১০:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

সিআইবিতে ভুল তথ্য দিলে ৫ লাখ টাকা জরিমানা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:০৩:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
  • / ১০৩৭২ বার দেখা হয়েছে

বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ তথ্য ব্যুরোয় (সিআইবি) ভুল তথ্য দিলে সেই ব্যাংককে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এমনকি ওই তথ্যের পক্ষে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না পেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর পাশাপাশি দায়ী কর্মকর্তারা শাস্তির আওতায় পড়বেন। বুধবার (৫ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনা দিয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ব্যাংকিং খাতের ঋণের শৃঙ্খলা সুসংহত করতে সিআইবি তথ্যভাণ্ডারে সংরক্ষিত ঋণ তথ্যের গুণগত মান বজায় রাখা ও হালনাগাদ তথ্য সংরক্ষণ করা আবশ্যক। এ লক্ষ্যে সিআইবি প্রতিবেদনে ঋণগ্রহীতার ঋণের মাসওয়ারি তথ্য সংরক্ষণ করে সিআইবি কার্যক্রমকে গতিশীল ও কার্যকর করার প্রক্রিয়া চলমান। প্রতিটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ঋণগ্রহীতাদের সব ঋণের তথ্য মাসিকভিত্তিতে পরবর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে সিস্টেমে জমা দিতে হবে।

ঋণের তথ্য সিস্টেমে জমা দেওয়ার পর ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশোধন বা বিয়োজন বা সংযোজনের কাজ সম্পন্ন করে তথ্য হালনাগাদ করা যাবে। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে সিস্টেমে তথ্য হালনাগাদ করতে ব্যর্থ হলে ব্যর্থতার কারণসহ বিস্তারিত ব্যাখ্যা পত্রের মাধ্যমে তিন দিনের মধ্যে সিআইবিকে জানাতে হবে। ওই ব্যাখ্যা ব্যুরোর কাছে সন্তোষজনক বিবেচিত না হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।

আরও পড়ুন: বেভারেজ পণ্যে কর কমানোর প্রস্তাব আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের

এতে আরও বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আরোপিত জরিমানার অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক মতিঝিল অফিসে রক্ষিত সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাব থেকে কেটে রাখা হবে। সিআইবি তথ্যভাণ্ডারে নির্ভুল তথ্য প্রদানে ব্যর্থতার ব্যাখ্যা ব্যুরোর কাছে সন্তোষজনক বিবেচিত না হলে দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।

সিআইবি হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ একটি বিভাগ। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণবিষয়ক সব ধরনের তথ্য এখানে সংরক্ষিত থাকে। ঋণ গ্রহণে আগ্রহী কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আগে ঋণ নিয়েছে কিনা, নিয়ে থাকলে তা শোধ করেছে কিনা বা কী অবস্থায় আছে, এসব তথ্য জানা যায় এর মাধ্যমে। পাশাপাশি ঋণের জামানতের তথ্যও এতে সংযোজন করা হয়েছে। ঋণখেলাপিদের তথ্যও পাওয়া যায় এখান থেকে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

সিআইবিতে ভুল তথ্য দিলে ৫ লাখ টাকা জরিমানা

আপডেট: ১১:০৩:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ তথ্য ব্যুরোয় (সিআইবি) ভুল তথ্য দিলে সেই ব্যাংককে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এমনকি ওই তথ্যের পক্ষে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না পেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর পাশাপাশি দায়ী কর্মকর্তারা শাস্তির আওতায় পড়বেন। বুধবার (৫ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনা দিয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ব্যাংকিং খাতের ঋণের শৃঙ্খলা সুসংহত করতে সিআইবি তথ্যভাণ্ডারে সংরক্ষিত ঋণ তথ্যের গুণগত মান বজায় রাখা ও হালনাগাদ তথ্য সংরক্ষণ করা আবশ্যক। এ লক্ষ্যে সিআইবি প্রতিবেদনে ঋণগ্রহীতার ঋণের মাসওয়ারি তথ্য সংরক্ষণ করে সিআইবি কার্যক্রমকে গতিশীল ও কার্যকর করার প্রক্রিয়া চলমান। প্রতিটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ঋণগ্রহীতাদের সব ঋণের তথ্য মাসিকভিত্তিতে পরবর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে সিস্টেমে জমা দিতে হবে।

ঋণের তথ্য সিস্টেমে জমা দেওয়ার পর ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশোধন বা বিয়োজন বা সংযোজনের কাজ সম্পন্ন করে তথ্য হালনাগাদ করা যাবে। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে সিস্টেমে তথ্য হালনাগাদ করতে ব্যর্থ হলে ব্যর্থতার কারণসহ বিস্তারিত ব্যাখ্যা পত্রের মাধ্যমে তিন দিনের মধ্যে সিআইবিকে জানাতে হবে। ওই ব্যাখ্যা ব্যুরোর কাছে সন্তোষজনক বিবেচিত না হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।

আরও পড়ুন: বেভারেজ পণ্যে কর কমানোর প্রস্তাব আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের

এতে আরও বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আরোপিত জরিমানার অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক মতিঝিল অফিসে রক্ষিত সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাব থেকে কেটে রাখা হবে। সিআইবি তথ্যভাণ্ডারে নির্ভুল তথ্য প্রদানে ব্যর্থতার ব্যাখ্যা ব্যুরোর কাছে সন্তোষজনক বিবেচিত না হলে দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।

সিআইবি হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ একটি বিভাগ। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণবিষয়ক সব ধরনের তথ্য এখানে সংরক্ষিত থাকে। ঋণ গ্রহণে আগ্রহী কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আগে ঋণ নিয়েছে কিনা, নিয়ে থাকলে তা শোধ করেছে কিনা বা কী অবস্থায় আছে, এসব তথ্য জানা যায় এর মাধ্যমে। পাশাপাশি ঋণের জামানতের তথ্যও এতে সংযোজন করা হয়েছে। ঋণখেলাপিদের তথ্যও পাওয়া যায় এখান থেকে।

ঢাকা/এসএইচ