০২:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

হজ ব্যবস্থাপনায় খরচ কমাতে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে লিগ্যাল নোটিশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:১০:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩
  • / ১০৪৩০ বার দেখা হয়েছে

হজ ব্যবস্থাপনায় খরচ কমাতে সরকারের সংশ্লিষ্ট ধর্ম মন্ত্রণালয়কে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সোমবার (৬ মার্চ) ধর্ম মন্ত্রণালয়কে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও আল কোরআন স্ট্যাডি সেন্টার সুপ্রিম কোর্টের কো-অর্ডিনেটর অ্যাডভোকেট মো. আশরাফুজ্জামান। তিনি নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গত ১ ফেব্রুয়ারি হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভায় হজ প্যাকেজ চূড়ান্ত করা হয়। সভা শেষে কমিটির সভাপতি ও ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান সাংবাদিকের হজ প্যাকেজ সম্পর্কে জানান।

চলতি বছর হজে যেতে সরকারিভাবে একটি প্যাকেজ চূড়ান্ত করা হয়েছে। সরকারিভাবে গত বছর দুটি থাকলেও এবার ঘোষিত একটি প্যাকেজ অনুযায়ী, হজযাত্রায় প্রত্যেক হজযাত্রীর ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা খরচ হবে। গত বছরের তুলনায় খরচ সর্বোচ্চ এক লাখ ৬১ হাজার ৮৬৮ টাকা বেড়েছে।

গত বছর সরকারিভাবে হজে যেতে প্যাকেজ-১ এ পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৩৪০ টাকা এবং প্যাকেজ-২ এ পাঁচ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকা খরচ নির্ধারণ করা হয়েছিল।

গত ২ ফেব্রুয়ারি বেসরকারিভাবে এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ ধরা হয় ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। এর বাইরে প্রত্যেক হাজিকে কোরবানি বাবদ নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেওয়ার কথা বলা হয়। গত বছর বেসরকারিভাবে হজ পালনে খরচ হয়েছিল পাঁচ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা। এবার তা প্রায় দেড় লাখ টাকা বাড়ানো হয়।

এদিকে বিমান ভাড়া কমানোসহ হজ প্যাকেজের মূল্য পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্র্যাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)।

আরও পড়ুন: ভিসা দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকা দূতাবাসের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করল সৌদি আরব

প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের অনুসারে- ২০১৫ সালে হজের সর্বনিম্ন খরচ ছিল ২ লাখ ৯৬ হাজার ২০৬ টাকা। ২০১৬ সালে ৩ লাখ ৪ হাজার টাকা। ২০১৭ সালে সর্বনিম্ন প্যাকেজ ছিল ৩ লাখ ১৯ হাজার টাকা। ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা। ২০১৯ সালে ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। করোনা মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়া পুরোপুরি বন্ধ ছিল।

আটাবের চিঠিতে আরও বলা হয়, ২০২২ সালে হজ প্যাকেজের মূল্য ছিল ৫ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকা এবং ২০২৩ সালে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হিসাব বিবেচনায় নিলে ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে হজের ব্যয় বেড়েছে ৩ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। অথচ এ বছর সৌদি সরকার হজের আনুষঙ্গিক ব্যয় কমিয়েছে।

গত জানুয়ারিতে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান জানিয়েছিলেন, ২০২৩ সালে দেশের সম্ভাব্য হজযাত্রীর কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

হজ ব্যবস্থাপনায় খরচ কমাতে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে লিগ্যাল নোটিশ

আপডেট: ০৪:১০:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩

হজ ব্যবস্থাপনায় খরচ কমাতে সরকারের সংশ্লিষ্ট ধর্ম মন্ত্রণালয়কে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সোমবার (৬ মার্চ) ধর্ম মন্ত্রণালয়কে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও আল কোরআন স্ট্যাডি সেন্টার সুপ্রিম কোর্টের কো-অর্ডিনেটর অ্যাডভোকেট মো. আশরাফুজ্জামান। তিনি নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গত ১ ফেব্রুয়ারি হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভায় হজ প্যাকেজ চূড়ান্ত করা হয়। সভা শেষে কমিটির সভাপতি ও ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান সাংবাদিকের হজ প্যাকেজ সম্পর্কে জানান।

চলতি বছর হজে যেতে সরকারিভাবে একটি প্যাকেজ চূড়ান্ত করা হয়েছে। সরকারিভাবে গত বছর দুটি থাকলেও এবার ঘোষিত একটি প্যাকেজ অনুযায়ী, হজযাত্রায় প্রত্যেক হজযাত্রীর ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা খরচ হবে। গত বছরের তুলনায় খরচ সর্বোচ্চ এক লাখ ৬১ হাজার ৮৬৮ টাকা বেড়েছে।

গত বছর সরকারিভাবে হজে যেতে প্যাকেজ-১ এ পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৩৪০ টাকা এবং প্যাকেজ-২ এ পাঁচ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকা খরচ নির্ধারণ করা হয়েছিল।

গত ২ ফেব্রুয়ারি বেসরকারিভাবে এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ ধরা হয় ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। এর বাইরে প্রত্যেক হাজিকে কোরবানি বাবদ নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেওয়ার কথা বলা হয়। গত বছর বেসরকারিভাবে হজ পালনে খরচ হয়েছিল পাঁচ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা। এবার তা প্রায় দেড় লাখ টাকা বাড়ানো হয়।

এদিকে বিমান ভাড়া কমানোসহ হজ প্যাকেজের মূল্য পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্র্যাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)।

আরও পড়ুন: ভিসা দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকা দূতাবাসের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করল সৌদি আরব

প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের অনুসারে- ২০১৫ সালে হজের সর্বনিম্ন খরচ ছিল ২ লাখ ৯৬ হাজার ২০৬ টাকা। ২০১৬ সালে ৩ লাখ ৪ হাজার টাকা। ২০১৭ সালে সর্বনিম্ন প্যাকেজ ছিল ৩ লাখ ১৯ হাজার টাকা। ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা। ২০১৯ সালে ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। করোনা মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়া পুরোপুরি বন্ধ ছিল।

আটাবের চিঠিতে আরও বলা হয়, ২০২২ সালে হজ প্যাকেজের মূল্য ছিল ৫ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকা এবং ২০২৩ সালে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হিসাব বিবেচনায় নিলে ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে হজের ব্যয় বেড়েছে ৩ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। অথচ এ বছর সৌদি সরকার হজের আনুষঙ্গিক ব্যয় কমিয়েছে।

গত জানুয়ারিতে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান জানিয়েছিলেন, ২০২৩ সালে দেশের সম্ভাব্য হজযাত্রীর কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন।

ঢাকা/এসএম