০৪:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সীমানা পরিবর্তনে স্থানীয় চাহিদাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে: ইসি আলমগীর

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:১৯:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩
  • / ১০৩৭৩ বার দেখা হয়েছে

সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তনে নির্বাচন কমিশনের কাছে মুখ্য ছিল প্রশাসনিক সুবিধা, ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং ভোটার ও স্থানীয় জনসাধারণের চাহিদা। এক্ষেত্রে কে কী বলেছেন কমিশন সেটাকে গুরুত্ব দেয়নি বলে উল্লেখ করেছেন সীমানা পুন:নির্ধারণ কমিটির প্রধান ও নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুনফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

রোববার দুপুরে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইসির লক্ষ্য ছিল সংসদীয় আসনের সীমানা যত কম সম্ভব পরিবর্তন করা। কিন্তু আইনে বলা আছে, খসড়া প্রকাশ করতে হবে এবং আপত্তি থাকলে তা গ্রহণ করতে হবে। এজন্য ইসি খসড়া প্রকাশ করে। এই খসড়া পরিবর্তন করার জন্য ৩৮টি আসনের সীমানায় পরিবর্তনের জন্য ১২৬টি আবেদন পড়ে। কমিশন এরপর শুনানির আয়োজন করেছে। সব পক্ষের বক্তব্য শুনে দীর্ঘ সময় ধরে ইসি পর্যালোচনা করেছে।’

মো. আলমগীর বলেন, ‘সম্ভাব্য প্রার্থীদের চেয়ে ভোটারদের বক্তব্য ইসির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ভোটারদের সবাইকে ডাকা যায় না। যারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থাকেন বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, মেম্বার, কাউন্সিলর এবং উপজেলার যারা চেয়ারম্যান ছিলেন, তারা যে বক্তব্য রেখেছেন সেগুলো এবং বর্তমানে সংসদ সদস্যদের বক্তব্য ইসি শুনেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হয়ত স্থানীয় সংসদ সদস্য এক রকম বলছেন, আবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অন্য রকম বলছেন।’

আরও পড়ুন: রপ্তানি আয় বেড়েছে ২৭ শতাংশ

তিনি বলেন, ‘আইনে আছে ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং প্রশাসনিক সুবিধা আগে দেখতে হবে। এরপর জনসংখ্যা যতটুকু সম্ভব আমলে নিতে হবে। জনসংখ্যাকে আগেও প্রাধান্য দেওয়া সম্ভব হয়নি, এখনও হয়নি। জনসংখ্যা আমলে নিতে গেলে অনেক জেলায় আসন আরও কমে যাবে। কোনো জেলায় একটা আসন হয়ে যাবে।’

ইসি আলমগীর জানান, তারা প্রশাসনিক অখণ্ডতা ও ভৌগোলিক সুবিধা এবং স্থানীয় পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্য আমলে নিয়েছেন।

কাউকে সুবিধা বা অসুবিধা ফেলবার কোনো সিদ্ধান্ত কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে আলমগীর বলেন, ‘প্রশ্নই আসে না। আমরা তো জানিই না কে নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। সেটা জানার তো সুযোগ নেই। আইনে যেভাবে বলেছে সেভাবে করেছি। এর বাইরে কাউকে দেখার বা তাকানোর সুযোগ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘যে আবেদনগুলো যৌক্তিক মনে হয়েছে ইসি সেগুলো আমলে নিয়েছে।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কারো কাছে আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ থাকলে তাকে আদালত বা দুর্নীতি দমন কমিশনে যেতে হবে। ইসির কাছেও আসতে পারেন। ইসি বিষয়টি দেখবে।’

গত বৃহস্পতিবার ৩০০ আসনের সীমানা পুনর্র্নিধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসি। এতে ১০টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনা হয়।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

সীমানা পরিবর্তনে স্থানীয় চাহিদাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে: ইসি আলমগীর

আপডেট: ০৭:১৯:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩

সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তনে নির্বাচন কমিশনের কাছে মুখ্য ছিল প্রশাসনিক সুবিধা, ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং ভোটার ও স্থানীয় জনসাধারণের চাহিদা। এক্ষেত্রে কে কী বলেছেন কমিশন সেটাকে গুরুত্ব দেয়নি বলে উল্লেখ করেছেন সীমানা পুন:নির্ধারণ কমিটির প্রধান ও নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুনফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

রোববার দুপুরে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইসির লক্ষ্য ছিল সংসদীয় আসনের সীমানা যত কম সম্ভব পরিবর্তন করা। কিন্তু আইনে বলা আছে, খসড়া প্রকাশ করতে হবে এবং আপত্তি থাকলে তা গ্রহণ করতে হবে। এজন্য ইসি খসড়া প্রকাশ করে। এই খসড়া পরিবর্তন করার জন্য ৩৮টি আসনের সীমানায় পরিবর্তনের জন্য ১২৬টি আবেদন পড়ে। কমিশন এরপর শুনানির আয়োজন করেছে। সব পক্ষের বক্তব্য শুনে দীর্ঘ সময় ধরে ইসি পর্যালোচনা করেছে।’

মো. আলমগীর বলেন, ‘সম্ভাব্য প্রার্থীদের চেয়ে ভোটারদের বক্তব্য ইসির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ভোটারদের সবাইকে ডাকা যায় না। যারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থাকেন বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, মেম্বার, কাউন্সিলর এবং উপজেলার যারা চেয়ারম্যান ছিলেন, তারা যে বক্তব্য রেখেছেন সেগুলো এবং বর্তমানে সংসদ সদস্যদের বক্তব্য ইসি শুনেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হয়ত স্থানীয় সংসদ সদস্য এক রকম বলছেন, আবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অন্য রকম বলছেন।’

আরও পড়ুন: রপ্তানি আয় বেড়েছে ২৭ শতাংশ

তিনি বলেন, ‘আইনে আছে ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং প্রশাসনিক সুবিধা আগে দেখতে হবে। এরপর জনসংখ্যা যতটুকু সম্ভব আমলে নিতে হবে। জনসংখ্যাকে আগেও প্রাধান্য দেওয়া সম্ভব হয়নি, এখনও হয়নি। জনসংখ্যা আমলে নিতে গেলে অনেক জেলায় আসন আরও কমে যাবে। কোনো জেলায় একটা আসন হয়ে যাবে।’

ইসি আলমগীর জানান, তারা প্রশাসনিক অখণ্ডতা ও ভৌগোলিক সুবিধা এবং স্থানীয় পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্য আমলে নিয়েছেন।

কাউকে সুবিধা বা অসুবিধা ফেলবার কোনো সিদ্ধান্ত কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে আলমগীর বলেন, ‘প্রশ্নই আসে না। আমরা তো জানিই না কে নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। সেটা জানার তো সুযোগ নেই। আইনে যেভাবে বলেছে সেভাবে করেছি। এর বাইরে কাউকে দেখার বা তাকানোর সুযোগ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘যে আবেদনগুলো যৌক্তিক মনে হয়েছে ইসি সেগুলো আমলে নিয়েছে।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কারো কাছে আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ থাকলে তাকে আদালত বা দুর্নীতি দমন কমিশনে যেতে হবে। ইসির কাছেও আসতে পারেন। ইসি বিষয়টি দেখবে।’

গত বৃহস্পতিবার ৩০০ আসনের সীমানা পুনর্র্নিধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসি। এতে ১০টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনা হয়।

ঢাকা/এসএম