১০:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪

সীমানার ভেতরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:৪৩:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ১০৩২২ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিরেদক: রাজধানীতে খালের সীমানা নির্ধারণের পর সীমানার ভেতরে থাকা সব প্রকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কল্যাণপুর রিটেনশন পণ্ড এলাকায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অধীনে থাকা ২৯টি খাল ও একটি রেগুলেটরি পণ্ডের সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
 

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে খালগুলো হস্তান্তর করার পর থেকেই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন মেয়র সেগুলো দখলমুক্ত এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কাজ আরম্ভ করে যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। উচ্ছেদ অভিযান কাজ চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক খাল উদ্ধার করা হয়েছে। রাজধানীকে একটি বাসযোগ্য ও দৃষ্টিনন্দন শহর হিসেবে গড়তে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় উভয় সিটি করপোরেশন মেয়র নিরলসভাবে অনেক চ্যালেঞ্জিং কাজ করছেন।

 মো. তাজুল ইসলাম আরও জানান, ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে কল্যাণপুরের এই স্থানে সরকার ১৭৩ একর জায়গা অধিগ্রহণ করেছে ওয়াটার রিটেনশন পণ্ড নির্মাণ করার জন্য। কিন্তু তিন একর ছাড়া বাকি জমি দখল হয়েছে। বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। সীমানা নির্ধারণ করার পর এর ভেতর থাকা সব স্থাপনা উদ্ধার করে পানির প্রবাহ ঠিক করা হবে।

তিনি বলেন, সব জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা এবং সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে। ইতোমধ্যে রামচন্দ্রপুরসহ অনেক খাল দখলমুক্ত করা হয়েছে। প্রশাসনের সহযোগিতায় জনপ্রতিনিধিরা সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন। সাধারণ মানুষ পাশে থাকলে যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, অতীতের ব্যর্থতা ও সফলতার বিচার বিশ্লেষণ না করে সামনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। ঢাকার ঐতিহ্য ফিরে আনতে হলে জনগণের সমর্থন প্রয়োজন। জনসমর্থন আদায়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের উন্নয়নে প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাদের সার্বিক সহযোগিতায় দেশ অনেক বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। বাংলাদেশ আর্মির কাছে মানুষের আস্থা এবং প্রত্যাশা অনেক বেশি। এই প্রকল্পের কাজ বাংলাদেশের গর্বিত এই প্রতিষ্ঠানের কাছে দেওয়া হয়েছে। আমি আশা করি, তারা সফলতার সঙ্গে এটি সম্পন্ন করবে।

 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশকে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে হলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার কোনো বিকল্প নেই বলে প্রধান অতিথির বক্তেব্যে উল্লেখ করেন মো. তাজুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এসময় উত্তর সিটি করপোরেশন, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ আর্মির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

সীমানার ভেতরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

আপডেট: ০৪:৪৩:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিরেদক: রাজধানীতে খালের সীমানা নির্ধারণের পর সীমানার ভেতরে থাকা সব প্রকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কল্যাণপুর রিটেনশন পণ্ড এলাকায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অধীনে থাকা ২৯টি খাল ও একটি রেগুলেটরি পণ্ডের সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
 

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে খালগুলো হস্তান্তর করার পর থেকেই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন মেয়র সেগুলো দখলমুক্ত এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কাজ আরম্ভ করে যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। উচ্ছেদ অভিযান কাজ চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক খাল উদ্ধার করা হয়েছে। রাজধানীকে একটি বাসযোগ্য ও দৃষ্টিনন্দন শহর হিসেবে গড়তে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় উভয় সিটি করপোরেশন মেয়র নিরলসভাবে অনেক চ্যালেঞ্জিং কাজ করছেন।

 মো. তাজুল ইসলাম আরও জানান, ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে কল্যাণপুরের এই স্থানে সরকার ১৭৩ একর জায়গা অধিগ্রহণ করেছে ওয়াটার রিটেনশন পণ্ড নির্মাণ করার জন্য। কিন্তু তিন একর ছাড়া বাকি জমি দখল হয়েছে। বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। সীমানা নির্ধারণ করার পর এর ভেতর থাকা সব স্থাপনা উদ্ধার করে পানির প্রবাহ ঠিক করা হবে।

তিনি বলেন, সব জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা এবং সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে। ইতোমধ্যে রামচন্দ্রপুরসহ অনেক খাল দখলমুক্ত করা হয়েছে। প্রশাসনের সহযোগিতায় জনপ্রতিনিধিরা সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন। সাধারণ মানুষ পাশে থাকলে যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, অতীতের ব্যর্থতা ও সফলতার বিচার বিশ্লেষণ না করে সামনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। ঢাকার ঐতিহ্য ফিরে আনতে হলে জনগণের সমর্থন প্রয়োজন। জনসমর্থন আদায়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের উন্নয়নে প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাদের সার্বিক সহযোগিতায় দেশ অনেক বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। বাংলাদেশ আর্মির কাছে মানুষের আস্থা এবং প্রত্যাশা অনেক বেশি। এই প্রকল্পের কাজ বাংলাদেশের গর্বিত এই প্রতিষ্ঠানের কাছে দেওয়া হয়েছে। আমি আশা করি, তারা সফলতার সঙ্গে এটি সম্পন্ন করবে।

 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশকে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে হলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার কোনো বিকল্প নেই বলে প্রধান অতিথির বক্তেব্যে উল্লেখ করেন মো. তাজুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এসময় উত্তর সিটি করপোরেশন, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ আর্মির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/টিএ