করার অধিকার রাষ্ট্রের আছে। এটি প্রত্যেক নাগরিকের জন্য মৌলিক অধিকার।’

এ ছাড়া বর্তমান সরকারের নির্বাচনি অঙ্গিীকারও সবার জন্য পেনশন সুবিধার কথা বলা আছে বলেও জানান তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বর্তমান গড় আয়ু ৭৩ বছর। ২০৫০ সালে এটি বেড়ে হবে ৮০ বছর, ৬৫ সালে হবে ৮৫ বছর। এতে দেখা যায়, কোনো ব্যক্তি অবসরের পরেও ১৫ থেকে ২০ বছর বাঁচবেন।

‘এই সময়ে তাদের কোনো আয় থাকবে না, কিন্তু তারা বেঁচে থাকবেন। এদের দেখার কেউ নেই, কর্মক্ষমতাও নেই। আয় করতেও পারবে না, ফলে তাদের দায়িত্ব নেবে সরকার। এটা হবে সার্বজনিন পেনশন স্কিমের মাধ্যমে।’

সার্বজনীন পেনশনের উল্লেখযোগ্য দিক নিম্নে তুলে ধরা হলো:

০১. ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সব কর্মক্ষম নাগরিকরা এই পেনশনের আওতায় আসবেন।

০২. প্রবাসীরাও এতে অংশ নিতে পারবেন।

০৩. সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীরাও সার্বজনীন পেনশনের আওতায় আনার বিবেচনা করা হচ্ছে।

০৪. ধারাবাহিকভাবে নির্দিষ্ট অঙ্কের মাসিক চাঁদার সাপেক্ষে পেনশনের আওতায় আনা হবে।

০৫. চাঁদার পরিমাণ কত হবে এবং পেনশনভোগী কত সুবিধা, কীভাবে সুবিধা পাবেন তা নির্ধারণের জন্য আলাদা কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে।

০৬. প্রতিটি নাগরিকের জন্য একটি আলাদা পেনশন অ্যাকাউন্ট থাকবে। ফলে চাকরি পরিবর্তন করলেরও পেনশন অ্যাকাউন্ট অপরিবর্তিত থাকবে।

০৭. কমপেক্ষে ১০ বছর চাঁদা দিতে হবে। পেনশনের টাকা হবে সম্পূর্ণ করমুক্ত।

০৮. পেনশনের টাকা নীতিমালা অনুযায়ী বিনিয়োগ করা হবে। পেনশন কর্তৃপক্ষে এই টাকা বিভিন্ন লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করবে।

সূত্র জানায়, পেনশন অ্যাকাউন্টে যে পরিমাণ চাঁদা দেবে তার বাইরে একটি অংশ দেবে সরকার। প্রত্যেকই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মাসিক চাঁদা জমা দিতে হবে। এরপর মেয়ার শেষে পেনশনভোগীদের সুবিধা দেয়া হবে। সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু হলে এর আওতায় থাকা প্রত্যেকই আমৃত্যু পেনশন সুবিধা পাবে।

তবে, উল্লেখ্য কেউ পেনশনের অর্থ এককালীন উত্তোলন করতে পারে না। কিন্তু সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ঋণ হিসেবে তোলা যাবে।

ঢাকা/টিএ