১২:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

সেভেরোদোনেৎস্কে আটকে পড়েছে অসংখ্য বেসামরিক মানুষ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:১১:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২
  • / ১০২৪২ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল ডেস্ক: ইউক্রেনের লুহানস্ক অঞ্চলের সেভেরোদোনেৎস্ক শহরে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ আটকে পড়েছে। একই সঙ্গে তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ফুরিয়ে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা বিবিসি এসব তথ্য জানায়।

খবরে বলা হয়, ওই শহরে আটকে পড়াদের অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন আজত কেমিক্যাল প্ল্যান্টের বাঙ্কারে। শহরটি থেকে বের হওয়ার সর্বশেষ সেতুটি রুশ সেনারা ধ্বংস করে ফেলার পর সেখানে এখনও ১২ হাজারের মতো বাসিন্দা রয়ে গেছেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এ শহরটি দখলে নেওয়ার জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ সেনারা। যদিও এখন তাদের হাতেই রয়েছে শহরটির বেশিরভাগ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় বিষয়ক কার্যালয়ের মুখপাত্র সেভিয়ানো আবেরু বলেন, সেখানে পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এটি আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগের বিষয়। কেননা, মানুষ পানি ছাড়া বেশিদিন বাঁচতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, ওই শহরে খাদ্য ও স্বাস্থ্য সরঞ্জামও শেষের পথে। যারা ওই শহরে আটকে পড়েছেন তাদের কাছে সাহয়তা পৌঁছানোর আশা করছে জাতিসংঘ। তবে, লাগাতার লড়াইয়ের কারণে সেটি সম্ভব হচ্ছে না।

বুধবার রাশিয়া আজত প্ল্যান্টে আটকে পড়া বেসামরিক মানুষদের জন্য মানবিক করিডোর খোলার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন পর্যন্ত তার কোনো নমুনা দেখা যায়নি। গ্যাজপ্রমের মালিকানাধীন এনটিভি বলছে, ওই প্ল্যানের বাঙ্কারে শিশুসহ অন্তত এক হাজার ২০০ মানুষ আটকে পড়েছেন। 

সেভেরোদোনেৎস্ক শহরের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারলে পুরো লুহানস্ক শহর চলে যাবে মস্কোর হাতে। যদিও আগে থেকেই ওই অঞ্চলের অধিকাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। টেলিগ্রামে শহরটির মেয়র অলেক্সান্ডার স্ট্রিউক জানান, এখনও শহরের নিয়ন্ত্রণ ইউক্রেনের হাতে রয়েছে।

রাশিয়া ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে। প্রথমদিকে রুশ সেনারা কিয়েভের কাছাকাছি চলে গেলেও সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। পরে জানানো হয় পরিবর্তন এসেছে তাদের যুদ্ধের পরিকল্পনায়। জানানো হয়, এখন দক্ষিণ ও পূর্ব ইউক্রেন দখলই মস্কোর অন্যতম লক্ষ্য।

এর পরই এ অঞ্চলে ব্যাপক হামলা চালাতে থাকে রুশ সেনারা। এর মধ্যে বড় ধরনের সাফল্য ধরা দেয় তাদের হাতে। দীর্ঘদিনের চেষ্টার পর বন্দরনগরী মারিওপোল নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয় রাশিয়া। এখন দেশটি দোনবাসের লুহানস্কের অধিকাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়েছে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

সেভেরোদোনেৎস্কে আটকে পড়েছে অসংখ্য বেসামরিক মানুষ

আপডেট: ১১:১১:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২

বিজনেস জার্নাল ডেস্ক: ইউক্রেনের লুহানস্ক অঞ্চলের সেভেরোদোনেৎস্ক শহরে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ আটকে পড়েছে। একই সঙ্গে তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ফুরিয়ে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা বিবিসি এসব তথ্য জানায়।

খবরে বলা হয়, ওই শহরে আটকে পড়াদের অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন আজত কেমিক্যাল প্ল্যান্টের বাঙ্কারে। শহরটি থেকে বের হওয়ার সর্বশেষ সেতুটি রুশ সেনারা ধ্বংস করে ফেলার পর সেখানে এখনও ১২ হাজারের মতো বাসিন্দা রয়ে গেছেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এ শহরটি দখলে নেওয়ার জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ সেনারা। যদিও এখন তাদের হাতেই রয়েছে শহরটির বেশিরভাগ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় বিষয়ক কার্যালয়ের মুখপাত্র সেভিয়ানো আবেরু বলেন, সেখানে পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এটি আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগের বিষয়। কেননা, মানুষ পানি ছাড়া বেশিদিন বাঁচতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, ওই শহরে খাদ্য ও স্বাস্থ্য সরঞ্জামও শেষের পথে। যারা ওই শহরে আটকে পড়েছেন তাদের কাছে সাহয়তা পৌঁছানোর আশা করছে জাতিসংঘ। তবে, লাগাতার লড়াইয়ের কারণে সেটি সম্ভব হচ্ছে না।

বুধবার রাশিয়া আজত প্ল্যান্টে আটকে পড়া বেসামরিক মানুষদের জন্য মানবিক করিডোর খোলার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন পর্যন্ত তার কোনো নমুনা দেখা যায়নি। গ্যাজপ্রমের মালিকানাধীন এনটিভি বলছে, ওই প্ল্যানের বাঙ্কারে শিশুসহ অন্তত এক হাজার ২০০ মানুষ আটকে পড়েছেন। 

সেভেরোদোনেৎস্ক শহরের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারলে পুরো লুহানস্ক শহর চলে যাবে মস্কোর হাতে। যদিও আগে থেকেই ওই অঞ্চলের অধিকাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। টেলিগ্রামে শহরটির মেয়র অলেক্সান্ডার স্ট্রিউক জানান, এখনও শহরের নিয়ন্ত্রণ ইউক্রেনের হাতে রয়েছে।

রাশিয়া ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে। প্রথমদিকে রুশ সেনারা কিয়েভের কাছাকাছি চলে গেলেও সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। পরে জানানো হয় পরিবর্তন এসেছে তাদের যুদ্ধের পরিকল্পনায়। জানানো হয়, এখন দক্ষিণ ও পূর্ব ইউক্রেন দখলই মস্কোর অন্যতম লক্ষ্য।

এর পরই এ অঞ্চলে ব্যাপক হামলা চালাতে থাকে রুশ সেনারা। এর মধ্যে বড় ধরনের সাফল্য ধরা দেয় তাদের হাতে। দীর্ঘদিনের চেষ্টার পর বন্দরনগরী মারিওপোল নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয় রাশিয়া। এখন দেশটি দোনবাসের লুহানস্কের অধিকাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়েছে।

ঢাকা/এসএ