সর্বজনীন পেনশন আইনের গেজেট প্রকাশ

- আপডেট: ১২:৩০:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ১০৪৪৬ বার দেখা হয়েছে
সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন-২০২৩ গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। এই আইনের আওতায় বিশেষ বিবেচনায় পঞ্চশের ওপরে বয়স্ক নাগরিকরাও পেনশন স্কিমে অংশ নিতে পারবে। শুধু তাই নয়, প্রবাসী কর্মজীবীরাও এই পেনশনের আওতায় অংশ নিতে পারবেন।
প্রজ্ঞাপন জারি করে বাধ্যতামূলক না করা পর্যন্ত এই পেনশন স্কীমের আওতায় স্বেচ্ছায় কোনো প্রতিষ্ঠান আসতে পারবে। অন্যদিকে, সরকারি-আধাসরকারি-সায়ত্বশাসিত সংস্থার ক্ষেত্রে আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত এই পেনশনের আওতা বর্হিভূত থাকবে বলে গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ৩১ জানুয়ারি আইনটিতে সম্মতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
আইনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে গেজেটে বলা হয়েছে, দেশের সর্বস্তরের জনগণের বিশেষত গড় আয়ু বাড়ার কারণে ক্রমবর্ধমান বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতাভুক্ত করা প্রয়োজন এবং ভবিষ্যতে কর্মক্ষম জনসংখ্যা হ্রাসের কারণে নির্ভরশীলতার হার বাড়বে- এ কারণে সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়।
আরও পড়ুন: বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক রেখেও বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জনে সক্ষম হয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
আইন অনুযায়ী, জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়স থেকে ৫০ বছর বয়সী সব বাংলাদেশি নাগরিক পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। যিনি ধারাবাহিকভাবে ১০ বছর চাঁদা প্রদান করবেন তিনি পেনশন পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন এবং চাঁদাদাতার বয়স ৬০ বছর পূর্তিতে পেনশন তহবিলে পুঞ্জিভূত মুনাফাসহ জমার বিপরীতে আজীবন পেনশন প্রদান করা হবে; পঞ্চাশোর্ধ্বরা ১০ বছর চাঁদা প্রদান শেষে যে বয়সে উপনীত হবেন সেই বয়স থেকে আজীবন পেনশন পাবেন; প্রত্যেক চাঁদাদাতার জন্য একটি পৃথক ও স্বতন্ত্র পেনশন হিসাব থাকবে এবং কর্মস্থল পরিবর্তন হলেও নতুন হিসাব খোলার প্রয়োজন হবে না। কর্তৃপক্ষ থেকে সর্বনিম্ন চাঁদার হার নির্ধারণ করা হবে; মাসিক চাঁদা প্রদানে দেরি হলেও বিলম্ব ফিসহ পেনশন হিসাব চালু রাখা যাবে।
ঢাকা/টিএ