০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের ডিজিটাল তথ্য ব্যাবস্থার অগ্রগতি জানতে চেয়েছে বিএসইসি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৩৪:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১০৪০২ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের (সিএমএসএফ) ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আধুনিকায়ন হচ্ছে। এ লক্ষ্যে ফান্ডটির ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির ডিজিটাল তথ্যভাণ্ডারের কাজ চলছে। এ তথ্যভাণ্ডারের কাজের অগ্রগতি জানতে চায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের অবণ্টিত ডিভিডেন্ড জমা দেওয়ার জন্য বার বার সময় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, এখনো অনেক প্রতিষ্ঠান ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে তাদের অবণ্টিত লভ্যাংশ জমা দেয়নি। আবার কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান এখনো জমা দিচ্ছে। এসব ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে করার জন্যই তথ্যভাণ্ডারের কাজ হাতে নিয়েছে সিএমএসএফ।

ডিজিটাল তথ্যভাণ্ডারের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে জানাতে সিএমএসএফ’র প্রধান পরিচালন কর্মকর্তাকে একটি চিঠি দিয়েছে বিএসইসি। চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড) রুলস ২০২১ এর রুল, ১২ (৬) অনুযায়ী সিএমএস ফান্ডের ডিজিটাল তথ্যভাণ্ডারের কাজের অগ্রগতি কমিশনে জমা দিতে হবে। আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে এ তথ্য কমিশনকে জানাতে বলা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিএমএসএফ’র এক কর্মকর্তা বলেছেন, তহবিল ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে কমিশন। আমরা যথাসময়ে কমিশনে তা জমা দেবো।

পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে বাজারের তারল্য সংকট দূর করতে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড গঠন করা হয়েছে। সিএমএস ফান্ডে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়্যাল ফান্ড অবণ্টিত বা অদাবিকৃত নগদ এবং বোনাস লভ্যাংশ জমা দেয়। দাবিদার বিনিয়োগকারীদের কাছে ডিভিডেন্ড বিতরণ, বাজারের উন্নয়নে বিনিয়োগ করে থাকে সিএমএস ফান্ড। কিন্তু বার বার তাগিদ সত্বেও অনেক কোম্পানি তাদের নিকট থাকা শেয়ারহোল্ডারদের অবন্টিত লভ্যাংশ ফান্ডে জমা দেয়নি। যেসব কোম্পানি অবণ্টিত লভ্যাংশ জমা দেয়নি, সেগুলোর একটি তালিকা করছে প্রতিষ্ঠানটি। একই সঙ্গে অবণ্টিত লভ্যাংশ জমা না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা চেয়েছে কমিশন।

কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে ব্যাখ্যা সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ সারংক্ষেপ প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করতে সম্প্রতি ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডকে দায়িত্ব দিয়েছে কমিশন। এখনও কী পরিমাণ নগদ লভ্যাংশ চিহ্নিত করা হয়নি এবং নগদ ও বোনাস লভ্যাংশ পৃথকভাবে ভাগ করার জন্য সিএমএসএফকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব তথ্য ব্যবস্থাপনার জন্যই  সিএমএসএফ’র তথ্যভাণ্ডারের কাজ হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২২ আগস্ট পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও তারল্য সংকট দূর করতে ২০ হাজার কোটি টাকার ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের ১১ সদস্যের বোর্ড অব গভর্নর্স অনুমোদন দেয় বিএসইসি। এ বোর্ড অব গভর্নর্সের মধ্যে ৪টি পদে বিএসইসি নিয়োগ দেবে। এর মধ্যে একটি চেয়ারম্যান পদ ও বাকি তিনটি সদস্য পদ। এ ফান্ডটির চেয়ারম্যান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অপর তিন সদস্য হলেন—বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শেখ তানজিলা দীপ্তি ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত।

সিএমএসএফের বোর্ড অব গভর্নর্সের অন্য সদস্যরা হলেন—ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জর (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তারিক আমিন ভুঁইয়া, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) স্বতন্ত্র পরিচালক এ কে এম নুরুল ফজলে বাবুল, সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিসিবিএল) পরিচালক ড. মোহাম্মদ তারেক, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) সভাপতি আজম জে চৌধুরী, দি ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) সদস্য এ কে এম দেলোয়ার হোসেন। চিফ অব অপারেশন হিসেবে অগ্রণী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. মনোয়ার হোসেনকে মনোনয় দেয় বিএসইসি।

আরো পড়ুন: অবণ্টিত ডিভিডেন্ড সিএমএসএফে স্থানান্তর না করার ব্যাখ্যা তলব

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের ডিজিটাল তথ্য ব্যাবস্থার অগ্রগতি জানতে চেয়েছে বিএসইসি

