০৬:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

হিরু চক্রের কারসাজি তদন্তে দুদককে তথ্য দিয়েছে বিএসইসি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৫৮:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
  • / ১০৩৭৯ বার দেখা হয়েছে

সমবায় অধিদপ্তরের উপ-নিবন্ধক ও শেয়ার ব্যবসায়ী মো. আবুল খায়ের হিরুসহ তার সহযোগীদের শেয়ার কারসাজি এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তথ্য পাঠিয়েছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ডজনখানেকের বেশি কোম্পানির শেয়ার কারসাজি করে মুনাফা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় হিরু চক্রকে মোট ২০৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আবুল খায়ের হিরুসহ তার সহযোগীদের শেয়ার কারসাজির মাধ্যমে অনৈতিকভাবে মুনাফা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি তদন্ত করছে দুদক। তাই, সংস্থাটির চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এসব তথ্য পাঠিয়েছে কমিশন।

এর আগে আবুল খায়ের হিরুর বিনিয়োগ-সংক্রান্ত অভিযোগের রেকর্ডপত্র/তথ্যাদি চেয়ে বিএসইসিতে চিঠি পাঠান দুদকের সহকারী পরিচালক (বিশেষ তদন্ত) সাজ্জাদ হোসেন। ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসির এনফোর্সমেন্ট বিভাগ থেকে হিরুর বিরুদ্ধে অভিযোগ ও ব্যবস্থা গ্রহণের তথ্য দুদকে পাঠানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে চলতি বছরের ১৩ মে মাসের শেষের দিকে একজন সরকারি কর্মচারী হয়ে আবুল খায়ের সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন, বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে অবহিত করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছে বিএসইসি। একইসঙ্গে বিষয়টি পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়েছে। তার আগে ২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর একই বিষয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব বরাবর চিঠি পাঠিয়েছিল বিএসইসি।

আরও পড়ুন: পাঁচ কার্যদিবসে বিদেশি-প্রবাসীদের সঙ্গে স্থানীয় বিও কমেছে ৪ হাজার

দুদকে পাঠনো বিএসইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মো. আবুল খায়ের হিরুর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ- সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন গঠিত অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটির দাখিল করা দুটি প্রতিবেদনের মধ্যে ফরচুন সুজ লিমিটেড-সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি চলতি বছরের গত ৩ জুন দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। সোনালী পেপার বোর্ড মিলস লিমিটেড-সংক্রান্ত অপর একটি প্রতিবেদনের সত্যায়িত ছায়ালিপি চিঠির সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আবুল খায়ের এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে পুঁজিবাজারে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার লেনদেন বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক এনফোর্সমেন্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তার একটি তালিকা চিঠির সঙ্গে সংযুক্ত করা হলো। আদেশগুলোর কাগজের পরিমাণ বেশি হওয়ায় শুধু আদেশের অগ্রণী পত্রগুলোর ছায়ালিপি এবং আদেশসমূহের পিডিএফ কপি ই-মেইলের মাধমে প্রেরণ করা হলো।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

হিরু চক্রের কারসাজি তদন্তে দুদককে তথ্য দিয়েছে বিএসইসি

আপডেট: ১১:৫৮:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫

সমবায় অধিদপ্তরের উপ-নিবন্ধক ও শেয়ার ব্যবসায়ী মো. আবুল খায়ের হিরুসহ তার সহযোগীদের শেয়ার কারসাজি এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তথ্য পাঠিয়েছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ডজনখানেকের বেশি কোম্পানির শেয়ার কারসাজি করে মুনাফা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় হিরু চক্রকে মোট ২০৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আবুল খায়ের হিরুসহ তার সহযোগীদের শেয়ার কারসাজির মাধ্যমে অনৈতিকভাবে মুনাফা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি তদন্ত করছে দুদক। তাই, সংস্থাটির চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এসব তথ্য পাঠিয়েছে কমিশন।

এর আগে আবুল খায়ের হিরুর বিনিয়োগ-সংক্রান্ত অভিযোগের রেকর্ডপত্র/তথ্যাদি চেয়ে বিএসইসিতে চিঠি পাঠান দুদকের সহকারী পরিচালক (বিশেষ তদন্ত) সাজ্জাদ হোসেন। ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসির এনফোর্সমেন্ট বিভাগ থেকে হিরুর বিরুদ্ধে অভিযোগ ও ব্যবস্থা গ্রহণের তথ্য দুদকে পাঠানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে চলতি বছরের ১৩ মে মাসের শেষের দিকে একজন সরকারি কর্মচারী হয়ে আবুল খায়ের সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন, বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে অবহিত করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছে বিএসইসি। একইসঙ্গে বিষয়টি পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়েছে। তার আগে ২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর একই বিষয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব বরাবর চিঠি পাঠিয়েছিল বিএসইসি।

আরও পড়ুন: পাঁচ কার্যদিবসে বিদেশি-প্রবাসীদের সঙ্গে স্থানীয় বিও কমেছে ৪ হাজার

দুদকে পাঠনো বিএসইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মো. আবুল খায়ের হিরুর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ- সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন গঠিত অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটির দাখিল করা দুটি প্রতিবেদনের মধ্যে ফরচুন সুজ লিমিটেড-সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি চলতি বছরের গত ৩ জুন দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। সোনালী পেপার বোর্ড মিলস লিমিটেড-সংক্রান্ত অপর একটি প্রতিবেদনের সত্যায়িত ছায়ালিপি চিঠির সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আবুল খায়ের এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে পুঁজিবাজারে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার লেনদেন বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক এনফোর্সমেন্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তার একটি তালিকা চিঠির সঙ্গে সংযুক্ত করা হলো। আদেশগুলোর কাগজের পরিমাণ বেশি হওয়ায় শুধু আদেশের অগ্রণী পত্রগুলোর ছায়ালিপি এবং আদেশসমূহের পিডিএফ কপি ই-মেইলের মাধমে প্রেরণ করা হলো।

ঢাকা/এসএইচ