১২:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

সরকারি শেয়ার পুঁজিবাজারে আনতে তৈরি হচ্ছে রোডম্যাপ 

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:৩৪:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪
  • / ১০৬৭৩ বার দেখা হয়েছে

সরকারি শেয়ার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে রোড ম্যাপ তৈরী করছে  ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। যাচাই-বাছাই শেষে সরকারি সেরা ২০ কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করবে প্রতিষ্ঠানটি। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারকে গতিশীল করতে সরকারি শেয়ারের পাশাপাশি বাড়াতে হবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বর্তমানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি, প্রকৌশল, ব্যাংকসহ বিভিন্ন খাতের রাষ্ট্রায়ত্ত ১৯টি প্রতিষ্ঠান। যমুনা অয়েল, পাওয়ার গ্রিড, তিতাস গ্যাস, বিএসসি, ডেসকো, এটলাস বাংলাদেশ সহ আরো অনেক কোম্পানি আছে এ খাতে। যাদের বেশিরভাগই বছর শেষে তাদের বিনিয়োগকারীদের জন্য নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ১০ থেকে ১৩০ শতাংশ পর্যন্ত। এমন পরিস্থিতিতে ভালো মানের সরকারি শেয়ারে মানুষের আগ্রহ থাকায় আবারো তালিকাভুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য টেলিফোন শিল্প সংস্থা, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসসহ মোট ২৬টি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। যার মধ্যে সেরা ২০ কোম্পানির সঙ্গে শিগগিরই আলোচনা করবে ডিএসই।

আরও পড়ুন: ডিএসই চেয়ারম্যান ড. হাসান বাবুর নতুন গ্রন্থ প্রকাশিত

ডিএসই’র চেয়ারম্যান হাফিজ মো: হাসান বাবু বলেন, ‘কোন কোন কোম্পানিকে ফুলফ্লেজে আনতে হবে এমন একটি প্রস্তাব আমরা প্রধানমন্ত্রীকে দেবো। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও অর্থমন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগকে যেহতু উনি নির্দেশ দিয়েছেন, সেখানেও আমরা এটা পাঠিয়ে দেবো। টপ–২০ তাদের সঙ্গে আমরা একটি চা চক্রের আয়োজন করব। তাদের আনার ব্যাপারে উৎসাহীত করব এবং সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করব।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারি ভালো প্রতিষ্ঠানগুলো বাজারের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। তবে, শুধু সরকারি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার নয়, স্থিতিশীল পুঁজিবাজারের জন্য বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ডেফিনেটলি এটা ভালো একটি উদ্যোগ। ভালো কোম্পানিগুলো লিস্টে আসলে মার্কেটের গভীরতা বাড়বে। সেকেন্ডারি মার্কেটকে একটি ভালো পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে আমার মনে হয় তখন এ ধরনের চিন্তা ভাবনা করা উচিত, শুধু সরকারি কোম্পানিই না অনেক ধরনের প্রোডাক্টই আছে যেগুলো বাজারে আনা যেতে পারে।’

সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির কাজ দ্রুত এগিয়ে নিতে, এরইমধ্যে অর্থবিভাগ ও আইসিবির সঙ্গে কাজ শুরু করেছে ডিএসই।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

x

সরকারি শেয়ার পুঁজিবাজারে আনতে তৈরি হচ্ছে রোডম্যাপ 

আপডেট: ০৭:৩৪:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪

সরকারি শেয়ার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে রোড ম্যাপ তৈরী করছে  ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। যাচাই-বাছাই শেষে সরকারি সেরা ২০ কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করবে প্রতিষ্ঠানটি। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারকে গতিশীল করতে সরকারি শেয়ারের পাশাপাশি বাড়াতে হবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বর্তমানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি, প্রকৌশল, ব্যাংকসহ বিভিন্ন খাতের রাষ্ট্রায়ত্ত ১৯টি প্রতিষ্ঠান। যমুনা অয়েল, পাওয়ার গ্রিড, তিতাস গ্যাস, বিএসসি, ডেসকো, এটলাস বাংলাদেশ সহ আরো অনেক কোম্পানি আছে এ খাতে। যাদের বেশিরভাগই বছর শেষে তাদের বিনিয়োগকারীদের জন্য নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ১০ থেকে ১৩০ শতাংশ পর্যন্ত। এমন পরিস্থিতিতে ভালো মানের সরকারি শেয়ারে মানুষের আগ্রহ থাকায় আবারো তালিকাভুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য টেলিফোন শিল্প সংস্থা, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসসহ মোট ২৬টি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। যার মধ্যে সেরা ২০ কোম্পানির সঙ্গে শিগগিরই আলোচনা করবে ডিএসই।

আরও পড়ুন: ডিএসই চেয়ারম্যান ড. হাসান বাবুর নতুন গ্রন্থ প্রকাশিত

ডিএসই’র চেয়ারম্যান হাফিজ মো: হাসান বাবু বলেন, ‘কোন কোন কোম্পানিকে ফুলফ্লেজে আনতে হবে এমন একটি প্রস্তাব আমরা প্রধানমন্ত্রীকে দেবো। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও অর্থমন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগকে যেহতু উনি নির্দেশ দিয়েছেন, সেখানেও আমরা এটা পাঠিয়ে দেবো। টপ–২০ তাদের সঙ্গে আমরা একটি চা চক্রের আয়োজন করব। তাদের আনার ব্যাপারে উৎসাহীত করব এবং সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করব।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারি ভালো প্রতিষ্ঠানগুলো বাজারের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। তবে, শুধু সরকারি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার নয়, স্থিতিশীল পুঁজিবাজারের জন্য বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ডেফিনেটলি এটা ভালো একটি উদ্যোগ। ভালো কোম্পানিগুলো লিস্টে আসলে মার্কেটের গভীরতা বাড়বে। সেকেন্ডারি মার্কেটকে একটি ভালো পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে আমার মনে হয় তখন এ ধরনের চিন্তা ভাবনা করা উচিত, শুধু সরকারি কোম্পানিই না অনেক ধরনের প্রোডাক্টই আছে যেগুলো বাজারে আনা যেতে পারে।’

সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির কাজ দ্রুত এগিয়ে নিতে, এরইমধ্যে অর্থবিভাগ ও আইসিবির সঙ্গে কাজ শুরু করেছে ডিএসই।

ঢাকা/এসএইচ