আপডেট: ১২:৩৪:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের (সিএমএসএফ) ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আধুনিকায়ন হচ্ছে। এ লক্ষ্যে ফান্ডটির ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির ডিজিটাল তথ্যভাণ্ডারের কাজ চলছে। এ তথ্যভাণ্ডারের কাজের অগ্রগতি জানতে চায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের অবণ্টিত ডিভিডেন্ড জমা দেওয়ার জন্য বার বার সময় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, এখনো অনেক প্রতিষ্ঠান ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে তাদের অবণ্টিত লভ্যাংশ জমা দেয়নি। আবার কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান এখনো জমা দিচ্ছে। এসব ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে করার জন্যই তথ্যভাণ্ডারের কাজ হাতে নিয়েছে সিএমএসএফ।

ডিজিটাল তথ্যভাণ্ডারের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে জানাতে সিএমএসএফ’র প্রধান পরিচালন কর্মকর্তাকে একটি চিঠি দিয়েছে বিএসইসি। চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড) রুলস ২০২১ এর রুল, ১২ (৬) অনুযায়ী সিএমএস ফান্ডের ডিজিটাল তথ্যভাণ্ডারের কাজের অগ্রগতি কমিশনে জমা দিতে হবে। আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে এ তথ্য কমিশনকে জানাতে বলা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিএমএসএফ’র এক কর্মকর্তা বলেছেন, তহবিল ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে কমিশন। আমরা যথাসময়ে কমিশনে তা জমা দেবো।

পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে বাজারের তারল্য সংকট দূর করতে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড গঠন করা হয়েছে। সিএমএস ফান্ডে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়্যাল ফান্ড অবণ্টিত বা অদাবিকৃত নগদ এবং বোনাস লভ্যাংশ জমা দেয়। দাবিদার বিনিয়োগকারীদের কাছে ডিভিডেন্ড বিতরণ, বাজারের উন্নয়নে বিনিয়োগ করে থাকে সিএমএস ফান্ড। কিন্তু বার বার তাগিদ সত্বেও অনেক কোম্পানি তাদের নিকট থাকা শেয়ারহোল্ডারদের অবন্টিত লভ্যাংশ ফান্ডে জমা দেয়নি। যেসব কোম্পানি অবণ্টিত লভ্যাংশ জমা দেয়নি, সেগুলোর একটি তালিকা করছে প্রতিষ্ঠানটি। একই সঙ্গে অবণ্টিত লভ্যাংশ জমা না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা চেয়েছে কমিশন।

কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে ব্যাখ্যা সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ সারংক্ষেপ প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করতে সম্প্রতি ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডকে দায়িত্ব দিয়েছে কমিশন। এখনও কী পরিমাণ নগদ লভ্যাংশ চিহ্নিত করা হয়নি এবং নগদ ও বোনাস লভ্যাংশ পৃথকভাবে ভাগ করার জন্য সিএমএসএফকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব তথ্য ব্যবস্থাপনার জন্যই  সিএমএসএফ’র তথ্যভাণ্ডারের কাজ হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২২ আগস্ট পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও তারল্য সংকট দূর করতে ২০ হাজার কোটি টাকার ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের ১১ সদস্যের বোর্ড অব গভর্নর্স অনুমোদন দেয় বিএসইসি। এ বোর্ড অব গভর্নর্সের মধ্যে ৪টি পদে বিএসইসি নিয়োগ দেবে। এর মধ্যে একটি চেয়ারম্যান পদ ও বাকি তিনটি সদস্য পদ। এ ফান্ডটির চেয়ারম্যান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অপর তিন সদস্য হলেন—বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শেখ তানজিলা দীপ্তি ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত।

সিএমএসএফের বোর্ড অব গভর্নর্সের অন্য সদস্যরা হলেন—ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জর (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তারিক আমিন ভুঁইয়া, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) স্বতন্ত্র পরিচালক এ কে এম নুরুল ফজলে বাবুল, সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিসিবিএল) পরিচালক ড. মোহাম্মদ তারেক, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) সভাপতি আজম জে চৌধুরী, দি ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) সদস্য এ কে এম দেলোয়ার হোসেন। চিফ অব অপারেশন হিসেবে অগ্রণী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. মনোয়ার হোসেনকে মনোনয় দেয় বিএসইসি।

আরো পড়ুন: অবণ্টিত ডিভিডেন্ড সিএমএসএফে স্থানান্তর না করার ব্যাখ্যা তলব

ঢাকা/এসএ